তাপপ্রবাহকে উপেক্ষা করেই নতুন বছরকে স্বাগত! কালীঘাট-দক্ষিণেশ্বর-তারাপীঠে উপচে পড়া ভিড়

শনিবার নববর্ষের সকাল থেকে কালীঘাট, দক্ষিণেশ্বর, তারাপীঠ, লেক কালী মন্দির, ঠনঠনিয়াতেও ভক্তদের উপচে পড়া ভিড়।

তাপমাত্রা ইতিমধ্যেই ৪০-এর আশপাশে ঘোরাফেরা করছে। বেলা বাড়লেই রোদে প্রাণ যাওয়ার মতো অবস্থা। তাই বলে নতুন বছরকে (Bengali New Year) স্বাগত জানাতে বাঙালিদের কোনও খামতি নেই। আর সেকারণেই শনিবার নববর্ষের দিন সকালে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েছেন অনেকেই। কেউ মন্দিরের লাইনে দাঁড়িয়েছেন, আবার কোথাও চলছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও। রাজ্য জুড়ে নানা রীতিতে নতুন বছরকে অভ্যর্থনা জানাতে মেতে উঠেছে রাজ্যবাসী।

শনিবার নববর্ষের সকাল থেকে কালীঘাট (Kalighat), দক্ষিণেশ্বর (Dakkhineshwar), তারাপীঠ (Tarapeeth), লেক কালী মন্দির, ঠনঠনিয়াতেও ভক্তদের উপচে পড়া ভিড়। তপ্ত গরমে একেবারে রাজ্যবাসীর নাজেহাল অবস্থা। এসব উপেক্ষা করেও সকাল থেকেই চলছে হালখাতার (Halkhata) পুজো। লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছেন ভক্তরা (Devotees)। কয়েক ঘণ্টা অপেক্ষা করে দিতে হচ্ছে পুজো। এছাড়াও মন্দির চত্বরে লক্ষ্মী-গণেশ ও হালখাতার পুজো দিতে এসেছেন ব্যবসায়ীরা। বছরের প্রথম দিন পরিবারের মঙ্গল কামনা করে পুজো দেবেন তাঁরা।

কলকাতার পাশাপাশি রাজ্যেরও ছবিটা একই। বর্ধমানে বাংলা নববর্ষে দেবী সর্বমঙ্গলার আশীর্বাদ লাভে ভক্তদের ঢল। রাজা মহাতাব চাঁদ সর্বমঙ্গলার মন্দিরেই লম্বা লাইন। পাশাপাশি নববর্ষ উপলক্ষে এদিন কলকাতা সহ রাজ্যের একাধিক জায়গায় প্রভাতফেরীর আয়োজন করা হয়। এছাড়াও এদিন ভোরে তারাপীঠেও শুরু হয়েছে ভক্ত সমাগম। মায়ের স্নান পর্ব হয় ভোর ৪টেয়। এরপর ভোর ৫টায় মঙ্গল আরতি। তারপর খুলে যায় মন্দিরের গর্ভগৃহের দরজা। দুপুরে হবে মধ্যাহ্নভোজন। ভোগে থাকবে পোলাও, ভাজা, মাছ। এরপর সন্ধেয় আরতি হবে। তারাপীঠে আশেপাশের রাজ্য থেকেও এসেছেন ভক্তেরা।

 

 

Previous articleপুলওয়ামা কান্ড সরকারের ভুলের জন্যই, মোদিজি ‘ধামাচাপা’ দিয়েছেন: বিস্ফোরক সত্যপাল
Next articleবাংলা নববর্ষে দুই সেলিব্রিটি মডেলের রূপসজ্জা সুপারহিট