“আইনের চোখে সবাই সমান”! ‘ডিগ্রি মামলায়’ ফের প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ কেজরিওয়ালের  

কেজরিওয়াল প্রধানমন্ত্রীর যোগ্যতা নিয়ে কৌশলে প্রশ্ন তোলেন, প্রধানমন্ত্রী যদি শিক্ষিত না হন তাহলে সেক্ষেত্রে বড় ক্ষতি হবে দেশের। অফিসারেরা এসে তাঁকে যা খুশি বলে ফাইলে সই করিয়ে নিয়ে যেতে পারেন।

আইনের চোখে সকলেই সমান। এটা কেমন কথা যে প্রধানমন্ত্রীর (Prime Minister) ডিগ্রির (Degree) প্রমাণ চাওয়া যাবে না। আদালতের এই রায়ে বিস্মিত সবাই। শনিবার আদালতের রায় নিয়ে ফের পাল্টা বিতর্ক উসকে দিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Aravind Kejriwal)। তবে শুধু এখানেই থেমে না থেকে প্রধানমন্ত্রীকেও ফের নিশানা করেছেন আম আদমি পার্টির সুপ্রিমো (Aam Aadmi Party)।

উল্লেখ্য, শুক্রবারই গুজরাট হাইকোর্টের (Gujrat High Court) সিঙ্গল বেঞ্চের বিচারপতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ডিগ্রি সংক্রান্ত মামলায় বলেন, প্রধানমন্ত্রী হতে যেহেতু কোনও ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতার কথা বলা নেই তাই ডিগ্রি সংক্রান্ত তথ্যপ্রকাশ করতে বাধ্য নয় বিশ্ববিদ্যালয় এবং প্রধানমন্ত্রীর অফিস। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর ডিগ্রি প্রকাশে চাপ সৃষ্টি করায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে আদালত ২৫ হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশ দেয়। আদালত সাফ জানিয়ে দেয়, প্রধানমন্ত্রীর যোগ্যতা সংক্রান্ত তথ্য প্রধানমন্ত্রীর দফতরের ওয়েবসাইট, নির্বাচন কমিশনে পেশ করা হলফনামাতেই আছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে কেজরিওয়াল প্রধানমন্ত্রীর যোগ্যতা নিয়ে কৌশলে প্রশ্ন তোলেন, প্রধানমন্ত্রী যদি শিক্ষিত না হন তাহলে সেক্ষেত্রে বড় ক্ষতি হবে দেশের। অফিসারেরা এসে তাঁকে যা খুশি বলে ফাইলে সই করিয়ে নিয়ে যেতে পারেন। এরপরই কেজরিওয়াল অভিযোগ করেন, আমার ধারণা বিমুদ্রাকরণের কারণেই এমন হয়েছে কারণ, শিক্ষিত প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে ডিমনিটাইজেশনের (Demonitisation) মতো সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা নয়।

তবে শুধু কেজরিওয়াল নন, প্রধানমন্ত্রীর যোগ্যতা নিয়ে কটাক্ষ করছেন আপ নেতারাও। উল্লেখ্য, দিন দুয়েক আগেই আম আদমি পার্টি ‘দেশে শিক্ষিত প্রধানমন্ত্রী চাই’ বলে নতুন প্রচার শুরু করেছে। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, এমন স্লোগানের অর্থ বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর যোগ্যতা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করা।

 

 

 

Previous articleদশ মাসে মুক্তি, জেল থেকে বেরিয়েই বিজেপিকে এক হাত নিলেন সিধু
Next articleরেশন তোলার নিয়মে আসছে বিরাট বদল, আর লাগবে না আঙুলের ছাপ