পঞ্চায়েতের আগে মমতার মাস্টারস্ট্রোক, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের সুবিধা নিতে দুয়ারে সরকারে উপচে পড়া ভিড়

এতদিন পর্যন্ত লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের সুবিধা পেয়েছেন যাঁদের স্বাস্থ্যসাথী কার্ড আছে, শুধুমাত্র তাঁরাই। এবার মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড না থাকলেও পাওয়া যাবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের সুবিধা

পঞ্চায়েত ভোটের আগে রাজ্যজুড়ে ফের শুরু হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত জনমুখী প্রকল্প”দুয়ারে সরকার” শিবির। এই শিবির থেকে রাজ্যবাসী আগেও সরাসরি উপকৃত হয়েছে। সরকারি প্রকল্পগুলির উপভোক্তা হওয়ার সুবিধা পেয়েছে। এপ্রিলে নতুন করে শুরু হওয়া প্ৰতিটি শিবিরে হাজার হাজার মানুষ ভিড় করছেন বিভিন্ন পরিষেবার পাওয়ার আবেদন করতে।

নবান্ন সূত্রে খবর, এবার চালু হওয়া দুয়ারে সরকার শিবিরে সর্বাধিক আবেদন পাওয়া গিয়েছে বিনামূল্যে সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পের জন্য। এতদিন পর্যন্ত লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের সুবিধা পেয়েছেন যাঁদের স্বাস্থ্যসাথী কার্ড আছে, শুধুমাত্র তাঁরাই। এবার মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড না থাকলেও পাওয়া যাবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের সুবিধা। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্য আবেদনের সংখ্যাটিও নজরকাড়া—মাত্র তিনদিনেই ২ লক্ষ ৩৬ হাজার ৪৭৮। এই প্রকল্পটি আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটেও রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলকে বাড়তি সুবিধা দেবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

এবার দুয়ারে সরকার শিবির শুরু হয়েছে ১ এপ্রিল থেকে। রবিবার ও সোমবার ছুটি ছিল। ফলে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত তিনদিনে রাজ্যজুড়ে ক্যাম্প হয়েছে ৬৩ হাজার ৪৩১টি। সেখানে ৩৫ লক্ষ ৮৯ হাজার মানুষ গিয়েছেন। আবেদন জমা হয়েছে ১৩ লক্ষ ৮৭ হাজার। সেগুলির মধ্যে অনুমোদন হয়েছে ৮ লক্ষ ৯৩ হাজার বা ৬৪.৪৩ শতাংশ। সবচেয়ে বেশি আবেদন জমা পড়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, মুর্শিদাবাদ, নদীয়া, উত্তর ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরের শিবিরগুলিতে। দুয়ারে সরকারের কাজে গতি ও স্বচ্ছতা বাড়াতে ২৯ হাজার ৭২৮টি তদন্তকারী দলও তৈরি করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।

উল্লেখ্য, একুশের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসে বিপুল জয়ের পিছনে মহিলা ভোট ছিল একটি বড় ফ্যাক্টর। তাই নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, তৃতীয়বার সরকার গড়ার কয়েক মাসের মধ্যেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প চালু করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। ওই বছর ঠিক দুর্গাপুজোর মুখে একযোগে প্রায় দেড় কোটি মহিলার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা পাঠিয়ে পথ চলা শুরু হয়েছিল লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের। শুধুমাত্র দুয়ারে সরকার ক্যাম্পের মাধ্যমেই এই প্রকল্পের আবেদন জমা নেওয়া হয়। এই দফায় দুয়ারে সরকার শিবিরেও লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের প্রতি মহিলাদের আগ্রহ ও উৎসাহ নজর কাড়ছে।

আরও পড়ুন:পঞ্চায়েতের আগে ভাঙড়ে আইএসএফের “দাদাগিরি”, সরকারি জায়গা দখল করে পার্টি অফিস

 

 

 

Previous articleপঞ্চায়েতের আগে ভাঙড়ে আইএসএফের “দাদাগিরি”, সরকারি জায়গা দখল করে পার্টি অফিস
Next articleসাতসকালে শু*টআউট! খু*ন হাঁসখালির তৃণমূলের অঞ্চল সহ-সভাপতি, কারণ ঘিরে ধোঁয়াশা