ফের পাহাড় অচল করার চক্রান্ত, বনধের ডাক বিনয় তামাং-সহ বাকিদের

বিনয় তামাং জানিয়েছেন, আগামী বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যে ৬টা পর্যন্ত বনধের ডাক দেওয়া হয়েছে। যাঁরা গোর্খাল্যান্ড চান তাঁদের প্রত্যেককে এই বনধে শামিল হওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে।

ইতিমধ্যেই রাজ্য বিধানসভায় পাশ হয়েছে বঙ্গভঙ্গ বিরোধী প্রস্তাব। এই পরিস্থিতিতে বঙ্গভঙ্গ বিরোধী প্রস্তাবের বিরুদ্ধে পাহাড়ে আন্দোলনে নামল জিটিএ-র নয় সদস্য। এদিন সকাল থেকে দার্জিলিংয়ের গোর্খা রাঙ্গা মঞ্চ ভবনে প্রতীকী অনশনে বসেছেন জিটিএর সদস্য অজয় এডওয়ার্ড, বিনয় তামাংরা।জানা গিয়েছে, ২৪ ঘণ্টা তাঁরা এই অনশন চালাবেন।এমনকী এর প্রতিবাদে আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি দার্জিলিংয়ে ১২ ঘণ্টা বনধের ডাক দিয়েছেন তাঁরা। বিনয় তামাং জানিয়েছেন, আগামী বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যে ৬টা পর্যন্ত বনধের ডাক দেওয়া হয়েছে। যাঁরা গোর্খাল্যান্ড চান তাঁদের প্রত্যেককে এই বনধে শামিল হওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে।

কিছুদিন আগে এক বৈঠকে অজয় এডওয়ার্ড, বিনয় তামাংরা ফের গোর্খাল্যান্ড দাবির স্বপক্ষে সুর চড়িয়েছিলেন। তাঁরা গোর্খাল্যান্ড সংঘর্ষ সমিতি গঠন করেছেন।তারা বলছেন,এবার আন্দোলন শুধুমাত্র গোর্খাল্যান্ডের জন্য। অন্য কোনও বিকল্প নয়।বিনয় তামাং বলেছেন, ‘দার্জিলিং-গোর্খা হিল কাউন্সিল, গোর্খা টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান অনেক হল। এবার আমাদের পৃথক রাজ্য চাই।

বৃহস্পতিবার মাধ্যমিক শুরু। ওইদিন পাহাড় বনধের ডাক অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক বলছেন পর্ষদ সভাপতি। যদিও পাহাড়ে নির্বিঘ্নেই মাধ্যমিক হবে বলে জানিয়েছেন পর্ষদ সভাপতি।

প্রসঙ্গত,মঙ্গলবার দুপুরে শিলিগুড়ির কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে সরকারি অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।সেই সময় বিনয় তামাংদের এই অনশন ঘিরে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। সেখানে সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। ভাষা দিবসের অনুষ্ঠানের পাশাপাশি বেশ কিছু উদ্বোধন, শিলান্যাস ছাড়াও কয়েকটি জেলার মানুষকে জমির পাট্টা তুলে দেবেন। সেখানে বিজেপির বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রী কী বার্তা দেবেন সেদিকে নজর সবার। মঙ্গলবার উত্তরবঙ্গে রাত্রিবাস করে বুধবার মেঘালয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন তৃণমূল সুপ্রিমো।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

Previous article‘আপন বাংলা পোর্টাল’: ভাষা দিবসে প্রবাসী বাঙালিদের একসুতোয় বাঁধলেন মুখ্যমন্ত্রী
Next articleভাষা দিবসে নাম না করে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে ‘ফ্যাসিস্ট’ বললেন সুবোধ