বিজেপির অ.স্ত্রেই কটাক্ষ কংগ্রেসের, কর্নাটক বিধানসভা গোমূত্র দিয়ে শুদ্ধিকরণ

শনিবার বেঙ্গালুরুর কান্তারাভা স্টেডিয়ামে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা সিদ্দারামাইয়া। উপমুখ্যমন্ত্রী হন ডিকে শিবকুমার।

শনিবারই কর্নাটকের  (Karnataka) মসনদে বসেছে কংগ্রেস (Congress)। মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথগ্রহণ (Chief Minister) করেছেন সিদ্দারামাইয়া (Siddaramaih)। এবার ক্ষমতা হাতবদলের পর কর্নাটক বিধানসভায় শুদ্ধিকরণ কর্মসূচি চালাল কংগ্রেস। গোমূত্র দিয়ে ধোয়ানো হল বিধানসভা ভবন। যাকে কেন্দ্র করে ফের বিতর্কে জড়িয়েছে হাত শিবির। এই ইস্যুতে দেশের সবচেয়ে প্রাচীন দলকে খোঁচা দিতে ছাড়েনি বিজেপি (BJP)।

গত শনিবার বেঙ্গালুরুর কান্তারাভা স্টেডিয়ামে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা সিদ্দারামাইয়া। উপমুখ্যমন্ত্রী হন ডিকে শিবকুমার (DK Shivkumar)। শপথগ্রহণের দু’দিনের মাথায় বিধানসভা ভবনে গেলেন তাঁরা। সিদ্দা ও শিবকুমারের সঙ্গে ছিলেন নব নির্বাচিত কংগ্রেস বিধায়করা। কর্নাটকের বিধানসভা ভবনের নাম ‘বিধান সৌধ’। এদিন সেখানে পৌঁছে গোমূত্র দিয়ে গোটা ভবনের ‘শুদ্ধিকরণ’ কর্মসূচি চালায় কংগ্রেস নেতৃত্ব। পাশাপাশি, বিজেপিকে দুর্নীতিগ্রস্তদের দল বলেও উল্লেখ করেন তাঁরা। এদিন শুদ্ধিকরণ কর্মসূচি শেষে প্রদেশ সভাপতি ডিকে শিবকুমার বলেন, বিধান সৌধকে পরিষ্কার করতে এসেছিলাম। সেই কাজ সম্পন্ন হয়েছে। পাশাপাশি শুদ্ধিকরণের জন্য গোমূত্র ব্যবহার করতে হয়েছে।

উল্লেখ্য, ‘দুর্নীতির রেট কার্ড’-এ মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য বিজেপি আড়াই হাজার কোটি টাকা নিয়েছে বলে দাবি কংগ্রেসের। এছাড়া মন্ত্রী হতে ৫০০ কোটি টাকা দিতে হয়েছে বলেও অভিযোগ তোলা হয়। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পে কাটমানির প্রসঙ্গও তোলেন হাত শিবিরের নেতা-নেত্রীরা। চলতি নির্বাচনে ১৩৫ আসন জিতে নিরঙ্কুশ সংখ্যা গরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গঠন করেছেন হাত শিবির। অন্যদিকে ৬৫ আসনে নেমে গিয়েছে বিজেপি।

 

 

Previous articleসেপ্টেম্বরের পরও ২০০০-এর নোট অবৈধ নয়: নোট বাতিল প্রসঙ্গে বার্তা শক্তিকান্তের
Next articleLIC-র বেসরকারিকরণের বিরুদ্ধে দিল্লিতেও INTTUC-র আন্দোলন: ঘোষণা তৃণমূলের