১৭ আনন্দমার্গীকে সিপিএম হার্মা.দদের হ.ত্যালীলার ৪১ বছর পার, শ্রদ্ধায়-স্মরণ “দধীচি দিবস”

প্রতিবছরের মত এবছরও সপ্তদশ দধীচির স্মৃতির উদ্দেশ্যে দেশপ্রিয় পার্ক থেকে বিজন সেতু পর্যন্ত একটি মৌন মিছিল করা হয়। এই মিছিলে শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, ওড়িশা, বিহার, ঝাড়খন্ড থেকে আনন্দমার্গের কয়েকশো অনুগামী যোগদান করেন

বালিগঞ্জ বিজন সেতুর উপর আনন্দ মার্গ প্রচারক সংঘের ১৬ জন সন্ন্যাসী এবং একজন সন্ন্যাসিনীকে প্রকাশ্য দিবালোকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছিল সিপিএমের হার্মাদরা। আজ সেই অভিশপ্ত ৩০ এপ্রিল, ১৯৯২ সালে যেদিন এই বর্বরোচিত ঘটনা ঘটিয়েছিল সিপিএম। নৃশংস হত্যার ৪১ তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে প্রতি বছরের মতো এ বছরও সেই বিজন সেতুর উপরই শ্রদ্ধায় স্মরণে পালিত হল “দধীচি দিবস”।

আনদমার্গ প্রচারক সংঘের কেন্দ্রীয় জনসংযোগ সচিব আচার্য দিব্যচেতানন্দ অবধূত বলেন, “১৯৮২ সালের ৩০ এপ্রিল কলকাতার বিজন সেতু ও বন্ডেল গেটে আনন্দ মার্গ প্রচারক সংঘের ১৬ জন সন্ন্যাসী এবং একজন সন্ন্যাসিনীকে প্রকাশ্য দিবালোকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছিল সিপিএমের হার্মাদরা। স্বাধীন ভারতের এমন ঘটনায় শিউরে উঠেছিলেন গোটা দেশের মানুষ। সিপিএম ঘাতক বাহিনীর মানবতার বিরুদ্ধে এই অপরাধের ৪১ বছর পূর্ণ হল।”

প্রতিবছরের মত এবছরও সপ্তদশ দধীচির স্মৃতির উদ্দেশ্যে দেশপ্রিয় পার্ক থেকে বিজন সেতু পর্যন্ত একটি মৌন মিছিল করা হয়। এই মিছিলে শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, ওড়িশা, বিহার, ঝাড়খন্ড থেকে আনন্দমার্গের কয়েকশো অনুগামী যোগদান করেন। এদিন অনুষ্ঠানের সূচনা হয় প্রভাত সংগীত, বাবা নামা কেবলম কীর্তন ও সমবেত ধ্যানের মধ্যে দিয়ে। এরপর বিজন সেতুর উপরে ১৭জন দধীচি ছবিতে ও মাল্যদানের মাধ্যমে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করা। আনন্দ মার্গের সন্ন্যাসী ও সমাজের বহু বিশিষ্টজন সেদিনের ভয়াবহতার কথা তুলে ধরে সিপিএমকে তুলোধনা করেন।

আরও পড়ুন- আদানিকাণ্ডের তদন্তে সুপ্রিম কোর্টে বাড়তি সময় চাইল SEBI   

 

Previous articleরবিবার হাল্কা মেজাজে নাইট ব্রিগেড, খেলল গল্ফ
Next articleইন্দাসে বজ্র.পাতে মৃ.ত্যুর ঘটনায় শোকপ্রকাশ অভিষেকের, দেবাংশুকে শোকা.হত পরিবারের পাশে থাকার নির্দেশ