কুন্তলকে জে.লে জেরা করা হলে সারদাকর্তাকে নয় কেন? প্রশ্ন কুণালের

বিষয়টি নিয়ে ফের প্রশ্ন তোলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তাঁর দাবি, ইডি-সিবিআইয়ের মতো কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি যে বিজেপির শাখা সংগঠনের মতো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করছে তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam) জেলবন্দি কুন্তল ঘোষের (Kuntal Ghosh) কিছু মন্তব্য ও একটি চিঠির উপর ভিত্তি করে কথার জাগলারিতে মামলা এবং তার ভিত্তিতে তড়িঘড়ি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) ডেকে পাঠিয়ে সাড়ে ৯ঘন্টার ম্যারাথন সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদ। আবার প্রেসিডেন্সি জেলে গিয়ে এদিন কুন্তলকে জেরা করেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। এই ঘটনার পরই ফের সিবিআই-এর পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ নিয়ে সরব তৃণমূল (TMC)।

এদিন বিষয়টি নিয়ে ফের প্রশ্ন তোলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তাঁর দাবি, ইডি-সিবিআইয়ের মতো কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি যে বিজেপির শাখা সংগঠনের মতো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করছে তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। তাঁর কথায়, “কুন্তল ঘোষকে আমি চিনি না। তবে জনৈক ওই বন্দির একটি চিঠির উপর ভিত্তি করে প্রেসিডেন্সি জেলে তাকে জেরা করতে চলে গেল সিবিআই। তাহলে একই জেলে থাকা সারদাকর্তা সুদীপ্ত সেনকে জিজ্ঞাসা করছে না কেন?”

কুণালের সংযোজন, “কুন্তল ঘোষ অভিষেকের নামে কোনও অভিযোগ করেনি, তাতেও কুন্তলের আগে অভিষেককে ডেকে জিজ্ঞাসা করেছে সিবিআই। কিন্তু সুদীপ্ত সেনের চিঠির ভিত্তিতে শুভেন্দুকে ডাকছে না। সুদীপ্ত সেনকেও জিজ্ঞাসাবাদ করছে না তারা। আসলে বিজেপির কথায় শুভেন্দুকে প্রটেকশন দিচ্ছে সিবিআই।”

প্রসঙ্গত, এজেন্সির বিরুদ্ধে চাপ দেওয়ার অভিযোগে চিঠি দিয়েছিলেন জেলবন্দি কুন্তল ঘোষ। এজেন্সির বিরুদ্ধে অভিষেকের নাম বলাতে চাপ দেওয়ার অভিযোগ তুলেছিলেন কুন্তল। তারপরই আদালতে মামলার ভিত্তিতে তড়িঘড়ি তলব করা হয়েছিল কুন্তলকে। কিন্তু একইভাবে আইন মেনে পিজিনার্স পিটিশনে চিফ মেট্রোপলিটন।ম্যাজিস্ট্রেটকে দেওয়া সারদাকর্তা সুদীপ্ত সেনের চিঠি ও তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে অন্ধের ভূমিকা পালন করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি।

 

 

 

 

Previous articleনজরে পঞ্চায়েত, একজোট হয়ে চলার বার্তা অভিষেকের
Next articleদেউলিয়া অনুব্রত,সিবিআই-ইডি মিলিয়ে মোট ২৮ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত