অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিদের নি.শানা! অবিলম্বে রিজিজুকে মন্তব্য প্রত্যাহারের দাবি শয়ে শয়ে আইনজীবীর

একটি খোলা চিঠিতে কিরেণ রিজিজুর ওই মন্তব্য অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। আইনজীবীরা সাফ জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বিচারপতিদের প্রতি এমন মন্তব্য কোনওভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়।

দেশের কয়েকজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি (Retired Justice) ভারত বিরোধী গ্যাংয়ের অংশ, আর এসব লোকজন ভারত বিরোধী প্রচারের অংশ হয়ে উঠেছেন। ভারতীয় বিচারব্যবস্থাকে ভূলুণ্ঠিত করতে চাইছেন। সম্প্রতি দিল্লিতে (Delhi) অনুষ্ঠিত একটি সেমিনারে উপস্থিত হয়ে কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রী কিরেণ রিজিজু (Kiren Rijiju) সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court of India) কয়েকজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির দিকে আঙুল তুলে এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য করেন। কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রীর সেই বক্তব্য ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। আর এরই পাল্টা দিলেন সুপ্রিম কোর্ট ও দেশের বিভিন্ন হাই কোর্টের ৩০০-এরও বেশি আইনজীবী। একটি খোলা চিঠিতে কিরেণ রিজিজুর ওই মন্তব্য অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। আইনজীবীরা সাফ জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বিচারপতিদের প্রতি এমন মন্তব্য কোনওভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়। আইনমন্ত্রীর (Union Law Minister) এই ধরনের মন্তব্য গণতান্ত্রিক দেশে কোনওভাবেই শোভা পায়না।

চিঠিতে আইনজীবীরা জানিয়েছেন, বিচারকদের বিরুদ্ধে অযৌক্তিক আক্রমণকে অবজ্ঞা করি। যারা আইনের শাসন বজায় রাখার জন্য তাঁদের জীবন উৎসর্গ করেছেন তাঁদের বিরুদ্ধে এরকম মন্তব্য আসলে প্রতিশোধমূলক হুমকি এবং অত্যন্ত নিম্ন মানসিকতার পরিচয়। আইনজীবীদের চিঠিতে সইয়ের তালিকায় নাম রয়েছে, সিনিয়র অ্যাডভোকেট অভিষেক মনু সিংভি, কপিল সিব্বাল, অরবিন্দ দাতার, ইকবাল চাগলা, জনক দ্বারকাদাস, শ্রী হরি আনা, রাজু রামচন্দ্রন, দুষ্যন্ত দাভে, ইন্দিরা জয়সিং, রাজশেখর রাও এবং সঞ্জয় সিংভি সহ মোট ৩২৩ জন আইনজীবীর। দিল্লির সেমিনারে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রীর আরও বক্তব্য, বিচার ব্যবস্থা ও সরকার একটি অন্যটিকে ছাড়া থাকতে পারে না। যারা দেশের বিরুদ্ধে কাজ করেছে তাদের মূল্য চোকাতে হবে। এদিন তিনি বেশ কয়েকটি মিডিয়া রিপোর্টে দেশের বিচারব্যবস্থা ও সরকারের মধ্যে মতভেদের কথা তুলে ধরা প্রসঙ্গেও মুখ খোলেন রিজিজু।

এদিকে আইনজীবীরা রিজিজুকে মনে করিয়ে দিয়েছেন, একজন সাংসদ হিসাবে তিনি সংবিধানের প্রতি সত্যিকারের আনুগত্য বজায় রাখার এবং আইন ও বিচার মন্ত্রী হিসাবে শপথ নিয়েছেন। বিচার ব্যবস্থা, বিচার বিভাগ এবং বিচারকদের রক্ষা করা তাঁর কর্তব্য। অবসরপ্রাপ্ত বিচারকদের বিরুদ্ধে করা এই অপ্রীতিকর মন্তব্য দেশের বিচারক এবং বিচার ব্যবস্থার বিরুদ্ধে জনসাধারণকে উসকানিমূলক মনোভাবের জন্ম দেয়। যা দেশের বিচার ব্যবস্থার জন্য অত্যন্ত নিন্দনীয়।

 

 

Previous articleগণতান্ত্রিক অধিকার যেন বজায় থাকে: রাহুল ইস্যুতে মোদি সরকারকে বার্তা জার্মানির
Next articleছাত্রযুবদের নিয়ে ব্যান্ড তৈরির ঘোষণা করলেন মমতা, নাম দিলেন ”জয়ী”