‘শেষ ওভার কাকে বল দেব বুঝতেই পারছিলাম না’, হায়দরাবাদকে হারিয়ে বললেন নাইট অধিনায়ক

কঠিন দায়িত্ব দারুণ ভাবে পালন করেন কেকেআর স্পিনার। তবে বল হাতে নিয়ে বেশ টেনশনে পড়ে গিয়েছিলেন বরুণ। ম‍্যাচ শেষে এমনটাই জানান তিনি।

বৃহস্পতিবার সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে ৫ রানে জয় পায় কলকাতা নাইট রাইডার্স। হায়দরাবাদের শেষ ওভারে জয়ের জন‍্য বাকি ছিল ৯ রান। টি-২০ ক্রিকেটের যুগে আইপিএল-এ এই রান ডিফেন্ড করা যে কতটা কঠিন, সেটা সকলেই জানেন। তবুও এর মধ্যেই মরণ-বাঁচন ম্যাচে শেষ ওভারে বরুণ চক্রবর্তীর হাতে বল তুলে দেন কেকেআর অধিনায়ক নীতীশ রানা। শেষ ওভারে বরুণ দিলেন মাত্র ৩ রান। তাতেই জয় পেল কেকেআর। কঠিন দায়িত্ব দারুণ ভাবে পালন করেন কেকেআর স্পিনার। তবে বল হাতে নিয়ে বেশ টেনশনে পড়ে গিয়েছিলেন বরুণ। ম‍্যাচ শেষে এমনটাই জানান তিনি।

বরুণ বলেন, ‘নীতীশ আমার হাতে যখন বল তুলে দেয়, হৃদস্পন্দন ২০০ ছাড়িয়ে গিয়েছিল মনে হয়। বুঝতে পারছিলাম না কী করা উচিত। লক্ষ্য করে দেখি মাঠের একটা দিক বড়। ব্যাটসম্যান যাতে সেই দিকে শট খেলার চেষ্টা করে, সেই অনুযায়ী বল করেছি। সেই ফাঁদে পা দিয়ে শট খেলতে যায় সামাদ। ওর উইকেট পাওয়ার পরেই আমরা আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠি।”

বরুণ আরও বলেন, “শেষ ওভারে আমি অতিরিক্ত কিছু চেষ্টাই করিনি। একেই বৃষ্টি পড়ছিল। হাত থেকে পিছলে যাচ্ছিল বল। তাই অতিরিক্ত ঘোরাতে যাইনি। সেই চেষ্টা করলেই ফুলটস পড়ত।” শেষ বলে বাকি ছিল ছ’রান। সেই সময় কী ভাবছিলেন? উত্তরে বরুণ বলেন,”জোরের উপরে বল করতে চেয়েছিলাম। ভাগ্যিস ওরা দু’রান নেয়নি পঞ্চম বলে। সেটা করলে এত জোরে শেষ বল করতে পারতাম না। চার হয়ে যাওয়ার চিন্তা থাকত। কিন্তু ছ’রান বাকি থাকার ফলে আমি নিশ্চিত ছিলাম, জোরের উপর বল করলে ভুবি মারতে পারবে না।”

এদিকে শেষ ওভার কাকে বল দেবেন বুঝতেই পারছিলেন না নীতীশ রানা। কলকাতা নাইট রাইডার্সের অধিনায়ক ম্যাচের পর জানান কেন প্রথমে শার্দূল ঠাকুরের হাতে বল তুলে দিয়েও পরে তা দেন বরুণ চক্রবর্তীকে। এই নিয়ে ম্যাচ শেষে কেকেআর অধিনায়ক বলেন, “আমি শার্দূলের কাছে গিয়েছিলাম আলোচনা করার জন্য। বুঝতে পারছিলাম না শেষ ওভারে পেসারকে দেব নাকি স্পিনারকে। শেষ পর্যন্ত স্পিনারকে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিই। পিচের জন্যই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।”

শার্দূল ঠাকুরও অবাক হয়ে গিয়েছিলেন নীতীশের এমন সিদ্ধান্তে। তিনি জানিয়েছেন, “আমার হাতে বল দিলে শেষ ওভারে ৯ রান আটকাতে পারতাম কি না সত্যি জানি না। নীতীশ আদর্শ বোলারের উপরে ভরসা রেখেছে। আমরা সকলেই জানি বরুণ কী করতে পারে। একদম জোরের উপরে উইকেটের সোজাসুজি বল রেখেছে। চাপের মুহূর্তে এই রকম একটা ওভার করা সত্যি কঠিন।”

আরও পড়ুন:৩৩ বছরের খরা কাটিয়ে ইতালির লিগ ঘরে তুলল মারাদোনার নাপোলি

 

 

Previous articleঅভিষেকের নির্দেশ, ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ শুভেন্দুর কনভয়ের ধাক্কায় মৃতের পরিবারকে
Next articleমণিপুরের বিজেপি বিধায়ককে গণপি.টুনি! পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে নির্বাচনী কর্মসূচি বাতিল শাহের