ধর্মঘটের প্রভাব নেই! মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে রেকর্ড হাজিরা, অন্য দফতরে কত?

সরকারি অফিসগুলিতে ধর্মঘটের তেমন কোনও প্রভাবই পড়েনি। এদিন অফিসগুলিতে হাজিরাই প্রমাণ করেছে কোনও প্ররোচনায় পা দেননি কেউই। তবে আগেভাগেই সরকারি কর্মীদের উপর নজরদারির জন্য কড়া নিয়ম জারি করেছিল রাজ্য প্রশাসন।

বকেয়া মহার্ঘভাতার দাবিতে (DA Strike) শুক্রবার ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল কর্মচারীদের যৌথ সংগ্রামী মঞ্চ। কিন্তু দিন শেষে দেখা গেল, সরকারি অফিসগুলিতে (Government Office) ধর্মঘটের তেমন কোনও প্রভাবই পড়েনি। এদিন অফিসগুলিতে হাজিরাই প্রমাণ করেছে কোনও প্ররোচনায় পা দেননি কেউই। তবে আগেভাগেই সরকারি কর্মীদের উপর নজরদারির জন্য কড়া নিয়ম জারি করেছিল রাজ্য প্রশাসন। এদিন অফিসে প্রবেশ এবং বেরনোর সময়ের পাশাপাশি সারাদিনে আরও দু’বার হাজিরা খাতায় সই করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল অর্থাৎ সরকারি কর্মীদের উপস্থিতি পরখ করতে মোট চারবার সই করার কথা বলা হয়। আর এদিন বিকেলের পর সেই হাজিরা খাতাতেই (Attendance Sheet) দেখা গেল, বেশিরভাগ সরকারি দফতরেই কর্মীদের উপস্থিতির হার প্রায় ৯০ শতাংশের কাছাকাছি। পাশাপাশি এদিন মুখ্যমন্ত্রীর দফতরেও (CMO) ১০০ শতাংশ কর্মীই উপস্থিত থেকে কাজ সামলেছেন।

এদিন কোন দফতরে কত হাজিরা ছিল? দেখুন এক নজরে!

মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে হাজিরা ১০০ শতাংশ

অর্থ দফতরে হাজিরা ৯০ শতাংশ

স্বরাষ্ট্র দফতরে হাজিরা ৯৫ শতাংশ

কৃষি দফতরে হাজিরা ৯৪.২ শতাংশ

পঞ্চায়েত দফতরে হাজিরা ৯৩.৪ শতাংশ

স্বাস্থ্য দফতরে হাজিরা ৮২. ২১ শতাংশ

পর্যটন দফতরে হাজিরা ৯৬.৭৬ শতাংশ

পাশাপাশি এদিন কেএমডিএ (KMDA) ও পুরসভার নগরোন্নয়ন দফতরেও প্রায় ৯০ শতাংশ কর্মচারী কাজে এসেছেন বলে খবর। কলকাতা পুরসভার বাকি দফতরগুলিতে কর্মীদের উপস্থিতি ছিল অন্যান্য দিনের মতোই।

এছাড়াও জেলার অ্যাটেনডেন্স শিটে নজর রাখলেও চিত্রটা পরিষ্কার হয়ে যায়। আলিপুরদুয়ার, কালিম্পং, দার্জিলিং, উত্তর দিনাজপুর, নদীয়া, হুগলি, মালদহ জেলায় সরকারি দফতরে এদিন উপস্থিতির হার ছিল ১০০ শতাংশ। এছাড়া পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে ৯৯ শতাংশ কর্মীই হাজির ছিলেন। বারাকপুরে প্রশাসনিক ভবনে ৯৯ শতাংশ কর্মী কাজে এসেছেন।

তবে শুক্রবার দুপুরেই মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য (Chandrima Bhattacharya) সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, অফিসগুলিতে হাজিরাই প্রমাণ করছে কেউ প্ররোচনায় পা দেননি। অন্যদিকে, মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম(Firhad Hakim) জানান, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার কর্মদিবস নষ্টে বিশ্বাস করে না। আর সেকারণে কর্মদিবস নষ্টও হয়নি। পাশাপাশি ফিরহাদ আরও বলেন, আপনারা যদি টিভিতে দেখানো বন্ধ করে দিতেন, তাহলে আরও যাঁরা অনশন করছেন, তাঁরাও ক্যাম্প উঠিয়ে দিতেন।

 

 

Previous articleনিয়োগ দুর্নীতিতে এবার গ্রেফতার হুগলির যুব নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়
Next articleঅজিদের বিরুদ্ধে খেলতে নেমে রেকর্ড গড়লেন অশ্বিন, টপকে গেলেন কুম্বলেকে