“প্রাসাদ বিক্রি করে বিজেপি বিধায়ক কিনে সরকার গড়ব”! বিস্ফোরক দাবি ত্রিপুরার মহারাজা প্রদ্যোতের

যখন বিরোধীরা শাসক বিজেপির বিরুদ্ধে ভোটে সন্ত্রাসের অভিযোগ করছে, ঠিক তখনই উলট পুরাণ গোলাঘাটি বিধানসভা কেন্দ্রে। সেখানে বিজেপি প্রার্থী হিমানী দেববর্মা অভিযোগ করেছেন, তাঁকে বুথে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়েছে। অভিযোগের তির তিপ্রা মথার দিকে।

যদি প্রয়োজন হয়, তাহলে ভোটের ফলাফলের পর প্রাসাদ বিক্রি করে বিজেপি বিধায়ক (BJP MLA) কিনে নেবেন বলে চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন তিপ্রা মথার (Tipra Motha) প্রধান তথা ত্রিপুরা রাজপরিবারের সদস্য মহারাজা প্রদ্যোৎ মাণিক্য দেববর্মা (Pradyut Manikya Dev Varma)। আজ বিধানসভা ভোট চলাকালীন তিনি দাবি করেন, এবার ভোটে রাজ্যের শাসক দল বিজেপির একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী তিপ্রা মথা। প্রদ্যোৎ মাণিক্য দেববর্মার কথায়, তিপ্রা মথাই একমাত্র বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করছে। এরপরই তিনি স্পষ্ট জানান, ত্রিপুরা নির্বাচনে যদি তাঁর দল একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে ব্যর্থ হয়, তাহলে তিনি বিজেপি বিধায়কদের কেনার কথা ভাববেন। এই সম্ভাবনা যে তাঁর পরিকল্পনায় রয়েছে, অকপটে জানিয়েছেন “বুবাগ্রা”।

এদিকে ভোটগ্রহণের শেষলগ্নে তিনি ভোটারদের উদ্দেশে আবেদন করেন, ভোট খুব ধীর গতিতে হচ্ছে বলে কেউ যেন ভোটের লাইন ছেড়ে চলে না যান। তাহলে বিজেপি ফায়দা নেবে। নিজের ভোট দিয়ে তবেই বাড়ি ফিরুন। রাজ্যে সার্বিকভাবে ৯০ শতাংশ ভোট পড়বে বলেই আশাবাদী তিপ্রা সুপ্রিমো।

এদিকে যখন বিরোধীরা শাসক বিজেপির বিরুদ্ধে ভোটে সন্ত্রাসের অভিযোগ করছে, ঠিক তখনই উলট পুরাণ
গোলাঘাটি বিধানসভা কেন্দ্রে। সেখানে বিজেপি প্রার্থী হিমানী দেববর্মা অভিযোগ করেছেন, তাঁকে বুথে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়েছে। অভিযোগের তির তিপ্রা মথার দিকে। ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনে ভোট দিয়ে উপমুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণু দেববর্মন দাবি করলেন, তিপ্রা মথা অশান্তি বাঁধানোর চেষ্টা করছে। আদিবাসী জায়গায় বুথগুলিতে বল প্রয়োগ করার চেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। এদিকে বাম-কংগ্রেসের জোট মানুষ টানতে ব্যর্থ বলে দাবি করলেন তিনি।

কাকরাবান বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত দুটি বুথে হাতাহাতির অভিযোগ উঠেছে। জানা গিয়েছে, সেই কেন্দ্রের ৩ থেকে ৪ নম্বর ভোটকেন্দ্রে হাতাহাতির খবর পাওয়া গেছে। সেক্টরের ম্যাজিস্ট্রেট এই বিষয়টি নিয়ে খোঁজ নিয়েছেন। এই ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে।

অন্যদিকে, নির্বাচনী আচরণবিধি কার্যকর হয়ে যাওয়ার পর নিজেদের অফিসিয়াল টুইটার হ্যান্ডেল থেকে নির্বাচনী প্রচার চালানোর অভিযোগ উঠেছে ত্রিপুরার কংগ্রেস ও বিজেপির বিরুদ্ধে। “নিজেদের দলকে ভোট দেওয়ার আবেদন” করার জন্য কংগ্রেস ও বিজেপিকে নোটিশ পাঠানো হয় মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরের তরফে।

 

 

Previous articleশুধু প্রতিবাদ নয়, এই নির্বাচন দুর্নীতিগ্রস্ত NPPকে শাস্তি দেওয়ার: মেঘালয়ে সরব অভিষেক
Next articleপরকীয়ায় মজেছে স্ত্রী , প্রেমিকের সঙ্গে মিলে স্বামীর গোপনা**ঙ্গ কেটে খু**নের অভিযোগ !