হাই কোর্টের নির্দেশিত পথেই মিছিল ডিএ আন্দোলনকারীদের

তবে এদিন মিছিলের অনুমতি মিললেও যাত্রাপথ বদল করতে বলেন বিচারপতি। যে পথে ডিএ আন্দোলনকারীরা নবান্নে যাবেন বলে আগেভাগে স্থির করেছিলেন, সেই পথে যাওয়া যাবে না বলে স্পষ্ট নির্দেশ দেন বিচারপতি মান্থা।

অনুমতি পাওয়া নিয়ে দীর্ঘ চাপানউতোর চলছিলই। অবশেষে বৃহস্পতিবার শর্তসাপেক্ষে বকেয়া মহার্ঘ্য ভাতার (DA) দাবিতে নবান্ন (Nabanna) অভিযানে সামিল ডিএ আন্দোলনকারীরা (DA Protesters)। এদিন মিছিলের রুট পরিবর্তন করে নবান্ন অভিযানে অনুমতি দেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা (Justice Rajasekhar Mantha)। এদিন বেলা গড়াতেই হাওড়া স্টেশন থেকে ফেরিঘাট থেকে বঙ্কিম সেতু, এমজি রোড, হাওড়া ময়দান পর্যন্ত মিছিল করেন আন্দোলনকারীরা। তবে আগে তাঁরা যে পথে মিছিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন সেই পথে তাঁরা না যেতে পেরে আদালতের নির্দেশিত পথেই মিছিল করতে হয় তাঁদের। এদিন রুট বদল করে দুপুর আড়াইটে নাগাদ মিছিল শুরু করে কোর্ডিনেশন কমিটি। তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ইতিমধ্যে ৩ শতাংশ ডিএ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত ঘোষণা করলেও শান্ত হননি আন্দোলনকারীরা। মুখ্যমন্ত্রী বারবার জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মীদের মতো রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ দেওয়া সরকারের পক্ষে সম্ভব নয়। তারপরেও মুখ্যমন্ত্রী ডিএ বৃদ্ধির ঘোষণা করলেও মন গলেনি আন্দোলনকারীদের। আর সেকারণেই একাধিকবার শহরের রাজপথে বিক্ষোভ, আন্দোলনে সামিল যৌথ সংগ্রামী মঞ্চ।

তবে এদিন মিছিলের অনুমতি মিললেও যাত্রাপথ বদল করতে বলেন বিচারপতি। যে পথে ডিএ আন্দোলনকারীরা নবান্নে যাবেন বলে আগেভাগে স্থির করেছিলেন, সেই পথে যাওয়া যাবে না বলে স্পষ্ট নির্দেশ দেন বিচারপতি মান্থা। গত ২ তারিখ এই মামলার রায় দেয় কলকাতা হাই কোর্ট। উল্লেখ্য, বিগত কয়েকমাস ধরে মহার্ঘ ভাতার দাবিতে চলছে আন্দোলন। ৪ মে নবান্ন অভিযান করার অনুমতি চেয়ে ডিএ আন্দোলনকারীরা এর আগে পুলিশের দ্বারস্থ হলেও মিছিলের অনুমতি মেলেনি। এরপরই ধর্মতলা থেকে নবান্ন পর্যন্ত মিছিলের অনুমতি না পেয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয় সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। পরে মিছিলের অনুমতি চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) দায়ের হয় মামলা।

কিন্তু রাজ্যের তরফে আগেই জানানো হয়েছিল যে রুটে মিছিলের কথা ছিল সেই রাস্তা অত্যন্ত ঘিঞ্জি। পাশাপাশি ওই রুটে রাজভবন, হাই কোর্টের মতো একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ভবন রয়েছে। আর বৃহস্পতিবার এই মিছিল হলে দিনের ব্যস্ত সময় অবরুদ্ধ হয়ে যেতে পারে রাস্তা। চরম সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন স্কুল পড়ুয়া থেকে শুরু করে নিত্যযাত্রীরা। আর সেকারণেই মিছিলের রুট বদলের সিদ্ধান্ত নেয় কলকাতা হাই কোর্ট। উল্লেখ্য, মহার্ঘ্য ভাতা মেটানোর দাবিতে দীর্ঘদিন আন্দোলন চালাচ্ছেন যৌথ সংগ্রামী মঞ্চ। এই নিয়ে মামলাও চলছে সুপ্রিম কোর্টে। সেই মামলার ভবিষ্যৎ এখনও দেশের শীর্ষ আদালতে ঝুলে থাকলেও তার মধ্যেই কলকাতা হাইকোর্ট, ডিএ আন্দোলনকারীদের সঙ্গে রাজ্য সরকারকে বৈঠকে বসার নির্দেশ দেয়। সেই নির্দেশ মতো গত ২১ এপ্রিল নবান্নে মুখ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠক করেন যৌথ মঞ্চের প্রতিনিধিরা।

 

 

 

Previous articleমহরতেই প্রকাশ্যে দেবের ‘ সত্যবতী’! আঁটঘাট বেঁধেই ফ্লোরে ‘খোকাবাবু’
Next articleরেখে দিলে ‘আ.লসার’, বাড়তে দিলে ‘ক্যা.নসার’: বিজেপিকে তুলোধনা অভিষেকের