মণিপুরকে নতুন করে অ.শান্ত করার অভিযোগ! পুলিশের জালে বিজেপি নেতা   

নতুন করে উত্তেজনার গ্রাসে পার্বত্য রাজ্য মণিপুরের রাজধানী ইম্ফল। বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে রাজ্যের ইম্ফল পূর্ব জেলায়। যার জেরে কার্ফু শিথিলতা হ্রাস করা হয়েছে। ইন্টারনেটে নিষেধাজ্ঞা বাড়ানো হয়েছে।

ফের অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি মণিপুরে (Manipur Violence)। রবিবার রাত থেকেই ফের নতুন করে অশান্তি ছড়িয়ে পড়েছে। হিংসা ছড়িয়ে পড়েছে ইম্ফলের (Imphal) চেকন এলাকায়। স্থানীয় বাজারের দখল নিয়ে মেইতেই এবং কুকি সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘর্ষের জেরেই অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি এলাকায়। লুঠপাট চলছে দোকানপাট, ঘর-বাড়িতে। কিছু কিছু বাড়িতে আগুনও ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে খবর। ইতিমধ্যে ইম্ফলে সাংবাদিকদের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং (Chief Minister N Biren Singh) জানিয়েছেন এই ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি হিংসার ঘটনায় রাজ্যের প্রাক্তন বিজেপি বিধায়ক ও মণিপুর বিধানসভার প্রাক্তন ডেপুটি স্পিকার তেলভুম থাংজালাম হাওকিপ (Telvum Thangzalang Haokip) সহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এদিকে ফের নতুন করে উত্তেজনার গ্রাসে পার্বত্য রাজ্য মণিপুরের রাজধানী ইম্ফল। বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে রাজ্যের ইম্ফল পূর্ব জেলায়। যার জেরে কার্ফু শিথিলতা হ্রাস করা হয়েছে। ইন্টারনেটে নিষেধাজ্ঞা বাড়ানো হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে সশস্ত্র রক্ষীদের টহলদারি। এদিকে নিউ চেকন বাজার এলাকায় ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তিন ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। সরকার মতে, মণিপুর সাম্প্রতিক হিংসায় মৃত্যুর ঘটনা ইতিমধ্যেই ৭৪-এ পৌঁছেছে। সম্প্রতি মণিপুরের বেশ কয়েকটি জেলায় মেইতেই ও কুকি উপজাতিদের মধ্যে সংঘর্ষ তীব্র আকার ধারণ করেছিল। যার জেরে ব্যাপক হানাহানি গোটা মণিপুরে ছড়িয়ে পড়ে। রীতিমতো উদ্বিগ্ন হয়ে পরিস্থিতি সামলাতে কেন্দ্রের সঙ্গে বৈঠক করতে হয় মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রীকে।

পরে আধাসামরিক বাহিনী এবং সেনাবাহিনী কড়া হাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবুও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ঠেকানো সম্ভব হয়নি। এরপর বেশ কিছুদিন সব চুপচাপ থাকলেও, ফের উত্তেজনা ছড়িয়েছে এই পার্বত্য রাজ্যে। নিউ চেকন বাজার এলাকায় হিংসার ঘটনায় ইতিমধ্যেই তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছেন প্রাক্তন বিজেপি বিধায়ক ও মণিপুর বিধানসভার প্রাক্তন ডেপুটি স্পিকার তেলভুম থাংজালাম হাওকিপ।

তবে মণিপুরের নিরাপত্তা উপদেষ্টা কুলদীপ সিং সাংবাদিকদের সাফ জানিয়েছেন, তিনজনকে দোকানদারদের ভয় দেখানোর অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। হাওকিপ ২০১৭ সালে বিজেপির চুরাচাঁদপুর জেলার হেঙ্গলেপ বিধানসভা কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত হন। ২০২০ সালে, তিনি, অন্য দুই বিধায়কের সঙ্গে বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দেন। তবে, ২০২২ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে, তিনি শিবসেনায় যোগ দেন। কংগ্রেসের টিকিটে হেঙ্গলেপ আসনে ১৯৯৮ সালের উপনির্বাচনে জয়লাভ করায় তাকে বিধানসভায় ডেপুটি স্পিকার হিসাবে নির্বাচিত করা হয়।

 

 

 

Previous articleউচ্চমাধ্যমিকে সফল ছাত্রছাত্রীদের শুভেচ্ছা-অভিনন্দন মুখ্যমন্ত্রীর, আগামীর সাফল্য কামনায় টুইট শিক্ষামন্ত্রীরও
Next articleআর্থিক সঙ্কটের মাঝেই বেলাগাম জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাকিস্তানে, চিন্তা বাড়ছে শাহবাজের