সমাধিতে QR কোড! কেন বেনজির সিদ্ধান্ত সন্তানহারা মা-বাবার

ছেলের চলে যাওয়ার পর বড় পদক্ষেপ কেরলের এক দম্পতির। ছেলের স্মৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতে ত্রিশূরের সেন্ট জোসেফ গির্জায় ছেলের সমাধির পাথরের গায়ে এবার বাবা-মা বসালেন কিউআর কোড। হ্যাঁ, শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি।

মা, বাবা দুজনেই বর্তমান। কিন্তু আচমকাই খুব ছোট বয়সেই প্রাণ হারিয়েছে ছেলে। তবে মা, বাবার কাছে ছেলের মৃত্যু শোক মেনে নেওয়াটা যে কতটা কষ্টের তা শুধুমাত্র তাঁরাই বোঝেন। তবে দিন যে কারও জন্য থেমে থাকে না। ছেলের স্মৃতি আগলেই তাই শত কষ্ট বুকে চেপে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া। কিন্তু সম্প্রতি এমন এক বিরল ঘটনা প্রকাশ্যে এল। যা দেখে রীতিমতো তাজ্জব দেশবাসী। মৃত্যুর পরেও ছেলের স্মৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতে অভিনব পন্থা অবলম্বন করলেন সন্তানহারা বাবা মা। আর সেই উদ্যোগকে কুর্ণিশ জানিয়েছেন নেটিজেনরা।

ছেলের চলে যাওয়ার পর বড় পদক্ষেপ কেরলের (Kerala) এক দম্পতির। ছেলের স্মৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতে ত্রিশূরের সেন্ট জোসেফ (Thrissur St Joseph Church) গির্জায় ছেলের সমাধির পাথরের গায়ে এবার বাবা-মা বসালেন কিউআর কোড (QR Code)। হ্যাঁ, শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। কিন্তু কেন এমন ভাবনা? দম্পতি জানাচ্ছেন, তাঁদের ছেলে চিকিৎসক (Doctor) ছিলেন। ছেলে তাঁর জীবনকালে কী কী করে গিয়েছেন, তা সকলকে জানানোর জন্যই এমন অভিনব উদ্যোগ নিয়েছেন তাঁরা। মাত্র ২৫ বছর বয়সেই সবাইকে ছেড়ে না ফেরার দেশে পাড়ি দিয়েছেন আইভিন (Ivin Francis)। পরিবার সূত্রে খবর, ২০২১ সালে ব্যাডমিন্টন (Badminton) খেলতে খেলতেই মৃত্যু হয় তাঁর। তবে খেলাধুলা বা লেখাপড়াই নয়, সঙ্গীতের প্রতিও তাঁর ছিল প্রবল টান। কিবোর্ডিস্ট ও গিটারবাদক হিসাবেও তাঁর যথেষ্ট সুনাম ছিল।

আইভিনের বাবা জানিয়েছেন, আমরা দুজনেই চেয়েছিলাম আমাদের ছেলের জীবন সবার কাছে অনুপ্রেরণা হয়ে উঠুক, আর এই ভাবনা থেকেই ওর সমাধিতে কিউআর কোড বসানোর সিদ্ধান্ত নিই। কিন্তু কীভাবে এমন ভাবনা তাঁদের মাথায় এল? এই প্রশ্নের উত্তরে আইভিনের বাবা সাফ জানান, পুরনো যুগের মানুষ তাঁরা। নতুন প্রযুক্তির বিষয়ে তেমন কিছুই জানতেন না। কিন্তু ছেলেই তাঁদের শিখিয়েছেন আসলে কিউ আর কোড কী? কী এর ব্যবহার? ছেলেই শিখিয়েছে, কীভাবে কিউ আর কোড স্ক্যান করে কোনও বিষয় সম্পর্কে জানা যায়। আইভিনের বাবা আরও জানান, কোনও বিষয় কোনও তথ্য জানতে চাইলে ছেলে অনেক কিউআর কোড পাঠাত আমায়। আর আমি সেগুলি স্ক্যান করেই সব জানতে পারতাম। আর ছেলের সেই দেখানো পথেই সমাধিতে কিউআর কোড বসানোর ভাবনা আসে মাথায়।

 

 

Previous articleতিহারে মশার কামড়ে ঘুম নেই অনুব্রতর! পিছিয়ে গেল জামিন-মামলার শুনানিও
Next articleবেঙ্গালুরুতে আড়াই বছরের সন্তানের সামনেই স্ত্রীকে খু*ন স্বামীর!