‘সরকার এবং বিচারব্যবস্থার মধ্যে দ্ব*ন্দ্ব নেই, বার্তা কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজু

সরকার এবং সুপ্রিম কোর্টের মধ্যে মত পার্থক্য থাকতে পারে। কারণ, গণতন্ত্রে মতের পার্থক্য থাকতে বাধ্য। তবে এর অর্থ এই নয় যে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব আছে

কেন্দ্র বনাম বিচারব্যবস্থা ঘিরে যে চর্চা বহুদিন ধরে চলছিল তাতে এবার ইতি টানার ইঙ্গিত দিলেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজু। মাদুরাই ও জেলা আদালত ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত আদালত ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী বলেন, ‘যাঁরা সরকার নির্বাচন করেন তাঁরাই সবার উপরে, দেশ চলে সংবিধানে।’
সাম্প্রতিক কিছু মিডিয়া রিপোর্টের প্রেক্ষিতে তিনি বলেন,’সরকার বনাম বিচারব্যবস্থা বলে কিছু নেই। সরকার এবং সুপ্রিম কোর্টের মধ্যে মত পার্থক্য থাকতে পারে। কারণ, গণতন্ত্রে মতের পার্থক্য থাকতে বাধ্য। তবে এর অর্থ এই নয় যে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব আছে।
বরং অভিযেগের সুরে তিনি বলেন, কিছু প্রতিবেদন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয় যে সরকার এবং সুপ্রিম কোর্ট বা আইনসভা এবং বিচার বিভাগের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। এটা আমাদের বুঝতে হবে দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কিত পার্থক্য থাকতে বাধ্য বা অন্য দিক থেকে যা বিরোধপূর্ণ অবস্থান তৈরি করতে পারে। আমাদের মধ্যে পার্থক্য আছে, এর মানে এই নয় যে আমাদের মতভেদ আছে, তার মানে এই নয় যে দ্বন্দ্ব আছে। এটি সারা বিশ্বের কাছে একটি ভুল বার্তা পাঠায়। আমি এটা পরিষ্কার করতে চাই যে কোনও সমস্যা নেই।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভারতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ভি রামাসুব্রহ্মণ্যম।বিচারাধীন মামলার দিকে ইঙ্গিত করে প্রধান বিচারপতি বলেন যে নির্বাহী বিভাগ এবং বিচার বিভাগ উভয়কেই একটি টিম হিসাবে একসাথে কাজ করতে হবে এবং চ্যালেঞ্জগুলি চিহ্নিত করতে হবে।ক্ষমতার বিভাজন হতে পারে, নির্বাহী ও বিচার বিভাগের মধ্যে কাজের বিভাজন হতে পারে, কিন্তু এর অর্থ এই নয় যে আমরা একসঙ্গে কাজ করতে পারব না।
তিনি বলেন, আসলে দেশের নাগরিকদের স্বার্থের বৃহত্তর লক্ষ্যে আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে। বিচার ব্যবস্থায় প্রযুক্তিগত উন্নয়নের প্রশংসা করার সময় রিজিজু বলেন, অদূর ভবিষ্যতে, পুরো ভারতীয় বিচার বিভাগ যে কোনও মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি ঘটাতে সক্ষম হবে।
রিজিজু আরও উল্লেখ করেছেন, ভারতে বিচারকদের ওপর মামলার বোঝা বেশি। তিনি বলেন, অন্যান্য দেশের বিচারকরা মাত্র কয়েকটি মামলা পরিচালনা করেন।ভারতের বিচারকরা প্রতিদিন ৫০-৬০টি মামলা পরিচালনা করেন। এই মানসিক চাপ নিয়ে তাদের কাজ করতে হয়। এরপরও কখনও কখনও বিচারকদের প্রায়ই সমালোচনা করা হয় ।
আসলে সবাই মামলার নিষ্পত্তি দ্রুত করতে চান। তবে মামলার সংখ্যাও এখানে অনেক বেশি। একমাত্র উপায় হল উন্নত পরিকাঠামো এবং উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার।

 

 

 

Previous article‘বাপ’-‘দাদা’ থেকে ‘কালো ছাগল’: রেল স্টেশনের নাম দেখলে চোখ কপালে
Next articleবিজেপির কাছে কোনও আশা নেই! মুসলিমদের সংরক্ষণ প্রত্যাহারে ক্ষু.ব্ধ ওয়াকফ বোর্ড