নি*ষিদ্ধ শব্দ*বাজি তৈরি রুখতে কঠোর হচ্ছে রাজ্য, নোডাল অফিসার হবেন জেলাশাসকরা, জানালেন মানস ভুঁইয়া

রাজ্যে যাতে কোনও ভাবে নিষিদ্ধ শব্দবাজি উৎপাদন না হয় তা নিশ্চিত করতে এবার চালানো হবে কঠোর নজরদারি। এই নজরদারির কাজে জেলা শাসকদের নোডাল অফিসারের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। শুক্রবার পরিবেশ মন্ত্রী মানস ভূইঁয়া একথা জানিয়েছেন। কলকাতায় পরিবেশ ভবনে এদিন দমকল বিভাগের সঙ্গে এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক শেষে মানস বাবু জানান, শীর্ষ আদালতের নির্দেশিকা মেনে রাজ্যে নব্বই ডেসিবেল এর বেশি শব্দ হয় এমন বাজি তৈরির উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। কিন্তু নজরদারির অভাবের কারণে এখনো অনেক জায়গাতেই লুকিয়ে চুরিয়ে নিষিদ্ধ বাজি তৈরি হয়। যা গোটা রাজ্যে ছড়িয়ে পড়ে। এবার তাই বেআইনি বাজির উৎসেই আঘাত হানার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

এদিকে নিষিদ্ধ বাজির বিকল্প হিসাবে রাজ্যে পরিবেশ বান্ধব সবুজ বাজির ক্লাস্টার তৈরি করার পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। সেই ক্লাস্টার থাকবে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প দপ্তরের অধীনে। এবং এখানেও এক জানালা ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মানস বাবু প্রসঙ্গত আরো জানান পাঁচ কেজি পর্যন্ত সবুজ বাজির মসলা তৈরীর ক্ষেত্রে জেলা শাসকদের কাছ থেকে আগাম অনুমতি নিতে হবে। এর বেশি অর্থাৎ ৫০ কেজি মসলা র ক্ষেত্রে পেট্রোলিয়াম এন্ড এক্সপ্লোসিভ সেফটি অর্গানাইজেশন, পেসোর লাইসেন্স লাগবে। এদিকে ন্যাশনাল এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট বা নিরি র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে খুব শীঘ্রই কলকাতায় সবুজ বাজি পরীক্ষা করার জন্য একটি পরীক্ষাগার গড়ে তোলা হবে। বৈঠকে দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু, সুস্পষ্টভাবে জানিয়েছেন যে বাজি কারখানার জন্য দমকল কখনো লাইসেন্স দেয় না। তারা শুধু নো অবজেকশন সার্টিফিকেট দিয়ে থাকে। বৈঠকে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের চেয়ারম্যান ড কল্যান রুদ্র সদস্য সচিব ডঃ রাজেশ কুমার এবং বাজি ব্যবসায়ী সমিতির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন- মেলেনি প্রাপ্য টাকা! ফের কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে সরব রাজ্যের শ্রমিকরা  

Previous articleসত‍্যি কি নিরপেক্ষ স্থান হিসাবে বাংলাদেশে একদিনের বিশ্বকাপ খেলবে পাকিস্তান? মুখ খুললো পিসিবি
Next articleআইপিএল-এ চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে খেলতে নেমে অনন্য নজির শামির