শুক্রেই জ্ঞানবাপী মামলার শুনানি! ASI সমীক্ষার বি.রোধিতা করে ‘সুপ্রিম’ দ্বারস্থ মসজিদ কমিটি

তবে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছিল এই মামলার শুনানি ২২ মে শুরু হবে। কিন্তু সেদিন থেকেই আর্কিওলজিক্যাল সার্ভের কাজ শুরু হওয়ার কারণে সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার দ্রুত শুনানির আবেদন জানান হয়।

গত সপ্তাহেই জ্ঞানবাপী মসজিদের (Gyanvapi Mosque) ওজুখানায় থাকা শিবলিঙ্গের ‘বৈজ্ঞানিক সমীক্ষা’ করার নির্দেশ আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া (Archeological Survey of India) কে দিয়েছিল এলাহাবাদ হাই কোর্ট (Allahabad High Court)। আর সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় মসজিদের ম্যানেজমেন্ট কমিটি (Management Committee)। তবে দেশের শীর্ষ আদালত সাফ জানিয়েছে, আগামী শুক্রবার এই মামলার শুনানি হবে। জানা গিয়েছে, মসজিদের ম্যানেজিং কমিটির তরফে এই মামলা লড়বেন আইনজীবী হুজিফা আহমেদি।

তবে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছিল এই মামলার শুনানি ২২ মে শুরু হবে। কিন্তু সেদিন থেকেই আর্কিওলজিক্যাল সার্ভের কাজ শুরু হওয়ার কারণে সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার দ্রুত শুনানির আবেদন জানান হয়। আর সেই আবেদনকেই মান্যতা দিয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় জানান, আগামী ১৯মে সুপ্রিম কোর্টে শুরু হবে জ্ঞানবাপী মামলার শুনানি। উল্লেখ্য, জ্ঞানবাপী মসজিদ নিয়ে গত আড়াই বছর যাবৎ আইনি বিবাদ চলছে। বারাণসীর‌ জ্ঞানবাপী মসজিদ চত্বরে থাকা শৃঙ্গার গৌরী মন্দিরে বছরের সব দিন পূজাপাঠের অনুমতি পেতে স্থানীয় আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন পাঁচ মহিলা। ধর্মাচরণ সংক্রান্ত অধিকার আদায়ে পাঁচজন মহিলা আবেদনকারী এই মুহূর্তে দেশের আরও কোনও মামলায় নেই। আর সেই মামলায় বারাণসী দায়রা আদালতের বিচারক রবিকুমার দিবাকর নিযুক্ত কমিটির নির্দেশে জ্ঞানবাপী মসজিদের ভিতরে শুরু হয়েছিল ভিডিও সার্ভে। সেই রিপোর্ট লিক হয়ে ওজুখানায় ‘শিবলিঙ্গ’ রয়েছে বলে শোরগোল পড়ে যায়।

তবে এরপরই মসজিদ কমিটি দাবি জানায়, শিবলিঙ্গ নয় আসলে সেটি একটি ফোয়ারা। একই দাবি করে বারাণসীর জেলা আদালতও। সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, জ্ঞানবাপী মসজিদের কার্বন ডেটিং করার কোনও প্রয়োজন নেই। কিন্তু এই রায় খারিজ করে দেয় এলাহাবাদ হাই কোর্ট। সেই নির্দেশের বিরোধিতা করেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় মসজিদ কমিটি। উল্লেখ্য, অযোধ্যার রামমন্দির ভেঙে বাবরি মসজিদ তৈরি হয়েছিল, হিন্দু পক্ষের এই দাবি খতিয়ে দেখতে আর্কিওলজিক্যাল সোসাইটি অফ ইন্ডিয়াকে সার্ভের নির্দেশ দিয়েছিল। মসজিদের ধ্বংসস্তূপের নীচ থেকে মন্দিরের নিদর্শন উদ্ধার করেছিল এএসআই। এরপর ২০১৯ এর নভেম্বর মাসে সুপ্রিম কোর্ট অযোধ্যার বিতর্কিত জমি রামচন্দ্রের জন্মস্থান বলে মেনে নেয়। সেখানে রাম মন্দির নির্মাণের অনুমতি দেয় শীর্ষ আদালত।

 

 

 

Previous articleরিয়ালকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে চ‍্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে ম‍্যানসিটি, ফাইনালে সামনে ইন্টার মিলান
Next articleলক্ষ্মীবারে কী সহায় হবেন বরুণদেব?তিলোত্তমায় গরম থেকে মিলবে রেহাই