আদানি ইস্যুতে দিল্লির ইডি অফিস অভিযান বিরোধী দলের সাংসদদের

দেশজুড়ে বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বদের মুখ বন্ধ করতে তৎপর মোদি সরকারের অস্ত্র ইডি(ED) ও সিবিআই(CBI)। তবে আদানি ইস্যুতে হাত পা গুটিয়ে তারা। যদিও এই ঘটনায় সেবি এবং সুপ্রিম কোর্টের(Supreme court) গড়ে দেওয়া কমিটির তত্ত্বাবধানে তদন্ত চলছে। কিন্তু যৌথ সংসদীয় কমিটির(parliamentary committee) তদন্তের দাবিতে অনড় বিরোধী শিবির। এই দাবি নিয়েই বুধবার একযোগে দিল্লির ইডি অফিস অভিযান করলেন ১৮টি বিরোধী দলের সাংসদরা। যদিও ইডি দপ্তরে যাওয়ার আগেই তাদের আটকে দেয় দিল্লি পুলিশ।

বুধবার কংগ্রেসের নেতৃত্বে এই ইডি অফিস অভিযানে অংশ নিয়েছিল আরজেডি, ডিএমকে, সমাজবাদী পার্টি ষ, শিব সেনার উদ্ধব শিবির-সহ ১৮টি দলের প্রায় ২০০ জন সাংসদ। তাৎপর্যপূর্ণভাবে তৃণমূল কংগ্রেস এবং শরদ পাওয়ারের এনসিপি এই অভিযানে যোগ দেয়নি। বিরোধী সাংসদদের আটকাতে এদিন তৎপর হতে দেখা যায় দিল্লি পুলিশকে। আগে থেকেই সংসদ চত্বরের বাইরে ব্যারিকেড করে এলাকা ঘিরে রেখেছিল বিশাল পুলিশ বাহিনী। সংসদ চত্বরের বাইরেই বিরোধী সাংসদদের জানিয়ে দেওয়া হয়, এই এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি আছে। কোনওরকম বিক্ষোভ কর্মসূচির অনুমতি দেওয়া হবে না। শেষপর্যন্ত তাদের ইডি অফিসে যেতে দেওয়া হয়নি।

এই নিয়ে ঘটনা প্রসঙ্গে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের (Mallikarjun Kharge) দাবি, আজ ১৭-১৮টি দলের সাংসদরা একত্রিত। আমরা জানতে চাই, মাত্র আড়াই বছরে কীভাবে হাজার হাজার কোটি টাকা রোজগার করল আদানিরা? আমরা ২০০ জন আছি। কিন্তু এখানে ২ হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বিরোধীদের কন্ঠরোধ করা হচ্ছে। সরকারের বিরুদ্ধে সরব অন্য বিরোধীরাও।

Previous articleআচমকা স্বরাষ্ট্র-পার্বত্য দফতরে হাজির মুখ্যমন্ত্রী, অধিকাংশ চেয়ার ফাঁকা!
Next articleদেশীয় ক্ষেপণা*স্ত্রের সফল উৎক্ষেপণ, শক্তি বাড়ল ভারতীয় সেনার