আদালতের মাটি খুঁড়ে মিলল বৌদ্ধ প্রতীক, চাঞ্চল্য মালদহের ইংরেজ বাজারে

প্রাথমিকভাবে ভোটিভ স্তূপ কী করে মালদহে এলো তা নিয়ে গবেষণা করার সময় একটি বিশেষ তথ্য উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন মালদহের জগজীবন পুর গ্রামে একটি বৌদ্ধ বিহার আবিষ্কৃত হয়েছে।

আদালত (Maldah Court) চত্বরে নতুন ভবন নির্মাণ হবে, সেই জন্য মালদহ আদালতের বিভিন্ন স্থানে খনন কাজ (Excavation) চলছিল। আচমকাই তাই মাটি খুঁড়ে উদ্ধার হল এক ত্রিভুজাকৃতির পাথর। চারদিকে নকশা কাটা এবং উপরে ছোট গর্ত। প্রাথমিকভাবে মনে করা হয় এটি বোধহয় শিবলিঙ্গ। কিন্তু ইতিহাসবিদরা পরীক্ষা করে জানান এটি আসলে বৌদ্ধ প্রতীক যাকে ‘ভোটিভ স্তূপ’ (Votiva Stupa) নামে আখ্যায়িত করা হয়েছে।

মালদহ আদালতে খনন কার্য চলাকালীন বৌদ্ধ প্রতীক উদ্ধারের ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ইতিহাসবিদরা বলছেন ইংরেজবাজার এলাকার কোন জায়গায় এর আগে কখনো বৌদ্ধদের চিহ্ন মেলেনি। সেক্ষেত্রে কী করে এই ‘ভোটিভ স্তূপ’ মিলল তা নিয়ে বাড়ছে জল্পনা। পাথরটিকে পরীক্ষা করার পর ইতিহাসবিদরা জানান এটি পাল বা সেন যুগের। এটিকে ভক্তিমূলক স্তূপ আখ্যা দিচ্ছেন অনেকেই। প্রাচীন বই ঘেঁটে ইতিহাসবিদদের মন্তব্য সাধারণত একজন বৌদ্ধ ভিক্ষুর দেহাবশেষের উপর এই ধরনের স্তূপ নির্মিত হয়। এই স্তূপ গুলির বিশেষ বৈশিষ্ট্য থাকে। নৃতত্ত্ববিদরা বলছেন বুদ্ধের নাম খোদাই করা হতো এই ধরনের মূর্তিতে। কখনও কখনও, এটি চারটি পৃথক খাঁজকাটা অংশে সাজানো হত এবং উপরের চতুর্ভুজাকার অংশে একটি ঘি প্রদীপ বা ধূপ জ্বালানো হত। এটিকে ঘিরে প্রার্থনা করার রীতি ছিল বলি বিভিন্ন বই ঘেঁটে জানা যায়।

প্রাথমিকভাবে ভোটিভ স্তূপ কী করে মালদহে এলো তা নিয়ে গবেষণা করার সময় একটি বিশেষ তথ্য উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন মালদহের জগজীবন পুর গ্রামে একটি বৌদ্ধ বিহার আবিষ্কৃত হয়েছে। সেক্ষেত্রে এখানে কোনও বৌদ্ধমূর্তি পাওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। যদিও এটি নিয়ে পরবর্তীতে আরও গবেষণা করতে পারলে একাধিক প্রাচীন তত্ত্ব উঠে আসবে বলে মনে করছেন ইতিহাসবিদরা।

 

Previous articleগোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চরমে! কর্ণাটক, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থানে হারের আশঙ্কা বিজেপির
Next articleপাক অধিকৃত কাশ্মীরে সারদা পীঠ! যেতে পারবেন হিন্দু তীর্থযাত্রীরাও?