দাম্পত্য ভা.ঙছে পুলিশ? স্কুটারের ব্যাক সিটে কে, বরকে প্রশ্ন বউয়ের!

গত ২৫ এপ্রিল এই ঘটনাটি ঘটার পর থেকে টেনশনে স্বামী। আসলে স্বামী স্কুটার চালালেও আসল মালিকানা রয়েছে স্ত্রীর নামে।

এ তো মহা যন্ত্রণা! এর থেকে ট্রাফিক পুলিশের (Traffic Police) হাতে ধরা পড়লেই বোধহয় ভাল ছিল। এমনটাই মনে করছেন ভাগ্যচক্রে পাকে পড়া গোবেচারা স্বামী। কী কাণ্ড বলুন দেখি, ট্রাফিক সিগনাল না মেনে পুলিশের ক্যামেরার চোখে পড়লেন এক ব্যক্তি। এরকম ঘটনা নতুন কিছু নয়। কিন্তু এই খবর শিরোনামেই আসার পেছনে রয়েছে অন্য কারণ। পুলিশের তরফ থেকে মোটর ভেহিকেল ডিপার্টমেন্ট (Motor Vehicle Department) ছবি সমেত চিঠি পাঠাল ওই ব্যক্তির বাড়ি আর তাতে রেগে ফায়ার তাঁর স্ত্রী। যিনি বাইক চালাচ্ছেন তাঁর মাথায় হেলমেট নেই ,তাই নিজের স্বামীকে চিনতে খুব একটা ভুল হয়নি স্ত্রীর। কিন্তু স্কুটারের ব্যাক সিটি ওটা কে? স্বামীর গাড়িতে অন্য মহিলাকে দেখে রেগে আগুন ৩২ বছরের যুবকের স্ত্রী। মাথায় হাত বেচারা স্বামীর, ট্রাফিক আইন ভাঙ্গার জন্য শেষমেষ দাম্পত্য ভেঙে যাবে না তো?

গত ২৫ এপ্রিল এই ঘটনাটি ঘটার পর থেকে টেনশনে স্বামী। আসলে স্বামী স্কুটার চালালেও আসল মালিকানা রয়েছে স্ত্রীর নামে। তাই মেসেজ গেছে স্ত্রীর কাছে । এখানেই যত গন্ডগোলের শুরু। ৩২ বছর বয়সি ওই যুবক যতই বলুন, “আমার সঙ্গে ওনার কোনও সম্পর্ক নেই। নিছক লিফট দেওয়ার জন্য ওনাকে চাপিয়েছিলাম ” , তাঁর স্ত্রী সে কথা মানতে নারাজ।রোড সেফটি ক্যামেরা যে তাঁর জীবনে এমন বিপর্যয় আনবে তা স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি যুবক। গত ৫ মে স্ত্রী স্বামীর বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান স্ত্রী। তাঁর দাবি স্বামী তাঁর সঙ্গে খারাপ আচরণ করছেন। পুলিশ স্বামীকে গ্রেফতার করেছে। তবে ঘটনা এসেছে এখানেই থেমে থাকবে না তা বেশ আন্দাজ করতে পারছেন ওই যুবক।

 

Previous article‘মন কি বাত’ না শোনার অ.পরাধ! চরম শা.স্তির মুখে ৩৬ নার্সিং ছাত্রী
Next articleচলতি আইপিএল-এ দলের জন‍্য নিজেকে কীভাবে ব‍্যবহার করবেন মাহি, তা স্বয়ং জানিয়ে দিলেন তিনি