শনিবার মহারণ, ডার্বি নিয়ে মুখ খুললেন বাগানের তিন তারকা

দুই প্রধানে ডার্বির প্রস্তুতিও চলছে জোরকদমে। মোহনবাগান আইএসএল প্লে-অফ নিশ্চিত করলেও ইস্টবেঙ্গল খেতাবি লড়াইয়ে নেই।

আগামী শনিবার চলতি আইএসএলের ফিরতি ডার্বি। যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ইস্টবেঙ্গলের মুখোমুখি এটিকে মোহনবাগান। ইস্টবেঙ্গলের এটা হোম ম্যাচ। দুই প্রধানে ডার্বির প্রস্তুতিও চলছে জোরকদমে। মোহনবাগান আইএসএল প্লে-অফ নিশ্চিত করলেও ইস্টবেঙ্গল খেতাবি লড়াইয়ে নেই। তবুও এই ম‍্যাচকে হালকা ভাবে নিতে নারাজ বাগান ব্রিগেড। অনুশীলনে সেট পিস থেকে পজেশনাল ফুটবল, সব দিকেই নজর বাগান কোচ জুয়ান ফেরান্দোর। তার আগে ডার্বি নিয়ে মুখ খুললেন দলের তিন ফুটবলার দিমিত্রি পেত্রাতোস, স্লাভকো ডামজানোভিচ, শুভাশিষ বসু।

এদিন ডার্বি নিয়ে পেত্রাতোস বলেন, ডার্বি বিশ্বের যেখানেই খেলা হোক, সব সময়ই সেটা মর্যাদার ম্যাচ। আমি অস্ট্রেলিয়ায় বিভিন্ন ক্লাবের হয়ে বেশ কয়েকটা ডার্বি খেলেছি। যে মানসিকতা নিয়ে সেখানে খেলেছি এখানেও সেই মানসিকতা নিয়েই খেলতে নামি। ইস্টবেঙ্গল প্লেঅফ থেকে ছিটকে গিয়েছে বলে ডার্বিতে মোটিভেশন পাবে না, এটা মনে করি না। ইস্টবেঙ্গল যথেষ্ট শক্তিশালী দল। বিশেষ করে ওদের আক্রমণভাগ এবং উইংপ্লে যথেষ্ট শক্তিশালী। লিগ চ্যাম্পিয়নদের হারিয়ে এসে আমাদের বিরুদ্ধে খেলতে নামছে। ফলে ওদের খাটো করে দেখার কোনও কারণ নেই।”

সবুজ-মেরুণ সমর্থকদের প্রত্যাশা পূরণ করাটা কর্তব্যের মধ্যে পড়ে, সেটিও জানিয়েছেন দিমিত্রি। বাগান সমর্থকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “সবুজ-মেরুণ সমর্থকদের কাছে এই ম্যাচ যেমন মর্যাদার, তেমনই আমাদের কাছেও। প্লেঅফে খেলতে নামার আগে এটা আমাদের শেষ লিগ ম্যাচ। তাই জিততেই হবে। তিন নম্বরে থাকার লড়াইও আমাদের। সব থেকে বড় কথা, মাঠ ভর্তি সবুজ-মেরুণ সমর্থকরা থাকবেন, তাদের খুশি করাটা আমাদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।”

বাগানের আরেক ফুটবলার স্লাভকো ডামজানোভিচের মুখে আবার লাল-হলুদের ক্লেইটন সিলভার প্রশংসা। ক্লেইটনের প্রশংসা করে ডার্বি নিয়ে তিনি বলেন,” ইস্টবেঙ্গলের সব থেকে শক্তিশালী হল ওদের আক্রমণভাগ। ওদের ক্লেইটন সিলভা খুব ভালো স্ট্রাইকার। সুযোগসন্ধানী, গোলটা চেনে। ১২টা গোল করেছে এবার। কিন্তু ও যখন অন্য ক্লাবে খেলত তখন আমিও অন্য ক্লাবের জার্সিতে আইএসএলের মাঠে ক্লেইটনের বিরুদ্ধে দুবার খেলেছি। একবারও আমাকে হারাতে পারেনি। ওর খেলার ধরণটা আমি জানি। এবারও আমার সঙ্গে পারবে না। মানে, গোল করতে দেব না এই শপথ নিয়েই নামব।”

শুভাষিশ বসু ডার্বি নিয়ে বলেন,” আজ পর্যন্ত কোনও ডার্বিতে আমি হারিনি। গত সাতটা ডার্বিতে জিতেছি। সেই রেকর্ড অক্ষত রাখতে চাই। এবারও জিতব। জিততেই হবে। কারণ আমাদের তিন নম্বরে থেকে নিজেদের মাঠে খেলার সুবিধাটা সুনিশ্চিত করতে হবে। আগে তিন নম্বরে তো থাকি, তারপর প্লেঅফে কে সামনে পড়বে দেখব। প্লেঅফ থেকে ছিটকে গেলেও ইস্টবেঙ্গল ভালো খেলছে। শেষ ম্যাচে তো লিগ চ্যাম্পিয়নদের হারিয়েছে। ওদের এই টুর্নামেন্ট থেকে আর হারানোর কিছু নেই। সর্বশক্তি নিয়ে তাই ঝাঁপাবে। কারণ কলকাতায় সমর্থকদের আমি যতটা জানি তাতে, সব ম্যাচ হারলেও ডার্বি জিতলে সব কিছু ভুলে যায় ওরা।”

আরও পড়ুন:ক্রীড়ামন্ত্রীকে চিঠি আইএফএ-র

 

 

 

 

Previous articleশান্তিনিকেতন ছাড়ছেন অমর্ত্য! ‘বিতর্কিত জমি’ ইস্যুতে কী বললেন নোবেলজয়ী?
Next articleSukesh Chandrasekhar : প্রতা*রণার দায়ে জেলে, তবু পায়ে দেড় লাখের চপ্পল এখনও !