হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্মদিবসে একতা ও শিক্ষা প্রসারের বার্তা অভিষেকের

মতুয়া সম্প্রদায়ের প্রাণপুরুষ শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্মদিবসে প্রথমে টুইটার এবং ফেসবুকে শ্রদ্ধা জানান তৃণমূলে (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Bandyopadhyay)। পরে একটি ভিডিও প্রকাশ করে হরিচাঁদ ও গুরুচাঁদ ঠাকুরের বাণী ও আদর্শকে সামনে রেখে একতা এবং শিক্ষার প্রসারের বার্তা দেন অভিষেক।

ভিডিও (Video) বার্তায় তৃণমূলের সর্বভারতীর সাধারণ সম্পাদক বলেন,
“পূর্ণব্রহ্ম শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্মদিবসের পুণ্য লগ্নে, আপনাদের সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা।
মতুয়া ধর্ম মহামেলা কেবলমাত্র মতুয়া সম্প্রদায়ের জন্যই নয়, বাংলার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের জন্যও তাৎপর্যপূর্ণ একটি অনুষ্ঠান।”

অভিষেক মনে করিয়ে দেন, “বছরের পর বছর ধরে বিভিন্ন সরকারের চরম অবহেলায় জীবন কাটানোর পর, নমশূদ্র-মতুয়া সম্প্রদায়ের জীবনে আশার আলো নিয়ে এসেছিলেন স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, শিক্ষাশ্রী, তপশিলি বন্ধু, বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা প্রদান করে তৃণমূল কংগ্রেস সরকার তাঁদের উন্নয়নকে সুনিশ্চিত করেছে।” এক্ষেত্রে মতুয়া মহাসংঘের বীণাপাণি দেবীর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Bandopadhyay) আন্তরিক সম্পর্কের কথা উল্লেখ করেন তৃণমূল সাংসদ।

পাশাপাশি অভিষেক বলেন, হরিচাঁদ ও গুরুচাঁদ ঠাকুর শিক্ষার তাৎপর্য অনুভব করেছিলেন। সেই কারণেই তাঁরা সন্তানদের শিক্ষাদানের জন্য বাবা-মায়েদের সবরকম চেষ্টা করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। একইসঙ্গে একতাবদ্ধ ভাবে লড়াই করারও আদর্শ সামনে রেখেছিলেন তাঁরা। তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে ঠাকুরনগরে গড়ে উঠেছে হরিচাঁদ-গুরুচাঁদ বিশ্ববিদ্যালয়। এই বছর থেকেই সেখানে ছাত্র ভর্তি শুরু হয়ে গিয়েছে।

অভিষেকের কথায়, “মতুয়া সম্প্রদায়ের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য সংরক্ষণ এবং সমুন্নত রাখার জন্য আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ।” ভিডিও বার্তা শুরুতে ও শেষে হরিচাঁদ গুরুচাঁদ ঠাকুরের নামে জয়ধ্বনি দেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।

আরও পড়ুন- ৭১ পর্যবেক্ষকের দলের অভিযোগ নেই, তাও বাংলার বরাদ্দ আটকাচ্ছে কেন্দ্র!

Previous articleমেলা দেখে ফেরার পথে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়ি উল্টে ভ*য়াবহ দু*র্ঘটনা! জ*খম অন্তত ২০
Next articleবোনের বিয়েতে সিগারেটে সুখটান, সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোল অনন্যা পাণ্ডে !