চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রীকে বিয়ের প্রস্তাব, ‘শাস্তিস্বরূপ’ বসেই বেতন পাচ্ছেন শিক্ষক!

শিক্ষকের নাম পরিমল কুমার বাইন। পঞ্চাশোর্ধ্ব শিক্ষক তাঁরই স্কুলের এক চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীকে বিয়ে করতে চেয়ে ফোন করেন ছাত্রীর মাকে। পরে সেকথা নিজের মুখেও স্বীকার করেন।

পেশায় শিক্ষক (Teacher)। বয়স ৫৭ বছর। আর তাঁর জ্বালায় অতিষ্ঠ সহকর্মী শিক্ষক (Teacher) থেকে শুরু করে মিড ডে মিলের (Mid Day Meal) কর্মীরা। বাদ যাচ্ছে না স্কুলের ছোট ছাত্রীরাও। যে কারণে বাধ্য হয়ে তাঁকে কোনও স্কুলেই পাঠানোর ঝুঁকি নিচ্ছেন না কেউ। ফলে গত ৬ মাস অবর বিদ্যালয় পরিদর্শকের অফিসে বসে বসেই বেতন পাচ্ছেন ওই শিক্ষক। হ্যাঁ, ঠিকই শুনেছেন। এমনই ঘটনা ঘটেছে নদীয়ার (Nadia) রানাঘাটে। তবে স্কুল শিক্ষকের বিরুদ্ধে যে সমস্ত অভিযোগ আছে তা রীতিমতো চমকে দেওয়ার মতো। নদিয়ার রানাঘাটের চিনাপুকুরিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঘটনা।

জানা গিয়েছে, কখনও সহকর্মী শিক্ষকদের সঙ্গে অভব্য আচরণ, মিড ডে মিলের কর্মীদের সঙ্গে অশান্তির জেরে একাধিকবার তাঁকে সাবধান করা হয়েছিল। এমনকি অন্য স্কুলেও বদলি করে দেওয়া হয়। কিন্তু তাতেও লাভের লাভ কিছুই হয়নি। সেই পুরনো ফর্মেই ছিলেন শিক্ষক। তবে সবচেয়ে আশ্চর্যজনক বিষয় হল, সম্প্রতি নিজের স্কুলেরই চতুর্থ শ্রেণীর এক ছাত্রীকে বিয়ে করতে চেয়ে তার মাকে সোজা ফোন করে বসেন। আর তাতেই বাধে গণ্ডগোল। পরে অভিযোগের ভিত্তিতে স্কুলে যেতে পুরোপুরি নিষেধ করে দেওয়া হয়েছে ওই শিক্ষককে। আর সেকারণেই বিগত ৬ মাস অবর বিদ্যালয় পরিদর্শকের অফিসে বসেই বেতন পাচ্ছেন তিনি। জানা গিয়েছে, শিক্ষকের নাম পরিমল কুমার বাইন। পঞ্চাশোর্ধ্ব শিক্ষক তাঁরই স্কুলের এক চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীকে বিয়ে করতে চেয়ে ফোন করেন ছাত্রীর মাকে। পরে সেকথা নিজের মুখেও স্বীকার করেন। অভিযুক্ত শিক্ষক বলেন, হ্যাঁ, আমি ফোন করে বলেছিলাম ওই ছাত্রীর মাকে, আপনার মেয়েকে পছন্দ হয়, দেখুন দেওয়া যায় কি না।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে তাঁকে অন্য সকুলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। ২ বছর পর আবার চিনাপুকুরিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ফিরে আসেন। তারপরই গত বছরের জুনে এই কাণ্ড ঘটান অভিযুক্ত শিক্ষক। এরপরই ওই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অবর বিদ্যালয় পরিদর্শকের কাছে অভিযোগ জানান। ২০২২ সালের জুলাই মাসে অভিযুক্ত শিক্ষককে ওই স্কুল থেকে তুলে নেওয়া হয়। আর তারপর থেকেই গত ৬ মাস বসে বসে বেতন পাচ্ছেন তিনি। তবে রানাঘাট-১ চক্রের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শকের অফিসে অবশ্য রোজ হাজিরা দেন পরিমল। যদিও নিজের বিরুদ্ধে যাবতীয় অভিযোগ স্বীকার করে নেওয়ার পর অভিযুক্ত শিক্ষকের বক্তব্য এভাবে বসে বসে মাইনে পেতে ভাল লাগছে না।

 

 

Previous articleফের কর্মবিরতির ডাক সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের! প্ররোচনার পা না দেওয়ার পরামর্শ তৃণমূলের
Next articleশুধু প্রতিবাদ নয়, এই নির্বাচন দুর্নীতিগ্রস্ত NPPকে শাস্তি দেওয়ার: মেঘালয়ে সরব অভিষেক