Thursday, November 13, 2025

সুজনের পর সুশান্তের বিরুদ্ধে চাকরি চুরির অভিযোগ, পরিবারের ২০ জনের তালিকা ফাঁস

Date:

Share post:

সুজন চক্রবর্তীর পর এবার সুশান্ত ঘোষ। সিপিএম জমানায় চাকরি কেলেঙ্কারি নিয়ে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। কখনও চিরকুটে, কখনও সুপারিশে, কখনও আবার হুমকি দিয়ে চাকরি চুরির অভিযোগ উঠছে সিপিএম তথা বাম নেতাদের বিরুদ্ধে। কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে বেরিয়ে আসছে কেউটে। উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য!

অভিযোগ, নিজের পরিবার ও আত্মীয়দের অনেককেই শুধুমাত্র সুপারিশ করে চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন বাম জমানার প্রাক্তন মন্ত্রী তথা পশ্চিম মেদনীপুরের তৎকালীন দোর্দন্ডপ্রতাপ সিপিএম নেতা সুশান্ত ঘোষ। সেই সময়ে চাকরি চুরির একটি তালিকাও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তালিকায় সুশান্ত ঘোষের এমন ২০জন নিকট আত্মীয়ের নাম রয়েছে, যাঁরা বিভিন্ন সরকারি দফতরে চাকরি করেন বা করতেন বলে দাবি করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর কাছে সঠিক তদন্তের জন্য আবেদন জানাবেন বলে জানিয়েছেন তৃণমূল নেতা অজিত মাইতি।

সিপিএম নেতা সুশান্ত ঘোষ বাম জামানায় দীর্ঘদিনের মন্ত্রী ছিলেন। বিরোধীরা বলতেন, ঝড় হলেও সুশান্ত ঘোষের নির্দেশ ছাড়া গড়বেতায় গাছের পাতা নড়ে না! এতটাই ছিল তাঁর প্রভাব, যে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় বাঘের গরুতে এক ঘাটে জল খাওয়াতেন এই সিপিএম নেতা। সেই সুশান্ত ঘোষ বাম আমলে ক্ষমতা ও প্রভাব খাটিয়ে নিকটাত্মীয়দের চাকরি পাইয়ে দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ

ভাইরাল হওয়া ওই তালিকায় দাবি করা হয়েছে, বাম জমানায় স্কুলে শিক্ষকতার চাকরি পেয়েছিলেন সুশান্ত ঘোষের স্ত্রী। সুশান্তবাবুর বোনেদের মধ্যে অনেকেই সরকারি চাকরি করতেন। কেউ স্কুলে শিক্ষকতা করেন, কেউ আইসিডিএস-এ সুপারভাইজার। শুধু তাই নয়, প্রভাব খাটিয়ে বোনেদের স্বামীদেরও চাকরি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, এক বোনের স্বামী মেদিনীপুর প্রাইমারি বোর্ডে চাকরি করেন। আর এক বোনের স্বামী প্রাইমারি স্কুলে এবং এক ভগ্নিপতি সেচদপ্তরে চাকরি করেন।

এছাড়াও সুশান্ত ঘোষের মামার বাড়ির পরিবারে একাধিকজন সরকারি চাকরি করেন। এক ভাগ্নে হাইস্কুলের লাইব্রেরিয়ান, আর এক ভাগ্নে সেচদপ্তরে চাকরি করেন। সুশান্তবাবুর পিসতুতো ভাই, মাসতুতো ভাইয়েদেরও কেউ পরিবহণ দপ্তরে, কেউ স্কুলে শিক্ষকতার চাকরি করেন।
এখানেই শেষ নয়, সুশান্ত ঘোষের শ্যালক, শ্যালিকাদের প্রায় প্রত্যেকেই সরকারি চাকরির সঙ্গে যুক্ত। এমনকী শ্যালিকার স্বামীর ভাইয়েরা পর্যন্ত সরকারি চাকরি করেন। সুশান্তবাবুর বড় শ্যালক অরবিন্দ বন্দ্যোপাধ্যায় আবার জেলা কমিটির সদস্য ছিলেন। ওই তালিকায় দাবি করা হয়েছে, তৎকালীন জেলা সম্পাদক দীপক সরকারের স্নেহের পাত্র এইসব কাজের পাশাপাশি ২০০৮, ২০০৯ এবং ২০১০ সালে প্রাইমারিতে লক্ষ লক্ষ টাকায় চাকরি বিক্রি করেছেন।

 

 

spot_img

Related articles

“রিচার নামে স্টেডিয়াম ইতিহাস হয়ে থাকবে”, উচ্ছ্বসিত ঝুলন

শিলিগুড়িতে রিচা ঘোষের(Richa Ghosh)  নামে স্টেডিয়াম হচ্ছে শিলিগুড়িতে। কিছুদিন আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণা করেছেন বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটারের নামে...

‘হাঁটি হাঁটি পা পা’-র ট্রেলার-পোস্টার লঞ্চে ‘বাবা-মেয়ে’র রসায়নে চিরঞ্জিৎ-রুক্মিণী

অর্ণব মিদ্যার ছবি 'হাঁটি হাঁটি পা পা'-র ট্রেলার ও পোস্টার লঞ্চের জমজমাট অনুষ্ঠান হল ফ্লোটেলে। বৃদ্ধ বাবা ও...

লক্ষ্য ২০২৭! ২৫ নভেম্বর শুরু ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যানের দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ

ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শুরু হচ্ছে আগামী ২৫ নভেম্বর থেকে। রাজ্যের সেচ ও জলপথ মন্ত্রী মানস...

রাজ্যের সমবায় ব্যাঙ্কে স্বচ্ছতা আনতে চালু অনলাইন অডিট ব্যবস্থা

রাজ্যের সমবায় ব্যাঙ্কগুলির আর্থিক লেনদেনে স্বচ্ছতা আনতে বড় পদক্ষেপ নিল রাজ্য সরকার। এ বার থেকে সমস্ত সমবায় সমিতি...