নদিয়ার আইটিআই মডেল দেশের সেরা , বলছে মোদির নীতি আয়োগ

দেশের সেরা আবারও বাংলা মডেল। দেশের সেরা হয়েছে নদিয়া জেলার নাকাশিপাড়া আইটিআই। বাংলার এই মডেল অন্যান্য রাজ্যকেও অনুসরণ করার সুপারিশ করেছে কেন্দ্রীয় সরকারের নীতি আয়োগ। কেন্দ্রের এই রিপোর্ট বিজেপি ও বিরোধীদের মুখে ঝামা ঘষে দিয়েছে।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিকল্পনায় বাংলার এই কলেজ প্রাইভেট ট্রেনিং পার্টনার বা PTP মডেলে গড়ে উঠেছে। কী এই PTP মডেল ? এই কলেজ নির্মাণের জন্য রাজ্য সরকার জমি দিয়েছে। কলেজ ভবনও তৈরি করে দিয়েছে। বাকি মেশিন, শিক্ষকের বেতন, নিত্য খরচ সবই বহন করে বেসরকারি সংস্থা। এই কলেজে সমীক্ষা চালিয়ে নীতি আয়োগ একদিকে যেমন ভূয়সী প্রশংসা করেছে , তেমনি গোটা দেশে এই মডেলকে অনুসরণ করার পরামর্শ দিয়েছে।
নীতি আয়োগের ৯৮ পাতার রিপোর্ট বলছে, অত্যন্ত সহজ এবং সস্তায় কারিগরি শিক্ষার বাংলার এই মডেল গোটা দেশের জন্য অনুকরণযোগ্য। নিশ্চয়ই ভাবছেন কেন এমন মন্তব্য ? নাকাশিপাড়ার এই কারিগরী শিক্ষার কলেজে অষ্টম শ্রেণি পাশ করেই ভর্তি হওয়া যায়। চলে এক অথবা দু’ বছরের হাতেকলমে প্রশিক্ষণ। শিক্ষার্থীদের মাসে দিতে হয় মাত্র ৩০ টাকা। বাকি টাকা রাজ্য সরকার দেয়। শিক্ষার্থী প্রতি ৭ হাজার টাকা অনুদান।

একই সঙ্গে নীতি আয়োগ তাঁদের রিপোর্টে মহিলাদের জন্য তৈরি কলকাতার Woman Industrial Training Institute- এর কথাও বিশেষভাবে উল্লেখ করেছে। বিশ্বব্যাঙ্ক এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ডাইরেক্টরেট অব ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিংয়ের উদ্যোগে চলে ইনস্টিটিউট। এই আইটিআই’য়ে মহিলাদের হাতেকলমে শিক্ষা দিয়ে স্বনির্ভর হতে শেখানো হচ্ছে। ৪৮ আসনের এই প্রতিষ্ঠানে কাজ শিখে সংসারে উপার্জন বৃদ্ধিতে মহিলারা যেভাবে সাহায্য করছেন, তাও উল্লেখযোগ্য। ফলে বাংলা মডেলকেই অনুসরণ করে দেশের আইটিআইগুলিতে পরিবর্তন আনার পক্ষেই সওয়াল করেছে নীতি আয়োগ।

প্রসঙ্গত, সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে গোটা দেশে মোট ১৪ হাজার ৭৮৯টি ITI আছে। সেই সব আইটিআই’র কী হাল, ভবিষ্যতই বা কী, সেখান থেকে শিক্ষাগ্রহণের পর পড়ুয়াদের কতজন চাকরি পাচ্ছেন, কতজনই বা নিজেরা নিজের পায়ে দাঁড়াচ্ছেন, ইত্যাদি বিষয়ে সমীক্ষা চালিয়েছে মোদি সরকারের নীতি আয়োগ। নির্ণয় করা হয়েছে বিভিন্ন আইটিআই’র মান। আর সেই সমীক্ষাতেই উঠে এসেছে বাংলার সাফল্য।

 

Previous articleডিএ-র বিজ্ঞপ্তি জারি, কবে থেকে মিলবে বর্ধিত মহার্ঘ ভাতা?
Next articleআত্মজীবনীর পাতায় ডুবলেন ‘প্রেমিক’ রঞ্জন, নস্টালজিয়ায় রং ধরালেন কুণাল, সত্যম