রাহুলের সাংসদ পদ খারিজের জের, সুপ্রিম কোর্টে মামলা ! পাশে আমেরিকার ভারতীয় বংশোদ্ভূত

ক্যালিফোর্নিয়া থেকে আমেরিকার কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অফ রিপ্রেজ়েনটেটিভসে নির্বাচিত খান্না ভারতীয় বংশোদ্ভূত সমাজের অন্যতম জনপ্রিয় নেতা।

শুক্রবার থেকে খবরের শিরোনামে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। মানহানির মামলায় ২ বছরের কারাদণ্ডের জেরে রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজের সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর থেকেই জায়গায় জায়গায় বিক্ষোভ করেছেন কংগ্রেসের (Congress) কর্মী সমর্থকরা। আজ শনিবারও সেই একই ছবি ধরা পরল। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। মামলা করেছেন কেরালার বাসিন্দা , নাম আভা মূর্লিথরণ (Abha Murlitharan)। তিনি জানিয়েছেন জনপ্রতিনিধিত্ব আইন সংশোধন করার সময় এসেছে আর সেটা রাহুল গান্ধীর এই ঘটনা স্পষ্টই প্রমাণ করে দিল। সেই আইনের বিরোধিতা করেই মামলা দায়ের করেছেন বলে জানিয়েছেন কেরালার বাসিন্দা।

রাহুল গান্ধীর সাংসদ পথ খারিজ হওয়া নিয়ে উত্তাল দেশের কংগ্রেস কর্মীরা। রাজনৈতিক মহলের দাবি, একদশক আগে কেন্দ্রে ক্ষমতায় থাকার সময় এই আইনের পরিবর্তন চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল মনমোহন সিংয়ের ইউপিএ সরকার। তখন কংগ্রেসের সভাপতি ছিলেন রাহুল গান্ধী। যিনি তাঁর সরকারের বিরুদ্ধেই রুখে দাঁড়িয়েছিলেন। সমালোচনা করেছিলেন মনমোহন সিং সরকারের (Manmohan Singh)। দশ বছর পর সেই আইনে আজ তিনিই বিদ্ধ।

গোটা দেশ যখন এই নিয়ে উত্তাল তখন রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজের নিন্দা করলেন আমেরিকার কংগ্রেসের ভারতীয় বংশোদ্ভূত সদস্য রো খান্না (Ro Khanna)।শুক্রবার টুইটারে শাসক ডেমোক্র্যাট শিবিরের এই নেতা লেখেন, ‘‘রাহুল গান্ধীকে সাংসদ পদ থেকে বরখাস্তের ঘটনা গান্ধীবাদী দর্শন এবং ভারতীয় গভীর মূল্যবোধের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা। আমার দাদু সেই দর্শন এবং মূল্যবোধের জন্য বছরের পর বছর জেলে কাটিয়েছেন। ভারতীয় গণতন্ত্রের স্বার্থে এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের ক্ষমতা আপনার আছে নরেন্দ্র মোদী।’’


ক্যালিফোর্নিয়া থেকে আমেরিকার কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অফ রিপ্রেজ়েনটেটিভসে নির্বাচিত খান্না ভারতীয় বংশোদ্ভূত সমাজের অন্যতম জনপ্রিয় নেতা। তাঁর দাদু অমরনাথ বিদ্যালঙ্কার বিশিষ্ট স্বাধীনতা সংগ্রামী ছিলেন এবং পরবর্তী সময়ে তিনি পাঞ্জাব সরকারের মন্ত্রী এবং লোকসভার সাংসদও হয়েছিলেন।

অন্যদিকে আজ দেশজুড়ে দফায় দফায় কংগ্রেসের বিক্ষোভ কর্মসূচি। রাজ্য জুড়েও সেই একই ছবি। শনিবার সকালে দুর্গাপুর শহরের কাদা মোড়ে ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের সার্ভিস রোডে টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ করেন কংগ্রেস কর্মী, সমর্থকরা। প্রায় ৩০ মিনিট এই অবরোধের জেরে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে যান পরিষেবা। এরপর দুর্গাপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে অবরোধকারীদের সরিয়ে দেয়। অন্যদিকে শ্যামনগরে পোস্ট অফিস মোড়ে ঘোষপাড়া রোড অবরোধ করেন কংগ্রেস কর্মী, সমর্থকরা।

 

Previous articleঅসুস্থার কারণে ফাঁকা হচ্ছিল মঞ্চ! ধর্মতলার অনশন কর্মসূচি প্রত্যাহার DA আন্দোল*নকারীদের
Next article‘এই দেশে সবাই ক্রিকেট বোঝে’, অজিদের বিরুদ্ধে একদিনের সিরিজ হারের পর বললেন অশ্বিন