রত্নার কাছে “ছেলেধরা” লিস্টে কাদের নাম আছে? জানতে চান শোভন-বান্ধবী বৈশাখীও

আদালত চত্বরে উপস্থিত সংবাদমাধ্যমের সামনে বৈশাখীকে লক্ষ্য করে বেশ কিছু মন্তব্য করেন রত্না। তাঁকে বলতে শোনা যায়, "ওনার ভয়ের কোনও কারণ নেই। উনি তো ছেলেধরা। কেউ ওনাকে কিছু করবে না।"

শোভন-বৈশাখী VS রত্না, ব্যক্তিগত ও পারিবারিক বিবাদ তো মিটছেই না, বরং কাদা ছোঁড়াছুড়ির নতুন করে শুরু হয়েছে। গত পাঁচবছর ধরে শোভন চট্টোপাধ্যায় ও রত্নাদেবীর বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা চলছে। সেই মামলার শুনানিতে গত, সোমবার আদালতে গিয়েছিলেন শোভন। সাক্ষী হিসেবে গিয়েছিলেন বৈশাখী। ছিলেন রত্নাও। সেখানেই রত্নার বিরুদ্ধে ভয় দেখানোর অভিযোগ আনেন বৈশাখী। তিনি জানান, রত্না লোকজন নিয়ে আদালতে আসছেন। যাঁদের সঙ্গে আনছেন, তাঁরা বিভিন্ন ভাবে ভয় দেখাচ্ছে তাঁকে। অনুমতি ছাড়া তাঁর ছবি তোলা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন বৈশাখী। এমনকী, কেউ কেউ তাঁর হাত ধরেও টেনেছেন। কিন্তু সাক্ষদান থেকে আটকানো যায়নি তাঁকে।

আরও পড়ুন:শোভন বান্ধবী বৈশাখীকে “ছেলেধরা” কটাক্ষ রত্নার!

এখানেই শেষ নয়, আদালত চত্বরে উপস্থিত সংবাদমাধ্যমের সামনে বৈশাখীকে লক্ষ্য করে বেশ কিছু মন্তব্য করেন রত্না। তাঁকে বলতে শোনা যায়, “ওনার ভয়ের কোনও কারণ নেই। উনি তো ছেলেধরা। কেউ ওনাকে কিছু করবে না।” এরপর বিশ্ববাংলা সংবাদের তরফে রত্না চট্টোপাধ্যায়ের কাছে জানতে চাওয়া হয়, কোন তথ্যের উপর ভিত্তি করে তিনি বৈশাখীদেবীর বিরুদ্ধে এমন বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন। উত্তরে বেহালা পূর্বের বিধায়ক বলেন, ”আমি নাম ধরে ধরে বলে দিতে পারি কলকাতা শহরে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের আগে আর কোন কোন ছেলেকে ধরেছিলেন উনি। কাদের কাদের সংসার ভেঙেছেন সব জানি। কিন্তু আমি বলতে চাই না, কারণ ওই লোকগুলোর সম্মানহানি হবে।”

বৈশাখীর বিরুদ্ধে রত্নার এমন অভিযোগের পর পাল্টা দিতে ছাড়েননি শোভনও। বিশ্ববাংলা সংবাদের লাইভে এসে কলকাতার প্রাক্তন মেয়র বলেন, “উনি বলেছেন বৈশাখী ছেলেধরা। আমি মনে করি ২২ বছর সংসার করার পর পাঁচ বছর আগে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা আমি চেয়েছিলা। কারণ ২২ বছর আমি একজন ছেলেধরার অভ্যাসে অভ্যস্ত মহিলার সঙ্গে বিয়ের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলাম।” শোভনবাবুর আরও দাবি, রত্নার “বিবাহ বহির্ভূত” সম্পর্ক অনেক আগেই তিনি জানতে পেরেছিলেন বিভিন্ন ভাবে, বিভিন্ন সূত্রে। ২০০৮ সাল থেকে তাঁদের দাম্পত্য জীবনে ফাটল ধরে। কিন্তু সেই সময় একজন দায়িত্বশীল রাজনৈতিক ব্যক্তি হিসেবে পারিবারিক বিষয়টিকে তিনি সামনে আনতে চাননি।

অন্যদিকে, তাঁকে রত্না চট্টোপাধ্যায় “ছেলেধরা” সম্মোধন করার বিষয়টিকে একেবারেই গুরুত্ব দিচ্ছেন না বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। লাইভ অনুষ্ঠানে প্রসঙ্গ উঠতে বৈশাখীদেবী মুচকি হেসে বলেন, “যার যেমন রুচি তিনি তেমন মন্তব্য করবেন। তবে আমিও জানতে চাই কলকাতা শহরে কাকে কাকে আমি ধরেছিলাম। কাদের সংসার ভেঙে ছিলাম। এখন তাঁরা কেমন আছেন, সেটা জানার আগ্রহ রয়েছে।” বৈশাখীর আরও সংযোজন, “অনেকেই তো বলেছিলেন, মন্ত্রিত্ব না থাকলে, মেয়র না থাকলে আমি নাকি শোভনকে ছেড়ে চলে যাবো। এখন তো শোভন কোনও পদেই নেই, আমি তো ছেড়ে যায়নি। আসলে উনি (রত্না) কাঁচের ঘরে বসে ঢিল ছুঁড়ছেন। আমার কাছেও ওনার বিরুদ্ধে অনেক তথ্য, অনেক ছবি, অনেক কল রেকর্ড আছে। এখন ওনার আশেপাশে যাঁরা ঘোরেন, থাকেন, তাঁরাই ওনার সম্পর্কে কী কী বলে সেগুলি আর প্রকাশ্যে বলতে চাই না। আসলে উনি হিংসা থেকে আমার বিরুদ্ধে কুৎসা করেন।”

 

 

Previous articleনবান্নে স্বরাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে বৈঠকে জিটিএ চেয়ারম্যান অনিত থাপা
Next articleবাগনানে বি*ধ্বংসী আ*গুন! পুড়ে ছাই বহু দোকান