২০১১-তে ঢোকা ‘বেনোজল’ তৃণমূল থেকে বের করব: সাঁইথিয়ায় বললেন অভিষেক

এদিন অভিষেক বলেন, দল থেকে বেনোজল বের করে আপনাদের মতামত নিয়ে আপনাদের দাবিকে মান্যতা দিয়েই মানুষের ‘প্রগতিশীল পঞ্চায়েত’ গড়ব।

২০১১ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) মুখ্যমন্ত্রী (Chief Minister) হিসাবে দায়িত্বগ্রহণের পর দলে কিছু বেনোজল ঢুকেছিল। একথা কেউ অস্বীকার করতে পারবে না। অন্যদিকে, রাতারাতি কিছু সিপিএম (CPIM) কর্মী তৃণমূলে (TMC) যোগদান করেছিল। কিন্তু বর্তমানে সেই বেনোজল বের করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শে উৎসর্গীকৃত তৃণমূল কর্মীদের নিয়ে পথ চলব বলেই এই নব জোয়ার (Nabajowar) এনেছি। বুধবার সাঁইথিয়ার (Sainthia) পুরন্দরপুরের জনসভা থেকে এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)।

এদিন অভিষেক বলেন, দল থেকে বেনোজল বের করে আপনাদের মতামত নিয়ে আপনাদের দাবিকে মান্যতা দিয়েই মানুষের ‘প্রগতিশীল পঞ্চায়েত’ গড়ব। আপনারা যারা দল করছেন তার মধ্যে ৮০ শতাংশ প্রথম দিন থেকে তৃণমূল করেন। আজ আপনারা মতামত রাখার জায়গা পেলেন। এটাই নতুন তৃণমূল। পাশাপাশি এদিন অভিষেক মনে করিয়ে দেন, বীরভূমে কীভাবে সিপিএমের রামচন্দ্র ডোমরা পার্টি করেছে তা আমরা ভুলে যাইনি।

 

অভিষেকের আরও সংযোজন, কেউ যদি ভাবেন দলের হয়ে প্রচার করব না। প্রার্থী পছন্দ নয় ভোটে অংশগ্রহণ করব না। তা হবে না। দল যাকে প্রার্থী করবে তাঁকে ঘাড়ে করে নিয়ে ভোট বৈতরণী পার করতে হবে। কেউ যদি ভাবেন আমি পঞ্চায়েতে জিতে গেছি বলে যা খুশি তাই  করব, তবে ভুল করছেন। পরিষেবা দিলে থাকবেন, না হলে চেয়ারটা ছেড়ে দিতে হবে। আপনি পঞ্চায়েত প্রধান হবেন আর আপনার বাড়িতে গিয়ে ত্রিপল চাইতে গিয়ে তিন ঘণ্টা বসে থাকতে হবে সাধারণ মানুষকে এটা বরদাস্ত হবে না। পাশাপাশি এদিন জনসংযোগ যাত্রার ১৬ তম দিনে দুবরাজপুরের বাসিন্দাদের সঙ্গে আলাপচারিতা সারেন অভিষেক। পাশাপাশি সিউড়ির মাজার শরিফ দর্শনে যান তিনি।

 

 

 

Previous articleকম রানে চেন্নাইকে আটকে রেখেও ২৭ রানে হারল দিল্লি
Next articleঅ.শান্তি এড়ানো যায়নি প্রথম দফায়! যোগীরাজ্যে শেষ দফার পুরভোটে কড়া নিরাপত্তা