৮৫ বছরের বৃদ্ধের সঙ্গে বিয়ে ২৪ এর তরুণীর! এ প্রেমকাহিনী খানিকটা অন্যরকম

ভালোবাসা বয়সের বাঁধা মানে না। প্রেমের যে কোনও বয়স হয় না তা আমাদের সকলেরই জানা। ভালোবাসা মানে একে অপরকে ভালো করে চেনা, সুসময়েও যেমন হাত শক্ত করে ধরে রাখা , দুঃসময়েও তেমনি একে অন্যের পাশে থাকা। তবে এরকম বন্ধু যদি বয়সে অনেকটাই বড় হয়? তাতেও কুছ পরোয়া নেহি! সবকিছুকে উপেক্ষা করেই একেবারে বিয়ে সেরে নিয়েছেন ৮৫ বছরের বৃদ্ধ চার্লস পোগের। বার্ধক্য তাঁর বয়স ছুঁলেও মনের বয়স কিন্তু এতটুকুও বাড়েনি। তিনি যাঁকে বিয়ে করেছেন তাঁর বয়স কত জানেন?

আরও পড়ুন:“আদালত নয়, সংসদই আদর্শ জায়গা”! সমলি.ঙ্গ বিবাহ ইস্যুতে ফের বি.স্ফোরক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী  

৮৫ বছরের বৃদ্ধের মনটা একেবারে তরতাজা। সেই মনের টানেই বৃদ্ধ বয়সে প্রেমের জোয়ারে গা ভাসিয়েছেন তিনি। নাতনির বয়সি এক তরুণীর সঙ্গে ঘটা করে বিয়ে করেছেন।
মাত্র ২৪ বছরের তরুণী মিরাকেলের সঙ্গে বিয়ে সেরেছেন পোগের ।আর পাঁচটা বিয়ের থেকে এই বিয়ে কিছুটা অন্যরকম হলেও ৮৫ বছরের চার্লসের এ হেন প্রেমকাহিনি বেশ আলোচিত হয়েছে। কেউ এই অসমবয়সি প্রেমের কথা শুনে প্রায় স্তম্ভিত । কেউ আবার এমন প্রেমের গল্প বেশ উপভোগ করছেন।

আসুন জেনে নিই তাঁদের প্রেমকাহিনী-
সালটা ২০১৯। প্রথম একটি লন্ড্রিতে চার্লসের সঙ্গে প্রথম দেখা হয়েছিল মিরাকেলের। সেই সাক্ষাতের অল্প দিনের মধ্যেই তাঁদের মধ্যে খুব ভাল বন্ধুত্ব হয়ে যায়। বন্ধুত্ব থেকেই ধীরে ধীরে প্রেমের সূত্রপাত। রিয়েল এস্টেট এজেন্ট হিসাবে অতীতে কর্মরত ছিলেন চার্লস। আর মিরাকেল পেশায় নার্স হলেও মনের মিল দুজনের খুব।তাই মনের কথা একে অপরকে বলতে তাঁরা কেউই দেরি করেননি।ব্যস! তারপর আর কী!

২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে মিরাকেলকে প্রেম নিবেদন করেন চার্লস। প্রস্তাব দেন বিয়েরও। তাতে রাজিও হয়েছিলেন মিরাকেল। কারণ মনে মনে চার্লসকে তত দিনে ভালবেসে ফেলেছিলেন ওই তরুণী। তবে ৮৫ বছরের এক বৃদ্ধের সঙ্গে সংসার পাতা তো চাট্টিখানি কথা নয়। পরিবারকে রাজি করানোটাও চ্যালেঞ্জ ছিল মিরাকেলের কাছে।তবে মা ও দাদুকে পাশে পেয়েছিলেন মিরাকেল। বলা ভালো, মিরাকেলের দাদুর বয়স ৭২। তিনিও রোগের থেকে ছোট। তবে মা দাদু রাজি হলেও বাবা কারিম ফিলিপ্‌স মেয়ের এই সম্পর্ককে মানতে পারেননি। তিনি আপত্তি জানিয়েছিলেন। বাবাকে রাজি করাতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়েছিল মিরাকেলকে।তবে পরে সব মিটমাট হয়ে যায়। জামাই হিসেবে চার্লস সকলের প্রিয় হয়ে ওঠেন।

গত বছর জুলাই মাসে চার হাত এক হয় মিরাকেল এবং চার্লসের। বিয়ের দিন সাদা রঙের গাউনে কনের সাজে মিরাকেলকে দেখে মোহিত হয়ে গিয়েছিলেন চার্লস। একে অপরকে কেকও খাওয়ান তাঁরা।মিরাকেলের কাছে বিয়ের দিনই সবথেকে ভালো দিন। বিয়ের পর চুটিয়ে সংসার করছেন মিরাকেল এবং চার্লস। আপাতত মা হতে চান মিরাকেল। সেই সঙ্গে চার্লসকেও তিনি পিতৃত্বের স্বাদ দিতে চান।কিন্তু চার্লসের বার্ধক্যেজনিত কারণে আইভিএফ পদ্ধতিতে সন্তানধারণের পরিকল্পনা করেছেন তাঁরা।যদিও অসময়সী এই প্রেম নিয়ে কম কথা শুনতে হয়নি দুজনকে। তবে তাতে কিছু যাই আসে না মিরাকেলের।তাঁর কথায়, ‘‘ওর (চার্লস) বয়স ১০০ হোক কিংবা ৫৫, আমার কিছু যায়-আসে না। আমি শুধু ওকে ভালবাসি। পছন্দ করি।’’
নেটিজেনরা অনেকেই চার্লস ও মিরাকেলের ছবি একসঙ্গে দেখে বাবা ও মেয়ে ভাবেন। তাই বহু কটাক্ষের শ্কার হতে হয় দুজনকে। আবার অনেকেই এমন কটাক্ষও করেছেন যে, টাকার জন্যই চার্লসের সঙ্গে সংসার পেতেছেন মিরাকেল। এর পাল্টা জবাবও দিয়েছেন তরুণী। সাফ জানিয়ে দিয়েছেন যে, তিনিও চাকরি করেন। তাঁর নিজের টাকা রয়েছে। যতই নিন্দা, সমালোচনা হোক, সব কিছুকে সরিয়ে চার্লসের হাত ধরে ভালবাসার ঘর বানিয়েছেন মিরাকেল।

 

 

Previous articleদহনজ্বালা থেকে স্বস্তি!আগামিকাল থেকেই খুলছে স্কুল-কলেজ
Next articleতৃণমূলে নব জোয়ার: সোমবার থেকে টানা দুমাস জনসংযোগ যাত্রায় অভিষেক