‘আমরা মন্দিরের ঘণ্টার মতো, যে যেমন খুশি বাজিয়ে চলে যায়’! কেন অভিমানী নায়িকা?

সিনেমার নাম ‘ডাল বাটি চুরমা।’ বলতে পারেন একটু অন্যরকমই । কিন্তু নামকরণে কী যায় আসে ! আর বাংলা ছবির জগতে সচরাচর নায়িকাদের প্রযোজক হিসাবে দেখাটাও বিরল।

হ্যাঁ, ঠিকই ধরেছেন । টলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী কৌশানী মুখোপাধ্যায় এখন প্রযোজকও বটে।

নিজের প্রযোজিত প্রথম ছবি এটি। সবার ভালো লাগবে এমন গ্যারান্টি নেই। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সোজাসাপ্টা অভিনেত্রী বলছেন , আমরা আসলে মন্দিরের ঘণ্টা, যে পারে এসে বাজিয়ে চলে যায়। পাবলিক ফিগার হওয়া মানেই অলিখিত ঘোষণা, যে যেমন খুশি কথা বলতে পারে। ট্রল করতে পারে। আমরা এগুলো নিয়েই সংসার করি। নেতিবাচক মন্তব্য এখন আমি উপভোগ করি।
নায়িকা কী তবে অভিমান নিয়ে এমন বললেন ? ইন্ডাস্ট্রিতে নানারকম বৈষম্যের বিষয়ে তিনি বলেন, এমন অনেক সময় হয়েছে, একটা ছবিতে নায়কের তুলনায় অনেক বেশি অংশ আমার। আমায় অনেক বেশি দিন সময় দিতে হয়েছে। কিন্তু শেষে নায়ককেই বেশি পারিশ্রমিক দেওয়া হয়েছে, আমায় নয়। আমি বনিকে অনেকবার প্রশ্ন করেছি। অনেক সময় বনির সঙ্গেই হয়তো ছবি করছি। ওর থেকে আমায় অনেক বেশি দিন সেই ছবির জন্য শুট করতে হয়েছে। কিন্তু দিনের শেষে আমাকে ওর থেকে কম টাকাই দেওয়া হয়েছে। তখনই বনিকে আমি বলেছিলাম— কেন এমনটা হয়?
খুবই স্বাভাবিক এই যুক্তি। তবে একটা বিষয় কিন্তু সোজা সাপ্টা নায়িকা। কৌশানী বলেন, ও নিজে খেটে এই জায়গা তৈরি করেছে। বনি যদি কাউকে গিয়ে বলে, কৌশানীকে এত টাকা দাও, সেটা তো সম্ভব নয়। কৌশানী বললেই শুনছে না, বনি বললে কীভাবে শুনবে! আসলে অভিনেতাদের হাতে কিছু নেই।
তবে প্রযোজক নায়িকার গলায় কিন্তু আত্মবিশ্বাসের সুর। তিনি বলেছেন, সামনে তো অনেকেই বলছেন,খুব ভাল হয়েছে। সবাই লিখে পাঠাচ্ছেন ‘অল দ্য বেস্ট।’ শুনেছি পিছনে অনেকে বলছেন, ‘‘দেখব কত দিন চালাতে পারে। দেখব ছবিটা কী দাঁড়ায়!’’ এটা একটা বড় চ্যালেঞ্জ। আমার মনে হয় ছবিটা দর্শকের ভাল লাগবে।