ঘরের মাঠে ফের জয় অধরা পিএসজি-র। লিয়োনেল মেসি, নেইমার এবং এমবাপের দল চ্যাম্পিয়ন্স লিগে মঙ্গলবার রাতে বায়ার্ন মিউনিখের কাছে ১-০ গোলে হারল। ঘরের মাঠে এই হার পিএসজিকে আরও কঠিন লড়াইয়ের সামনে ঠেলে দিল। কেননা দ্বিতীয় পর্বে তাদের খেলতে হবে বায়ার্নের ঘরের মাঠে। সেখানে অপ্রতিরোধ্য বায়ার্নকে হারানো অত্যন্ত কঠিন।
বায়ার্নের হয়ে একমাত্র গোলটি করেন কিংসলে কোমান।কাকতালীয়ভাবে পিএসজি-র যুব দল থেকেই বেড়ে উঠেছেন কোমান। এমনকী বেশ কয়েক বছর সিনিয়র দলে খেলেছেন। তিনিই দ্বিতীয়ার্ধে গোলটি করেন। তথ্য বলছে ২০২০-র চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে বায়ার্ন-পিএসজি ম্যাচে কোমানই গোল করেছিলেন। এ বারও গোল করে জার্মান ক্লাবকে কোয়ার্টার ফাইনালের দিকে এক ধাপ এগিয়ে দিলেন তিনি।
এদিন মেসি এবং নেইমার শুরু থেকেই দলে ছিলেন। চলতি বছরের ঘরের মাঠে পাঁচটি ম্যাচে হারল পিএসজি। প্রথমার্ধে পিএসজি ভাল খেললেও দ্বিতীয়ার্ধে বায়ার্ন চাপ বাড়াতে থাকে এবং গোলও পেয়ে যায়। আগামী ৮ মার্চ মিউনিখে দ্বিতীয় পর্বের খেলা।
বায়ার্নের কোচ জুলিয়ান নাগেলসম্যান বলেছেন, “প্রথম ২৫ মিনিট আমরা ভালই খেলেছি। মাঠে সেরা দলটাই জিতেছে। গুরুত্বপূর্ণ জয়, কিন্তু দ্বিতীয় পর্ব এখনও বাকি।” অনেকেই মনে করেছিলেন যে এই ম্যাচে চোটের কারণে এমবাপে খেলতে পারবেন না। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে তিনি মাঠে নামতেই আক্রমণে ঝাঁঝ আসে পিএসজির। নিজের ছন্দেই ছিলেন এমবাপে।
তাঁর করা গোল অফসাইডের কারণে বাতিল হয়ে যায়। ৭৪ মিনিটে তাঁর দুর্দান্ত শট বাঁচান বিপক্ষ গোলকিপার ইয়ান সমার। তবে শেষ পর্যন্ত দলকে জেতাতে পারেননি।সংযুক্তি সময়ে মেসিকে ট্যাকল করতে গিয়ে সরাসরি লাল কার্ড দেখেন বঁজামা পাভা।
যদিও ঘরের মাঠে হেরেও আত্মবিশ্বাসী এমবাপে মনে করেন, শেষ আটে ওঠা সম্ভব। ম্যাচের পর তিনি বলেছেন, ম্যাচের শেষ দিকটা মনে করুন। পিছিয়ে থেকেও আমরা লড়াই করেছি এবং ওদের উপর চাপ দিয়েছি। আশা করি দ্বিতীয় পর্বে দলের খেলোয়াড়রা নিজেদের নিংড়ে দেবে। এই ম্যাচে খেলার কথা ছিল না। কিন্তু সতীর্থদের সাহায্য করতেই মাঠে নামি।