রাজ্যপাল (Governor) সি ভি আনন্দ বোসকে (C V Anand Bose) একাধিকবার বিভিন্ন ইস্যুতে নিশানা করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। গত বুধবার বিধানসভার (Assembly) বাজেট অধিবেশনে (Budget Session) রাজ্যপাল বক্তব্য রাখার সময়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) নেতৃত্বে বিজেপি বিধায়করা স্লোগান দিতে শুরু করেন। তাঁরা কখনও বলেন ‘শেম শেম’ (Shame Shame)। কখনও বলেন ‘হায় হায়’। রাজ্যপালের বিরুদ্ধে গো ব্যাক স্লোগান দিতেও শোনা যায়। তবে শত বাধা উপেক্ষা করেও এদিন রাজ্যপাল অত্যন্ত ধৈর্যের সঙ্গে নিজের বক্তৃতা শেষ করেন। আর বিজেপি বিধায়কদের এমন অসভ্যতামির জন্য চরম ক্ষুব্ধ হন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। আর এই আবহেই শনিবার সাত সকালে রাজভবনে যান বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumder)। এদিন প্রায় ২ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে দুজনের মধ্যে বৈঠক হয় বলে খবর।

শনিবার রাজ্যপালের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ বৈঠকের পর সুকান্ত রাজভবনের বাইরে বেরিয়ে এসে সাংবাদিকদের জানান, রাজ্যের একাধিক বিষয় নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে তাঁর। বিভিন্ন বিষয়ে রাজ্যপাল তাঁকে আশ্বাসও দিয়েছেন। সুকান্ত জানান, রাজ্যপাল আশ্বস্ত করে বলেছেন, সবার উপরে সংবিধান। তার উপরে কিছু নেই। সুকান্তর সংযোজন, রাজ্যপাল জানিয়েছেন দুর্নীতির সঙ্গে জিরো টলারেন্স (Zero Tolerance) নীতি তাঁর। পাশাপাশি, রাজ্যপাল আরও জানিয়েছেন, রাজনীতিতে হিংসার কোনও জায়গা নেই। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় হিংসার ঘটনা ঘটেছে। এই সব ব্যাপারেই আমাদের কথা হয়েছে। সুকান্ত জানান, রাজ্যপালের ভূমিকায় তিনি অত্যন্ত খুশি।

তবে বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) জানিয়েছেন, রাজ্যপাল যেমন দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করছেন ঠিক তেমনই তৃণমূল কংগ্রেসও দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করছে। আমি এতদিন জানতাম রাজ্যপালের সচিব আইএএস নন্দিনী চক্রবর্তী। কিন্তু রাজ্যপাল যে সুকান্ত মুমদারকে নতুন পাবলিক রিলেশন আধিকারিক (PRO) হিসাবে নিযুক্ত করেছেন সেটা জানা ছিল না। তবে আমরা জানতে পেরেছি সুকান্ত মজুমদার এদিন রাজ্যপালের কাছে ক্ষমা চাইতে গিয়েছিলেন।

কুণাল এদিন আরও বলেন, কয়েকদিন আগে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিধানসভায় যে অসভ্যতা হয়েছে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে যে কুরুচিকর মন্তব্য করা হয়েছে তাতে তিনি অত্যন্ত অসন্তুষ্ট হয়েছেন, তিনি অত্যন্ত মর্মাহত। হাত জোড় করে শুভেন্দুর হয়ে ক্ষমা চাইতে গিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। আর পুরো বিষয়টিকে ধামাচাপা দিতে রাজভবনের বাইরে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অন্য কথা বলেছেন সুকান্ত মজুমদার।