রামনবমীর (Ramnavami) মিছিলকে কেন্দ্র করে গেরুয়া বাহিনীর তাণ্ডবে শিবপুর (Shibpur), রিষড়া (Rishra) সহ রাজ্যের বেশকিছু জায়গায় অশান্তির পরিপ্রেক্ষিতে পথে নামল বামফ্রন্ট (Left Front)। রবিবার ধর্মীয় বিভাজনের বিরোধিতা ও সম্প্রীতির ডাকে মিছিলের আয়োজন করা হয়। এদিন হুগলির (Hoogly) কোন্নগর বাটা মোড় থেকে উত্তরপাড়ার গৌরী সিনেমা হল পর্যন্ত ‘সম্প্রীতির মহামিছিল’-র ডাক দেয় রাজ্যের ১০ বামপন্থী দল। এদিনের মিছিলে পা মেলান বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু (Biman Basu), সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম (Md Selim), রাজ্য সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য শ্রীদীপ ভট্টাচাৰ্য, হুগলির সম্পাদক দেবব্রত ঘোষ সহ বামপন্থী দলগুলির রাজ্য ও জেলা নেতৃত্ব।
এদিন সম্প্রীতির আহ্বান জানিয়েই হুগলির কোন্নগর থেকে বামেদের পদযাত্রা শুরু হয়। সোমবার এই পদযাত্রা হবে হাওড়ায়। তবে এদিন বামফ্রন্টের বাইরেও সিপিআই (ML) লিবারেশন, এসইউসি-র মতো বাম দলগুলিও পদযাত্রায় সামিল হয়। পদযাত্রা শেষে বামফ্রন্টের তরফে জানানো হয় রাজ্যে সম্প্রীতির পরিবেশ রক্ষা করা এখন অত্যন্ত জরুরি। এই পরিপ্রেক্ষিতে বামপন্থী দলগুলোর উদ্যোগে শান্তি ও সম্প্রীতি মিছিল সংগঠিত হচ্ছে। সমস্ত স্তরের মানুষকে পদযাত্রায় যোগ দেওয়ার আহ্বান জানানো হচ্ছে।
তবে বামদের এই মিছিলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিরোধীরা। বিরোধীদের অভিযোগ, রামের নামে রাজ্যে যে অশান্তির পরিবেশ সৃষ্টি করেছে বিজেপি তার খেসারত দিতেই কী এবার পথে নামল বামেরা? কারণ সময় যত গড়াচ্ছে ততই স্পষ্ট হচ্ছে রাম-বাম অশুভ আঁতাত। মুখে স্বীকার না করলেও বিজেপির হাত ধরেই রাজনীতিতে টিকে থাকার চেষ্টা করছে বামেরা। আর সামনেই লোকসভা নির্বাচন, সেকারণে যেভাবেই হোক রাজ্যের মানুষকে ‘সহানুভূতি’ দেখিয়ে ভোট ব্যাঙ্ক বাড়ানোর চেষ্টায় লাল শিবির। কিন্তু আদৌ এই পরিকল্পনা কতটা বাস্তবায়িত হবে বা মানুষের কাছে ঠিক কতটা গ্রহণযোগ্য হবে তার জন্য কিছুটা সময় অপেক্ষা করতেই হবে।