শহিদ মিনারের ফাঁকা মঞ্চে একটি কাক, ঝাঁজ কমছে DA আন্দোলনের

সোমনাথ বিশ্বাসঃ 

সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ছবি খুব ঘোরাফেরা করছে। যেখানে দেখা শহিদ মিনারে DA আন্দোলনে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের সংগ্রামী যৌথ মঞ্চে একেবারে খাঁ খাঁ করছে। অস্থায়ী তাঁবুতে একাকী একটি কাক, তার বাইরে কারও দেখা নেই। ছবি বলে দিচ্ছে, ঝাঁজ কমছে DA আন্দোলনের। শহিদ মিনারের সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ থেকে অনেকেই ফিরে গিয়েছেন বাড়িতে। যোগ দিয়েছেন কাজে।

আরও পড়ুন:সিবিআই, ইডি নয়! মুখ্যমন্ত্রীর উপরই আস্থা রেখে চিঠি বিজেপি বিধায়কের

রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত গুটিকয়েক আন্দোলনকারী এখনও ধর্না মঞ্চে ঘুরঘুর করলেও সার্বিকভাবে এই আন্দোলনে আর মন নেই বেশিরভাগ সরকারি কর্মীর। আসলে তাঁরা বুঝতে পেরেছেন, DA আন্দোলনকারীদের কাঁধে বন্দুক রেখে বিরোধীরা রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে চাইছে।সেই ফাঁদে আর পা ফেলতে চান না আন্দোলনকারীদের একটি বড় অংশ। তাই সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ রাজনৈতিক মঞ্চ হয়ে ওঠায় অনেকেই সেই স্থান ত্যাগ করেছেন।


DA আন্দোলনকারীরা বুঝেছেন কেন্দ্রের বঞ্চনায় রাজ্যের কোষাগারে ভাঁড়ে মা ভবানী অবস্থা। মুখ্যমন্ত্রী সরকারি কর্মচারীদের প্রতি মানবিক। তাই কষ্ট করে হলেও আরও ৩ শতাংশ DA তিনি দেওয়া শুরু করেছেন। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার যারা চালাচ্ছে, যারা প্রতিপদে বাংলাকে ভাতে মারার চেষ্টা করছে, সেই বিজেপির নেতারা DA মঞ্চকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করে চলেছে। পিছিয়ে নেই বাম-কংগ্রেসও। মানুষের থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া দুটি শূন্য পাওয়া দলের চারআনার কিছু নেতা সংবাদ মাধ্যমে ভেসে থাকার জন্য নিয়ম করে সেজেগুজে DA মঞ্চে গিয়ে ছবি তুলতে ব্যস্ত। তাই বিরোধীদের এইসব “ভাত দেওয়ার ক্ষমতা নেই, কিল মারার গোঁসাই” টাইপ নেতাদের মুখ আর মুখোশের পার্থক্য বুঝে ফেলেছেন DA আন্দোলনকারীরাও। তাই সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ
রাজনৈতিক মঞ্চ হয়ে ওঠায় অনেকেই আন্দোলন থেকে মুখ ফিরিয়েছেন।

 

 

Previous articleসপ্তাহান্তে বাতিল একাধিক ট্রেন! ভোগান্তিতে যাত্রীরা
Next articleপ্রতিষ্ঠা দিবসের দিনেও বিরোধীদের তীব্র আক্রমণ মোদির