আত্মসমর্পণ করলেও জামিন নয়: কাঁথি-ধ*র্ষণ সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ে হস্তক্ষেপে নারাজ ডিভিশন বেঞ্চ

আত্মসমর্পণ করলেও অভিযুক্ত শুভদীপ গিরিকে জামিন দেওয়া যাবে না। একই সঙ্গে তাঁকে গ্রেফতারির সব রকম চেষ্টা করতে পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আত্মসমর্পণ করলেও জামিন দেওয়া যাবে না কাঁথি নাবালিকা ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত শুভদীপ গিরিকে। কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta High Court) সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ের উপর হস্তক্ষেপে নারাজ প্রধান বিচারপতির (Chief Justice) ডিভিশন বেঞ্চ। আত্মসমর্পণ করলেও অভিযুক্ত শুভদীপ গিরিকে জামিন দেওয়া যাবে না। একই সঙ্গে তাঁকে গ্রেফতারির সব রকম চেষ্টা করতে পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জানুয়ারির শেষ দিকে এই একই নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা (Rajashekhar Mantha)। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিযুক্ত। সেই মামলায় এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এর আগে এই ঘটনায় আদালতে ভর্ৎসিত হন অভিযুক্তর আইনজীবী। প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের (Prakash Shrivastab) ডিভিশন বেঞ্চে মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতির একের পর এক প্রশ্নের মুখে পড়েন মূল অভিযুক্ত শুভদীপ গিরির (Shubhadip Giri) আইনজীবী। শুনানিতে শুভদীপ গিরির আইনজীবীকে প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন করেন, ২০ জানুয়ারি একক বেঞ্চের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে তাঁরা বলেছিলেন, শুভদীপ আত্মসমর্পণ করবেন। কিন্তু এই বেঞ্চে আগাম জামিনের আবেদন করেছেন। দু’রকম অবস্থান কেন? এই ধরনের বিভ্রান্তিমূলক কথা কেন? শুভদীপের আইনজীবী বলেন, সেটা তাঁরা বলেছিলেন, নাকি আদালত নথিবদ্ধ করেছিল তা স্পষ্ট নয়। তাহলে সেই নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আর্জি জানাননি কেন? প্রশ্ন তোলেন প্রধান বিচারপতি শ্রীবাস্তব। এর উত্তর দিতে পারেননি অভিযুক্তর আইনজীবী।

নির্যাতিতার পরিবারের আইনজীবী বলেন, পকসো একটি বিশেষ আইন। এই আইনের ব্যাপ্তি অনেক। কারও বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ উঠলে তাকে 41A নোটিশ দিয়ে ডেকে পাঠানো হবে? নাকি সরাসরি গ্রেফতার করা হবে? এরপরে তিনি জানান, অভিযুক্ত ও নির্যাতিতা মধ্যে ভালোবাসার সম্পর্ক ছিল। কিন্তু বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস করা হয়। নাবালিকাকে গর্ভপাত করাতেও বাধ্য করা হয়েছিল বলে অভিযোগ করেন তাঁর আইনজীবী। এরপরেই তিনি বলেন, যদি ভালোবাসার সম্পর্কই থাকে তাহলে অভিযুক্ত নির্যাতিতাকে বিয়ে করুক।

বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের অভিযোগ ওঠে শুভদীপের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, নাবালিকাকে দিঘার হোটেলে ডেকে পাঠিয়ে ধর্ষণ করা হয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই ভিডিও ভাইরাল করে দেওয়ার ভয় দেখানো হয়েছিল বলে অভিযোগ নির্যাতিতার পরিবারের। নির্যাতিতা আত্মহত্যার চেষ্টা করে বলেও অভিযোগ। নির্যাতিতার বাড়িতে হামলা হচ্ছে, হুমকি ফোন আসছে। অভিযোগ প্রত্যাহার করতে বলা হচ্ছে। ধর্ষণের অভিযোগে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতাকে অবিলম্বে গ্রেফতার করার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে,প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন শুভদীপ গিরি। সেই নির্দেশে হস্তক্ষেপ করল না প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।

 

Previous articleকেরিয়ার শেষ করে দেওয়ার হু*মকি প্রাক্তন স্ত্রীর! আদালতের দ্বারস্থ ধাওয়ান
Next articleভ*য়াবহ ভূমিকম্পে বিপর্যস্ত তুরস্ক! লাফিয়ে বাড়ছে মৃ*তের সংখ্যা, সাহায্যের আশ্বাস মোদির