ডিএ-র দাবিতে দিল্লিতে শুরু ধর্না! আন্দোলনকারীদের পদক্ষেপে ক্ষু.ব্ধ রাজ্য

জানা গিয়েছে, সোমবার বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত এই ধর্না কর্মসূচি চলবে। আগামী দু’দিনের এই ধর্না কর্মসূচিতে যোগ দিতে ইতিমধ্যেই দফায় দফায় কলকাতা থেকে দিল্লিতে পৌঁছেছেন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের সদস্যরা। পাশাপাশি কলকাতার শহিদ মিনারেও মহার্ঘভাতার দাবিতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের সদস্যরা।

দিল্লিতে (Delhi) ডিএ-র (Dearness Allowance) দাবিতে সোমবার সকাল থেকে ধর্নায় (Dharna) বসলেন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের সদস্যরা। এদিন সকাল ১১টা থেকে দিল্লির যন্তর মন্তরে (Jantar Mantar) অবিলম্বে ডিএ-র দাবিতে ধর্নায় বসেছেন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের প্রায় ৫০০ সদস্য। জানা গিয়েছে, সোমবার বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত এই ধর্না কর্মসূচি চলবে। আগামী দু’দিনের এই ধর্না কর্মসূচিতে যোগ দিতে ইতিমধ্যেই দফায় দফায় কলকাতা থেকে দিল্লিতে পৌঁছেছেন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের সদস্যরা। পাশাপাশি কলকাতার শহিদ মিনারেও মহার্ঘভাতার দাবিতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের সদস্যরা। তবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের (Ministry Of Home Affairs) তরফে একাধিক বিধিনিষেধ মেনেই শুরু হয়েছে এই ধর্না কর্মসূচি।

জানা গিয়েছে, দুদিনের ধর্না কর্মসূচি চলাকালীন আন্দোলনকারীদের তরফে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (Draupadi Murmu), উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar), কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন (Nirmala Shitaraman) এবং কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের কাছে ডেপুটেশন (Deputation) দেওয়ার কথাও রয়েছে। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফে জানানো হয়েছে, শুধুমাত্র দিল্লিতেই নয়, সমান্তরাল ভাবে কলকাতাতেও জারি থাকবে আন্দোলন। অবস্থান বিক্ষোভে যোগ দিতে অফিসে ছুটি নিয়ে শনিবার থেকেই দিল্লি যেতে শুরু করেন যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের সদস্যরা। এদিকে দিল্লির যন্তর মন্তরে অবস্থান চলাকালীন আগামীকাল অর্থাৎ মঙ্গলবারই ডিএ মামলার শুনানির কথা সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court of India)। তবে ডিএ-র দাবিতে যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের সদস্যদের দিল্লি যাত্রাকে খুব একটা ভালোভাবে নিচ্ছে না নবান্ন (Nabanna)। নবান্ন সূত্রে খবর, যে সমস্ত সরকারি কর্মচারী ধর্না কর্মসূচিতে অংশ নিতে দিল্লি গিয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে নেওয়া হতে পারে কড়া ব্যবস্থা।

এদিকে দিল্লিতে শুরু হওয়া আন্দোলনকারীদের এমন অবস্থানের প্রেক্ষিতে রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য (Chandrima Bhattacharya) বলেন, আমি ওঁদের দাবি নিয়ে কোনও মন্তব্য করছি না। তবে আদালত ওঁদের আলোচনায় বসতে বলেছিল। তা না করে দিল্লিতে গিয়ে অবস্থানে বসেছেন। এর পিছনে কাদের মদত আছে তা মানুষ দেখতে পাচ্ছেন। এ নিয়ে নির্দিষ্ট করে কিছু বলতে চাই না।

রাজ্য সরকারের মতে, ডিএ-র দাবিতে বার বার কর্মবিরতি এবং প্রশাসনিক ধর্মঘটের কারণে সরকারের পরিষেবা দিতে অসুবিধা হচ্ছে। এরপর আবার দু’দিনের জন্য দিল্লিতে গিয়ে ধর্নায় বসার কারণে বিভিন্ন দফতরের কাজে প্রভাব পড়বে। তাই তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করার দাবি তুলছে নবান্নের একাংশ। নবান্ন সূত্রে খবর, সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের রাজধানীতে গিয়ে ধর্না দেওয়ার কর্মসূচির নেপথ্যে বিরোধীদের ইন্ধন রয়েছে বলেও মনে করছে রাজ্য। পাশাপাশি আর্থিক ক্ষতির মুখেও পড়তে হচ্ছে রাজ্যকে। ইতিমধ্যে ডিএ সংক্রান্ত বিষয়ে যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের সদস্যদের সঙ্গে রাজ্য সরকারকে আলোচনায় বসার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। আগামী ১৭ এপ্রিল রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং অর্থসচিবের উপস্থিতিতে আলোচনায় বসবেন সরকারি কর্মচারী সংগঠনের তিন সদস্য।

 

 

Previous articleহাইকোর্টের ভর্ৎ.সনার পর টাস্ক ফোর্স গঠন সিবিআই-এর,পঞ্চায়েত ভোটের আগেই ভিনরাজ্য থেকে ৭ অফিসার
Next articleUPSC-তে নিয়োগ হওয়া অফিসাররা ডাকাত: বিতর্ক বাড়ালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী