টাকা বাংলার অথচ নামে ‘অ্যালার্জি’! কেন্দ্রীয় প্রকল্পের ‘পর্দা ফাঁস’ ফিরহাদের

শুধু কথাতেই কেন্দ্রীয় প্রকল্প (Central Government)। কিন্তু আখেরে দেখা যাচ্ছে সেই প্রকল্পের সিংহভাগ টাকাই দিচ্ছে রাজ্য সরকার (West Bengal Government)। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ওঠে রাজ্যের দেওয়া টাকার পরিমাণও যখন বেশি তাহলে রাজ্য সরকার কোনও প্রকল্পের নাম দিলে তা নিয়ে কেন বিস্তর চেঁচামেচি করেন বিজেপি নেতারা (BJP Leader)? পাশাপাশি এমন অজুহাতে রাজ্যে অনেক প্রকল্পের বরাদ্দ বহুদিন ধরে আটকেও রেখে দিয়েছে কেন্দ্র। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বরাবর জানিয়ে আসছেন, কেন্দ্রীয় প্রকল্প হিসেবে পরিচিত এসব প্রকল্পের অধিকাংশের খরচ বহন করতে হচ্ছে রাজ্য সরকারকেই। সে ক্ষেত্রে কেন রাজ্য এই প্রকল্পের নামকরণ করতে পারবে না তা নিয়ে তিনি প্রশ্ন তোলেন। বৃহস্পতিবার বিধানসভায় এই প্রশ্নেই বিরোধী বিধায়কদের মোক্ষম জবাব দিলেন রাজ্যের পুরো ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)।

বৃহস্পতিবার বিধানসভায় (Assembly) রীতিমতো পরিসংখ্যান দিয়ে ফিরহাদ বিজেপির হাটে হাড়ি ভেঙেছেন। রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের বাজেট (West Bengal Budget) আলোচনায় অংশ নিয়ে বিজেপির একাধিক সদস্য অভিযোগ করেন নাগরিক পরিষেবার উন্নতিতে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের অবদানের কোনও উল্লেখ নেই রাজ্য বাজেটে। এরপরই পুর মন্ত্রী তাঁর জবাবী ভাষণে পাল্টা পরিসংখ্যান পেশ করেন। তিনি সাফ জানান, কেন্দ্রের অন্যতম ফ্ল্যাগশিপ নাগরিক প্রকল্প আমরুতের (Amrut) ৬০ শতাংশ খরচ রাজ্যকে বহন করতে হচ্ছে। কেন্দ্রের বহু বিজ্ঞাপিত হাউসিং ফর অল প্রকল্পের (Housing For All) নাম ‘বাংলার বাড়ি’ করার জন্য বরাদ্দ বন্ধ করে দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। সেই প্রকল্পের ৫৭ শতাংশ খরচ রাজ্য সরকারই দেয়।

পাশাপাশি ফিরহাদ হাকিম পরিষ্কার করে দেন, স্বচ্ছ ভারত মিশন (Swacch Bharat Abhiyan) প্রকল্পেরও ৫৫ থেকে ৬০ শতাংশ খরচ বহন করে রাজ্য সরকার। এরপরই ফিরহাদ বলেন, টাকা দিচ্ছে বাংলার মানুষ। আর রাজ্যের নাম থাকলে অন্যায় ! আসলে বাংলার নামেই ওদের অ্যালার্জি রয়েছে।

 

Previous articleবায়ার্ন ম্যাচের মাঝেই বড় বিপদের হাত থেকে রক্ষা পেলেন মেসি, ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়
Next articleটাকা নেওয়া ঠিক হয়নি: কেন বললেন বনি! ফের তলব শুক্রবার