সরকারকে অন্ধকারে রেখে ফের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ রাজ্যপালের

ফের রাজ্য সরকারকে অন্ধকারে রেখেই আরেকটি বিশ্ব বিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগে অনুমোদন দিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস(CV Anand Bose)। নেতাজি সুভাষ মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তবর্তী উপাচার্য হিসাবে ইতিহাসের শিক্ষক চন্দন বসুকে(Chandan Bose) দায়িত্বভার গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যপাল। তবে রাজ্যের শিক্ষা দফতরকে না জানিয়েই আচার্যের উপাচার্য নিয়োগের সিদ্ধান্ত বলে সূত্র মারফত জানা গিয়েছে। রাজভবনের(RajVaban) এই নির্দেশে ক্ষুব্ধ শিক্ষা দফতর।

রাজভবনের তরফে জানা গিয়েছে, যতদিন স্থায়ী কোনও ব্যবস্থা নেওয়া না হচ্ছে ততদিন অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য হিসেবে কাজ করবেন ওই বিশ্ববিদ্যালয়েরই ইতিহাসের অধ্যাপক চন্দন বসু। বুধবার পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শনে গিয়ে নেতাজি সুভাষ মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন প্রতিনিধিকে ডেকে নেন রাজ্যপাল আনন্দ। তাঁদের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলতে দেখা যায় রাজ্যপালকে। উপাচার্যহীন অবস্থায় পাঁচ লক্ষ পড়ুয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে কী কী অসুবিধা হচ্ছে, তা জেনে নেন তিনি। তারপরই নতুন উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে তৎপর হয় রাজভবন।

দিন কয়েক আগেই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের একটি বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়েছিলেন রাজ্যপাল। যা নিয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে মতবিরোধ দেখা যায়। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানিয়েছিলেন, ‘উচ্চ শিক্ষা দফতরকে একেবারে অন্ধকারে রেখেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজভবন।’ এমনকী সেই বিজ্ঞপ্তির আইনি বৈধতাও নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি। পরেও একাধিক ইস্যুতে রাজ্যপালের সমালোচনা করতে দেখা গেছে ব্রাত্যকে। তিনি বারবার অভিযোগ করেছেন, রাজ্য সরকার ও উচ্চ শিক্ষা দফতরকে না জানিয়েই সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন রাজ্যপাল। যেটা ঠিক নয়। এরই মাঝে ফের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগে রাজ্য ও রাজ্যপাল মতবিরোধের সম্ভাবনা।

Previous articleখু*নের অভিযোগে অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রী জগনমোহনের কাকাকে গ্রে*ফতার সিবিআইয়ের
Next articleনামমাত্র কমেছে আক্রা.ন্তের সংখ্যা, সং.ক্রমণ গ্রাফ চড়ার আশ.ঙ্কা বিশেষজ্ঞদের!