‘সামাজিক চাহিদা খতিয়ে দেখতে হবে’! সম.কামী জুটিদের জন্য কমিটি গড়ার পথে কেন্দ্র

কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেট সচিবের নেতৃত্বাধীন এই কমিটি পুরো বিষয়টির পর্যালোচনা করবে। পাশাপাশি সমলিঙ্গ বিবাহ বিষয়ে সামাজিক সুবিধা ক্ষেত্রের বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখা হবে।

সমলিঙ্গ বিবাহের (Same Sex Marriage) ভবিষ্যৎ কী হবে? বিষয়টিকে আইনত মান্যতা দেওয়া হবে কি না, তা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court of India) ৫ বিচারপতির বিশেষ সাংবিধানিক বেঞ্চে মামলা চলছে। এদিকে, বুধবার কেন্দ্রের তরফে সুপ্রিম কোর্টকে সাফ জানানো হয়েছে, সমলিঙ্গ বিবাহ সম্পর্কিত কিছু বিষয় নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার একটি কমিটি (Committee) গঠন করতে সম্মত হয়েছে। কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেট সচিবের নেতৃত্বাধীন এই কমিটি পুরো বিষয়টির পর্যালোচনা করবে। পাশাপাশি সমলিঙ্গ বিবাহ বিষয়ে সামাজিক সুবিধা ক্ষেত্রের বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখা হবে।

তবে কেন্দ্রের তরফে এদিন সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতা (Tushar Mehta) সমলিঙ্গ বিবাহে মান্যতা মামলা নিয়ে এদিন কেন্দ্রের অবস্থান স্পষ্ট করে জানান। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় (Justice DY Chandrachud) ছাড়াও এই বেঞ্চে রয়েছেন বিচারপতি সঞ্জয় কৌল, হিমা কোহলি, পিএস নরসিংহ, রবীন্দ্র ভাট। উল্লেখ্য, কেন্দ্র সাফ জানিয়েছে, প্রশাসনিক দিক থেকে এই বিবাহের সামাজিক সুবিধা সম্পর্কিত দিকগুলি খতিয়ে দেখতে কমিটি গঠনে সম্মত কেন্দ্র। তবে বিপক্ষ আইনজীবীর দাবি, এই ক্ষেত্রটি শুধু ‘প্রশাসনিক’ কেন হবে, তার বাদে বাকি দিকগুলিও পর্যালোচিত হোক। তার প্রেক্ষিতে শীর্ষ আদালত সাফ জানিয়েছে, পদক্ষেপ ছোট হলেও, অনেক সময় তার অর্থবহ দিক থাকে।

তুষার মেহতা আরও জানান, কেন্দ্রীয় সরকার মনে করছে, এই বিষয়গুলি একাধিক মন্ত্রিসভার মধ্যে সমন্বয়সাধনের মাধ্যমেই সম্ভব। তাই ক্যাবিনেট সচিবই এই কমিটির নেতৃত্ব দিতে পারেন বলে জানিয়েছেন তুষার মেহতা। তবে সমলিঙ্গের বিবাহের মান্যতার সপক্ষে পিটিশনারদের পক্ষের আইনজীবী এএম সিংভি (AM Singvi) জানিয়েছেন, ওপর ওপর পরিবর্তন করলে এই ইস্যুতে বড় পদক্ষেপ হবে না, যেখানে আইনত মান্যতার প্রসঙ্গ রয়েছে। আপাতত এই ইস্যুতে শুনানি চলছে। এর আগে ২৭ এপ্রিল, সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রের উদ্দেশে বলেছিল, সমলিঙ্গের দম্পতিদের ন্যূনতম সামাজিক সুবিধা দেওয়ার কী কী উপায় থাকতে পারে, তা খতিয়ে দেখতে। এই সামাজিক সুবিধার ক্ষেত্রে জয়েন্ট ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট তৈরির মতো একাধিক বিষয় খতিয়ে দেখার কথা বলা হয়েছিল।

এদিকে পিটিশন দাখিলকারীদের হয়ে আইনজীবী সৌরভ কৃপাল এদিন সুপ্রিম কোর্টকে প্রশ্ন করেন, কেন আমরা দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক হয়েই থেকে যাব? আমরা বিয়ে করতে চাই। আমাদের অভিভাবকরা চান আমাদের বিয়ে হোক।

 

 

Previous articleনির্বাসনের মধ্যেই মেসির নতুন ছবি প্রকাশ করলেন সৌদির পর্যটনমন্ত্রী
Next articleসমাজ মাধ্যমে প্রকাশ্যে অরিজিৎ পার্ট টু! ভাই*রাল ভিডিও