আত্মজীবনীর পাতায় ডুবলেন ‘প্রেমিক’ রঞ্জন, নস্টালজিয়ায় রং ধরালেন কুণাল, সত্যম

বেপরোয়া প্রশ্নে বরাবরই অকপট রঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়, এই দিনও তার কোনও ব্যতিক্রম হল না। বাচিক শিল্পী সুতপা বন্দ্যোপাধ্যায়(Sutapa Banerjee) 'প্রেমিক' রঞ্জনের প্রসঙ্গ উত্থাপন করতেই সাহিত্যিকের কথায় উঁকি দিল প্রেমের সুধা রস।

সাহিত্যিকের জীবনবোধে ধরা পড়ে স্মৃতিমেদুরতার ছবি। শৈশব কৈশোর যৌবন পেরিয়ে বয়সের বার্ধক্যে ধরা দেয় ফেলে আসা অতীতের টুকরো ছবি। কিন্তু লেখকের নাম যদি হয় রঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায় (Ranjan Bandopadhyay), তাহলে আত্মজীবনীতে সম্পৃক্ত হয় জীবনরসের মোহময়তা। ‘প্রতিভাস’ (Pratibhas Publication)প্রকাশনা সংস্থা বাঙালি পাঠকদের উপহার দিয়েছিল সাহিত্যিক রঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিজের কলমে লেখা আত্মকাহন ‘আমার জীবন রঙের তাস’। অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে এই প্রকাশনা সফলতার শিখর ছুঁয়েছে। তারই সার্বিক সাফল্য উদযাপনে সি আর সি ক্লাবে (CRC Club) আয়োজিত হলো সংলাপ – সংরাগের স্বাদময় সমাবেশ।

 

গানে প্রাণে জমজমাটি সন্ধ্যার বেপরোয়া প্রশ্নে বসন্তের রসে মজলেন সাহিত্যিক রঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাসবিহারী বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক দেবাশিস কুমার (Debasish Kumar), সাংবাদিক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh), টেকনো ইন্ডিয়ার কর্ণধার সত্যম রায়চৌধুরী (Satyam Roy Chowdhury), ছিলেন সৃঞ্জয় বসু (Srinjay Bose), প্রতিভাস প্রকাশনা সংস্থার কর্ণধার ব্রিজেশ সাহা (Brijesh Saha)সহ অন্যান্য বিশিষ্টজনেরা।

বেপরোয়া প্রশ্নে বরাবরই অকপট রঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়, এই দিনও তার কোনও ব্যতিক্রম হল না। বাচিক শিল্পী সুতপা বন্দ্যোপাধ্যায়(Sutapa Banerjee) ‘প্রেমিক’ রঞ্জনের প্রসঙ্গ উত্থাপন করতেই সাহিত্যিকের কথায় উঁকি দিল প্রেমের সুধা রস। ততক্ষণে অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছেন কুণাল ঘোষ। প্রেম পিপাসু রঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনেক অজানা কীর্তি গল্পের আঙ্গিকে তিনিই ফাঁস করলেন সবার সামনে। প্রসঙ্গকে যোগ্য সঙ্গত করলেন টেকনো ইন্ডিয়ার কর্ণধার সত্যম রায় চৌধুরী। ‘রসিক’ সাহিত্যিক তখন সহাস্যে উপভোগ করছেন প্রেমের অতীত সাগর থেকে খুঁজে পাওয়া দুষ্টু মিষ্টি অভিজ্ঞতাদের। মধ্যবিত্ত বাঙালি জীবনের তুলনায় রঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়ের জীবন যে ঘটনা বহুল রঙিন অধ্যায়ের পথ অতিক্রম করেছে, আত্মজীবনীর বিশেষ কিছু অংশ সকলের সামনে পড়তে পড়তে তা স্বীকার করলেন সাহিত্যিক নিজেই। অপারগতা মানুষকে অভিজ্ঞ করে তোলে, তাই আপাত চাকচিক্কের আড়ালে প্রবৃত্তির স্বাভাবিক দুর্বলতায় জীবনের শেষ বিন্দুতে পৌঁছেও আকন্ঠ ভালবাসার তরল পানের আশায় আজও অপেক্ষারত সাহিত্যিক রঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়, যেন এই মর্মেই শেষ করলেন তাঁর কথা।

 

Previous articleনদিয়ার আইটিআই মডেল দেশের সেরা , বলছে মোদির নীতি আয়োগ
Next articleরকমারি সুস্বাদু পদ মন ছুঁয়ে গেল সপ্তম বিশ্ব খাদ্য প্রতিযোগিতায়