গোয়ায় আইএসএল-এর মহারণ, তৈরি দুই শিবির

ম‍্যাচের আগে নিজেদের একশ শতাংশ দিতে চায় জুয়ান ফেরান্দোর দল। তবে তার আগে চলুন দেখে নেওয়া যাক প্রতিপক্ষের থেকে কোথায় এগিয়ে এবং কোথায় পিছিয়ে প্রীতম কোটালরা।

হাতে আর মাত্র কয়েক ঘন্টা, তারপরেই গোয়ায় আইএসএল ফাইনালের মহারণ। ফাইনালে এটিকে মোহনবাগানের মুখোমুখি বেঙ্গালুরু এফসি। এই মরশুমে আইএসএল-এ গ্রুপ পর্বে দু’বার মুখোমুখি সাক্ষাতে একটি করে ম্যাচ জিতেছে দু’দলই। যদিও এখন লড়াইটা একেবারে ভিন্ন। লিগ নয়, হাইভোল্টেজ ফাইনাল। যেই ম‍্যাচের জন‍্য প্রস্তুত মোহনবাগান-বেঙ্গালুরু। চলতি মরশুমে নিজেদের ধারাবাহিকতা রেখেছে বিএফসি। অপরদিকে দিকে চোট আঘাত সমস‍্যা কাটিয়ে নিজেদের মেলে ধরেছে বাগান ব্রিগেড। ম‍্যাচের আগে নিজেদের একশ শতাংশ দিতে চায় জুয়ান ফেরান্দোর দল। তবে তার আগে চলুন দেখে নেওয়া যাক প্রতিপক্ষের থেকে কোথায় এগিয়ে এবং কোথায় পিছিয়ে প্রীতম কোটালরা।

এটিকে মোহনবাগান দলের শক্তি:

বৈচিত্র একটা বড় শক্তি যে কোনও দলের ক্ষেত্রে। এটিকে মোহনবাগান দলেও বৈচিত্র রয়েছে। আক্রমণে মনবীর সিং, লিস্টন কোলাসোরা কিছুটা অফ ফর্মে থাকলেও বড় ম্যাচে জ্বলে উঠতে সময় লাগবে না তাদের। আক্রমণ তুলে আনার ক্ষেত্রে দুই প্রান্ত যেমন ব্যবহার করবে সবুজ-মেরুন ঠিক সেভাবেই হুগো বৌমোসরা মাঝখান থেকেও একক দক্ষতায় গোল করার মতো জায়গায় পৌঁছে যেতে পারেন যে কোনও সময়। ডিফেন্স আগের থেকে অনেকটাই গোছানো। প্রীতম কোটালরা যথেষ্ট ভালো ফুটবল খেলছেন। বেশ সুরক্ষিত বাগান ডিফেন্স। মিডফিল্ডে জনি কাউকোর অনুপস্থিতিতে যে ভাবে নিজেকে মেলে ধরেছেন হুগো তাতে গ্যালারিতে বসে থাকা জনি খুশিই হবেন। গোলরক্ষকের জায়গায় বিশাল কাইথ ইতিমধ্যেই নিজেকে প্রমান করেছেন। সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে টাইব্রেকারেও নিজের দক্ষতার ছাপ রেখেছেন মোহনবাগানের দুর্গের শেষ প্রহরী।

এটিকে মোহনবাগানের দুর্বলতা:

বেঙ্গালুরু দলে রয়েছেন দারুণ কিছু সেটপিস বিশেষজ্ঞ। সেই তালিকায় রয়েছেন স্বয়ং সুনীল ছেত্রী। তাই বক্সের আশে পাশে ফ্রিকিক দেওয়া যাবে না। সেখান থেকেই বিপদ তৈরী হতে পারে। দলে থাকছেন দিমিত্রি পেত্রাতোস। গোল করার ক্ষেত্রে মূলত তাঁর দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে সবুজ-মেরুনকে। স্ট্রাইকার না থাকায় ভালো খেলেও হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে দুই লেগ মিলিয়ে একটাও গোল করতে পারেনি বাগান ব্রিগেড। ফাইনালে সুযোগ নষ্টে করলে তার খেশারত দিতেই হবে।

এদিকে বেঙ্গালুরু দলে রয়েছেন পাঁচ প্রাক্তন মোহনবাগানী। জুয়ানের কোচিং-এও খেলেছেন রয় কৃষ্ণা, প্রবীর দাসরা। ফলে তাঁরা জানেন মোহনবাগান কোচের স্ট্র‍্যাটেজি। তাতে সুবিধা হতে পারে সুনীলদের। যদিও আশিক কুরুনিয়ান এতদিন ছিলেন বেঙ্গালুরু দলে। তিনি ফিরতে পারেন এই ম্যাচে। যদিও চোট সরিয়ে ফেরা আশিক কতটা ফিট রয়েছেন, তা দেখেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

পেছন থেকে এগিয়ে এসে ফাইনালে ওঠা দল সবসময়ই বিপদজ্জনক। আর সেই কাজটাই করে দেখিয়েছে বিএফসি। ফলে তাদের হারানোর কিছু নেই। মোহনবাগানের সামনে বিরাট প্রত্যাশা। ফাইনালে থাকবে স্নায়ুর চাপ। আর এই চাপ যারা সামলাতে পারবে তারাই শেষ হাসি হাসবে।

আরও পড়ুন:কোভিডের টিকা নেননি, মায়ামি ওপেন খেলা হচ্ছে না জোকোভিচের

 

 

Previous articleআসানসোলের কম্বলবিলি-কাণ্ডে ধৃত বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি
Next articleপ্রতির*ক্ষা খাতে সাড়ে সত্তর হাজার কোটি টাকা মঞ্জুর, ব্রহ্ম*স নিয়ে বিশেষ তৎপরতা !