নিম্নমুখী অ্যা*ডিনোর গ্রাফ! ৮ সদস্যের টাস্ক ফোর্স গঠন রাজ্যের

রাজ্যে অ্যাডিনো ভাইরাসে (Adenovirus) আক্রান্তের গ্রাফ ক্রমশ নিম্নমুখী। তবে অ্যাডিনো নিয়ে একেবারেই কোনও ঢিলেমি নয়, আর সেকারণেই প্রস্তুতিতে যাতে কোনওরকম ফাঁক না থাকে সেদিকে কড়া নজর রয়েছে সরকারের। শনিবার অ্যাডিনো সংক্রমণ ও ইনফ্লুয়েঞ্জার গতিবিধির দিকে সবসময় নজর রাখতে ৮ সদস্যের টাস্ক ফোর্স (Task Force) গড়ল রাজ্য সরকার (GOvernment of West Bengal)। মুখ্যসচিব (Chief Secretary) এর নেতৃত্বে ৮ সদস্যের টাস্কফোর্স-এর সদস্যরা হলেন মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় (Alapan Bandopadhyay), স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম (Narayan Swarup Nigam), নারী শিশু ও সমাজ কল্যাণ দফতরের সচিব সংঘমিত্রা ঘোষ (Sanghamitra Ghosh), স্বাস্থ্য দফতরের ডিএমই, ডিএইচএস, চিকিৎসক সুকুমার মুখোপাধ্যায় (Sukumar Mokhopadhyay) এবং চিকিৎসক গোপালকৃষ্ণ ঢালী (Gopalkrishna Dhali)। টাক্স ফোর্স প্রতিদিন সন্ধেয় রাজ্যে অ্যাডিনো ভাইরাস, ইনফ্লুয়েঞ্জা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

শনিবার নবান্নে মুখ্য সচিব হরি কৃষ্ণ দ্বিবেদী শিশুদের মধ্যে শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়া ও অ্যাডিনো সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ে এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক (Meeting) করেন। পরে সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, আগে যেখানে এই রোগে প্রতিদিন আক্রান্তের সংখ্যা ৮০০ থেকে ৯০০র মধ্যে থাকছিল এখন তা  দৈনিক ৫০০ থেকে ৬০০ র মধ্যে নেমে এসেছে। তিনি আরও জানান, এখনও পর্যন্ত অ্যাডিনো ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ১৯ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে ১৩ জন শিশুর কোমর্বিডি ছিল। যদিও মুখ্যসচিব জানান, একটি শিশুর মৃত্যুও দুর্ভাগ্য জনক।

তবে শুধু টাস্ক ফোর্স গঠনই নয়, ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে শিশু মৃত্যু কমাতে এদিন রাজ্যের তরফে আরও একটি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এবার থেকে আশা কর্মীদের বাড়ি বাড়ি পর্যবেক্ষণে পাঠানো হচ্ছে। কোনও পরিবারের শিশু একদিন জ্বরে আক্রান্ত হলেই তাদের সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে পাঠানো ব্যবস্থা করা হচ্ছে। পাশাপাশি জেলা থেকে কলকাতায় রেফারের সংখ্যাও কমানো হয়েছে। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ২৪ ঘন্টার হেল্পলাইন, টেলিমেডিসিন এবং গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে জেলা হাসপাতালে রোগের চিকিৎসার যে সমস্ত পরিকাঠামো তৈরি করে দেওয়া হয়েছে তা ইতিমধ্যে কাজ করতে শুরু করেছে বলে মুখ্য সচিব জানান।

মুখ্যসচিব বলেন, ইতিমধ্যে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সংশ্লিষ্ট সব কর্মীর ছুটি বাতিল করা হয়েছে। বিসি রায় সহ বিভিন্ন শিশু হাসপাতালে প্রিন্সিপাল থেকে শুরু করে সব চিকিৎসকরা  ২৪ ঘন্টা ধরে শিশুদের চিকিৎসা করে চলেছেন। তবে মুখ্যসচিব সাফ জানিয়েছেন, এই ভাইরাস নতুন কিছু নয়। প্রতি বছরই একটা সময়-এর প্রকোপ মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। তবে বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে ৫ বছরের নিচে শিশুদের ক্ষেত্রে এই ভাইরাস প্রাণঘাতী হয়ে যেতে পারে। অন্যদিকে দেশজুড়ে ইনফ্লুয়েঞ্জার (Influenja) প্রকোপ বাড়ছে। বয়স্কদের জন্য প্রাণঘাতী হতে পারে এই রোগ। আর সেকারণেই আগেভাগে টাস্ক ফোর্সকে পরিস্থিতির ওপর নজরদারি রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

 

 

Previous articleঅজিদের বিরুদ্ধে অর্ধশতরান করতেই নতুন রেকর্ড বিরাটের
Next articleদাপট দেখাতে পারে কালবৈশাখী! ভিজবে রাজ্যের একাধিক জেলা