নাথুলায় এখনও চলছে উদ্ধারকাজ , শিলিগুড়ি- কলকাতায় শোকস্তব্ধ মৃতদের পরিবার

বহু পর্যটকের বরফে আটকে থাকার আশ*ঙ্কা করছেন উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা। যদিও মৃ*তের সংখ্যা আর বাড়েনি। মৃ*ত পর্যটকদের মধ্যে রয়েছে কলকাতার বাসিন্দার নাম প্রীতম মাইতি (Pritam Maity)।

পরীক্ষা নিতে গেছিলেন সৌরভ (Saurav Rou Choudhury), দুঃস্বপ্নেও ভাবেননি এমন মর্মান্তিক পরিণতি হতে পারে। সিকিমের নাথুলার (Nathula, Sikkim) কাছে তুষারধসে (Snow Strom)এখনও পর্যন্ত যে সাত জনের মৃ*ত্যুর খবর পাওয়া গেছে সেখানে বাংলা থেকে সৌরভ রায় চৌধুরীর নামটা দেখে ভেঙে পড়েছে পরিবার। পায়ে হেঁটে নয় কফিন বন্দি হয়ে ফিরছেন শিলিগুড়ি পুরনিগমের ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের শক্তিগড়ের বাসিন্দা অটো মোবাইল সংস্থার কর্মী ২৪ বছরের সৌরভ রায় চৌধুরী। মঙ্গলবার ছাঙ্গু থেকে নাথুলা যাওয়ার পথে তুষারধসের মৃত্যু হয় ৭ পর্যটকের। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকাজ শুরু করে ভারতীয় সেনা (Indian Army)। ৮০টি গাড়ি-সহ ৩৫০ জন পর্যটককে উদ্ধার করা সম্ভব হয়। এখনও নিখোঁজ বেশ কয়েকজন পর্যটক। সেনা ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী আজ সকাল থেকে উদ্ধারকাজে নেমেছে। মৃতদেহগুলির ময়নাতদন্তের পর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে। বহু পর্যটকের বরফে আটকে থাকার আশঙ্কা করছেন উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা। যদিও মৃতের সংখ্যা আর বাড়েনি। মৃত পর্যটকদের মধ্যে রয়েছে কলকাতার বাসিন্দার নাম প্রীতম মাইতি (Pritam Maity)। রামনগরের কাছে তাঁর বাড়ি বলে জানা যাচ্ছে। তাঁর বড় দিদি ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে গেছেন। বাড়িতে বৃদ্ধ মা বাবা আছেন বলে জানা যাচ্ছে। বুধবার সকালে রামনগরের মৃত্যুর সংবাদ পৌঁছলে শোকের ছায়া নেমে আসে এলাকায়। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার রামনগর থানার বসন্তপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মকুন্দপুরের সাগরেশ্বর গ্রামের বাড়ি প্রীতম মাইতির বয়স ৩৭ বছর। মৃত প্রীতম পেশায় ঠিকাদার ছিলেন।  রবিবার একটি কোম্পানির সংস্থার অধীনে ডিলারের সিকিম বেড়াতে গিয়ে ছিলেন। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ঘটনায় শোকপ্রকাশ করে মৃতদের পরিবারকে সমবেদনা জানিয়েছেন।

মঙ্গলবার শিলিগুড়ির এক যুবক সৌরভ রায় চৌধুরী বন্ধুদের সাথে বেড়াতে গিয়ে তুষার ধসে চাপা পড়ে মারা যান। জানা গিয়েছে ব্যাপক তুষারপাতের কারণে ছাঙ্গু ১৯ মাইল এলাকায় পর্যটকদের যাওয়া নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১৩ মাইল এলাকা পর্যন্ত যাওয়ার অনুমতি ছিল। কিন্তু প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও গাড়ির চালককে ম্যানেজ করে এক প্রকার জোর করে ১৫ মেইল পর্যন্ত যান সৌরভ ও তার বন্ধুরা। ১৫ মাইল এলাকায় এক ঝর্ণা রয়েছে। ১৯ মাইল থেকে বরফ গলা জল ঝর্ণা দিয়ে নামে। সেই ঝর্ণার জল দেখতেই কিছুটা ওপরে তাঁরা সঙ্গে কিছু পর্যটক ছিলেন। হঠাৎ করেই ঝর্ণার জলের সাথে তুষার ধস নামা শুরু হয়। সেই তুষার ধসেই চাপা পড়েন বহু পর্যটক।আজ মৃত সৌরভের বাড়িতে যান শিলিগুড়ির মহানাগরিক গৌতম দেব (Gautam Deb)। অন্যদিকে কলকাতার প্রীতমেরও আর বাড়ি ফেরা হল না। আজ বুধবার আর কোনও মৃতদেহ উদ্ধার হয়নি বলেই প্রশাসন সূত্রে খবর। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত উত্তর ও পূর্ব সিকিমে পর্যটক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও বুধবার দুপুর থেকে পর্যটকদের উত্তর সিকিমের লাচেন পর্যন্ত যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

 

Previous articleইডেনে আইপিএলের দিন বাড়তি মেট্রো চলবে
Next articleকলকাতায় সাকিবের বদলি ইংলিশ ওপেনার জেসন রয়