একইদিনে দু’বার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজ্যপাল, রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের সঙ্গে তুলনা অধ্যক্ষদের

সোমবার সকালেই ১১ টা নাগাদ প্রথমবার বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শন করেন তিনি। আর প্রথমবার পরিদর্শনের পর মাত্র কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে এদিন দুপুর ৩টে নাগাদ ফের তিনি ক্যাম্পাসে আসেন।

মাঝে কিছু সময়ের ব্যবধান। একই দিনে পরপর দু’বার নজিরবিহীনভাবে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে (Calcutta University) সারপ্রাইজ ভিজিট (Surprise Visit) করলেন রাজ্যপাল (Governor) তথা আচার্য সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। সোমবার সকালেই ১১ টা নাগাদ প্রথমবার বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শন করেন তিনি। আর প্রথমবার পরিদর্শনের পর মাত্র কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে এদিন দুপুর ৩টে নাগাদ ফের তিনি ক্যাম্পাসে আসেন। ঘন্টাখানেক কাটিয়ে তারপর রাজভবনে (Rahbhawan) ফিরে যান রাজ্যপাল।

উল্লেখ্য, সোমবার সকালেই দিল্লি থেকে কলকাতায় ফেরেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তবে এদিন রাজভবনে ঢোকার আগে আচমকাই সিদ্ধান্ত বদল করে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ স্ট্রিট (College Street) ক্যাম্পাসে পৌঁছে যান রাজ্যপাল। আজ সকালেই দিল্লি থেকে কলকাতায় ফেরেন রাজ্যপাল। রাজভবনে ঢোকার মুখে সিদ্ধান্ত বদলে তিনি আচমকা চলে যান কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে। রাজ্যপালের এই পরিদর্শন নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে আগাম কোনও খবর ছিল না। তবে এদিন কোনও আগাম খবর না দিয়ে রাজ্যপাল যে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসতে পারেন, এমন খবর পুলিশের কাছেও ছিল না। তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি বেরিয়ে যান। কিন্তু চলে গেলেও এদিন দুপুরে ফের একবার বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন আচার্য। আর সেই মতোই তোড়জোড় শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

সোমবার জাতীয় শিক্ষানীতির প্রস্তাবিত কাঠামো নিয়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ কলেজগুলির অধ্যক্ষদের সঙ্গে বৈঠক ছিল উপাচার্যের। পদাধিকারবলে রাজ্যপাল রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য। আর দ্বিতীয়বার বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে তিনি উপাচার্যের সঙ্গে বৈঠক করেন। কথা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র প্রতিনিধিদের সঙ্গেও। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে অধ্যক্ষদের বৈঠকে অংশগ্রহণ করে অধ্যক্ষদের রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের সঙ্গে তুলনাও করেছেন রাজ্যপাল। জাতীয় শিক্ষানীতির বাস্তবায়নে অধ্যক্ষদের অগ্রণী ভূমিকা নিতে পরামর্শ দিয়েছেন বলে খবর। এর পাশাপাশি রাজ্য সরকার যাতে এই বছর থেকেই জাতীয় শিক্ষানীতি চালু করে, তার জন্য আলোচনা করার কথাও বলা হয়েছে। তবে সোমবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢোকার সময় একটি ছাত্র সংগঠনের সদস্যরা রাজ্যপালের গাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজে রাজ্যপালের হস্তক্ষেপের প্রতিবাদে সরব হন তাঁরা পাশাপাশি জাতীয় শিক্ষানীতি বাতিলের দাবিও তোলা হয়। রাজ্যপালের বিরুদ্ধে গো ব্যাক স্লোগানও দেন তাঁরা।

 

 

 

Previous articleঅ্যাম্বুল্যান্সই মিনি হাসপাতাল: রাজ্যে নয়া পরিষেবার উদ্বোধন মুখ্যমন্ত্রীর
Next articleজয় দিয়ে সুপার কাপের অভিযান শুরু মোহনবাগানের, গোকুলামকে হারাল ৫-১ গোলে