বনধের রাজনীতি থেকে বাংলাকে মুক্ত করেছি: পাহাড় বনধ প্রত্যাহার নিয়ে মন্তব্য মমতার

মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, উন্নয়ন যদি স্তব্ধ হয়ে যায়, তাহলে বাংলা এগোবে না। ১০ জন মিলে রাস্তা বন্ধ করে দেবে, আর লাখো লোক আটকে যাবে এটা হতে পারে না। অ্যাম্বুল্যান্স, পরীক্ষার্থী, বয়স্ক ব্যক্তি- ঘণ্টার পর ঘণ্টা পর বসে থাকবেন- সেটা বরদাস্ত করা যায় না।

তাঁর কড়া হঁশিয়ারির পরেই পাহাড় বনধের সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে আসতে বাধ্য হন বিনয় তামাং, অজয় এডওয়ার্ডরা। মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রথমদিন স্বাভাবিক ছন্দে পাহাড়। সফর সেরে ফেরার পথে বৃহস্পতিবার শিলিগুড়ি (Siliguri) বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) জানান, বাংলাকে বনধের রাজনীতি থেকে মুক্ত করেছেন তিনি।

সাংবাদিকরা মুখ্যমন্ত্রীকে জানান, তাঁর ‘ধমকে’ই বনধ তুলতে বাধ্য হয়েছেন আন্দোলনকারীরা। এর উত্তরে মমতা বলেন, “আমি কাউকে ধমকাই না। আবেদন করি। আমি বনধ সমর্থন করি না। রাস্তায় গতি যদি বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে উন্নয়ন আটকে যাবে। মানুষের কল্যাণের জন্যই উন্নয়ন।“ এরপরেই মুখ্যমন্ত্রী জানান, শুধু পাহাড়ে নয়, “বনধের রাজনীতি থেকে বাংলাকে মুক্ত করেছি, ১১বছর আগেই।“ বনধ-অবরোধের বিরুদ্ধে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, উন্নয়ন যদি স্তব্ধ হয়ে যায়, তাহলে বাংলা এগোবে না। ১০ জন মিলে রাস্তা বন্ধ করে দেবে, আর লাখো লোক আটকে যাবে এটা হতে পারে না। অ্যাম্বুল্যান্স, পরীক্ষার্থী, বয়স্ক ব্যক্তি- ঘণ্টার পর ঘণ্টা পর বসে থাকবেন- সেটা বরদাস্ত করা যায় না। এমনকী, তাঁর গাড়ি গেলেও তিনি সামনের গাড়ি আটকাতে বারণ করেন বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।

মমতা বলেন, পরীক্ষার ৭২ ঘণ্টা আগে থেকে রাজ্যে কোথাও প্রকাশ্যে মাইক বাজানোর নিয়ম নেই। কোনও অনুষ্ঠান করলে সেটা ইনডোরে, অনুমতি নিয়ে করতে হবে। রাজ্যের উন্নয়নের স্বার্থ তিনি যে কোনও বাধা আসতে দেবেন না, সেটা স্পষ্ট বুঝিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী।

 

 

Previous article‘কুকীর্তি’ফাঁস! ২১ বছর পরে শ্রীঘরে বিজেপি বিধায়ক ভনওয়ারলাল
Next articleদুর্ঘটনা থেকে পথচারীদের রক্ষার্থে অভিনব উদ্যোগ হাওড়া ব্রিজ ট্রাফিক গার্ডের ওসির