শুধু প্রতিবাদ নয়, এই নির্বাচন দুর্নীতিগ্রস্ত NPPকে শাস্তি দেওয়ার: মেঘালয়ে সরব অভিষেক

“ডবল ইঞ্জিনের ৫ বছর মেঘালয়কে আরও পিছিয়ে দিয়েছে। এখানে না আছে কোনও মেডিক্যাল কলেজ, না আছে হেলথ কার্ড, না আছে রাস্তা ঘাট। হাসপাতালে ডাক্তার নেই, স্কুলে শিক্ষক নেই। আগামী ২৭ তারিখ সময় আসছে এই দুর্নীতিগ্রস্ত এনপিপি সরকারকে(NPP Govt) শাস্তি দেওয়ার।” ঠিক এই ভাষাতেই বৃহস্পতিবার মেঘালয়ের(Meghalaya) কনরাড সরকারকে তোপ দাগার পাশাপাশি তৃণমূল(TMC) শাসনে মেঘালয়ে উন্নয়নের স্বপ্ন দেখালেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়(Abhisekh Banerjee)।

বৃহস্পতিবার মেঘালয়ের গারো পাহাড়ের উইলিয়ামনগরে জনসভায় উপস্থিত হয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “৫ বছর মেঘালয়ে এনপিপি সরকার রয়েছে নিজের রাজ্যে কনরাড সরকার মানুষের উন্নয়নে কী করেছে তার রিপোর্ট কার্ড আনুন। আর বাংলায় আমরা কী করেছি কতগুলি সামাজিক প্রকল্প রয়েছে তার রিপোর্ট কার্ড আনব। এখানে না আছে হেলথ কার্ড, না আছে রাস্তা ঘাট। হাসপাতালে ডাক্তার নেই, স্কুলে শিক্ষক নেই। এখানে এক পুতুল সরকারে রয়েছে যে শুধু নিজের ও নিজের পরিবারের কথা ভাবে। এই মেঘালয় গড়তে ভোট দিয়েছিলেন আপনারা? সময় এসেছে মেঘালয়ের হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনার। বাংলায় সামাজিক সুরক্ষা কী কী রয়েছে আপনারা দেখুন তারপর ভোট দিন। আগামী ২৭ তারিক সময় আসছে। এই নির্বাচন প্রতিবাদের নয়, নির্বাচনের নয়, এই নির্বাচন শাস্তি দেওয়ার দুর্নীতিগ্রস্ত এনপিপি সরকারকে, যে আপনাদের আস্থার সঙ্গে সমঝোতা করেছে, আপনাদের বিশ্বাসকে বিক্রি করেছে।”

বাংলার সঙ্গে তুলনা টেনে এদিন অভিষেক বলেন, “বাংলায় ২৩ টা মেডিক্যাল কলেজ রয়েছে। বাংলায় জেলা রয়েছে ২৩ টি। সেই হিসেবে এখানে ১২ টি মেডিক্যাল কলেজ থাকা উচিত। কিন্তু একটাও নেই। আপনারা তৃণমূলকে ভোট দেবেন আপনাদের ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে। তৃণমূল ক্ষমতায় এলে বাংলার মতো এখানকার মহিলারা মাসিক ১ হাজার টাকা পাবেন বছরে ১২ হাজার টাকা। বাংলার মতো পাবেন হেলথ কার্ড। একের পর এক সামাজিক সুরক্ষা। কেন সর্বদা উপেক্ষিত হয়ে থাকবে মেঘালয়? সময় এসেছে পরিবর্তনের। বাংলা পারলে মেঘালয়ও পারবে। পুতুল সরকারকে উৎখাত করে এমন একজন নেতা মেঘালয় পাবে যে মানুষের স্বার্থে লড়াই করবে।

এর পাশাপাশি অভিষেক আরও জানান, “সংসদে এনপিপির সদস্য রয়েছে অথচ একবারও মেঘালয়ের গারো ও খাসি ভাষাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দেওয়ার দাবি তোলা হয়নি সংসদে। এই দাবি সংসদে একমাত্র তৃণমূল তুলেছে।” একইসঙ্গে কনরাড সরকারকে তোপ দেগে তিনি বলেন, আসাম পুলিশের গুলিতে এখানকার ৫ জন মানুষের মৃত্যু হল, তার তদন্ততো দূরের কথা একটা নোটিশও পাঠানো হল না। এই পুতুল সরকার তার নিজের রাজ্যের মানুষের কথা ভাবে না। শুধু মাথা নত করে রেখেছে দিল্লি ও অসমের কাছে। সময় এসেছে এই সরকারকে উৎখাত করে ছুড়ে ফেলে দেওয়ার।

Previous articleচতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রীকে বিয়ের প্রস্তাব, ‘শাস্তিস্বরূপ’ বসেই বেতন পাচ্ছেন শিক্ষক!
Next article“প্রাসাদ বিক্রি করে বিজেপি বিধায়ক কিনে সরকার গড়ব”! বিস্ফোরক দাবি ত্রিপুরার মহারাজা প্রদ্যোতের