হাই কোর্টের নির্দেশকে মান্যতা! দ্বিতীয়বার ম.য়নাতদন্ত হবে খড়গপুরের IIT পড়ুয়ার দেহ

ফাইজানের রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় দেহ দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট। আর সেই সেই নির্দেশ মতোই ফাইজনের দেহ অসমের ডিব্রুগড়ের কবরস্থান থেকে তোলা হয়।

কলকাতা হাই কোর্টের (High Court) নির্দেশকে মান্যতা। অবশেষে অসমের (Assam) ডিব্রুগড়ের (Dibrugarh) কবরস্থান থেকে তোলা হল আইআইটি খড়গপুরের (IIT Kharagpur) ছাত্র ফাইজান আহমেদের (Faizan Ahmed) দেহ। জানা গিয়েছে, শীঘ্রই ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা (Forensic Experts) ওই ছাত্রের দেহের ময়নাতদন্ত (Post Mortem) করবেন। উল্লেখ্য, ফাইজানের রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় দেহ দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট। আর সেই সেই নির্দেশ মতোই ফাইজনের দেহ অসমের ডিব্রুগড়ের কবরস্থান থেকে তোলা হয়।

উল্লেখ্য, বুধবার ভোরেই খড়গপুর পুলিশের (Kharagpur Police) চার উচ্চপদস্থ আধিকারিক ডিব্রুগড়ের আমলাপাতি কবরস্থানে হাজির হন। পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন ফাইজানের পরিবারের সদস্যরা। এছাড়াও ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি সরজমিনে খতিয়ে দেখে অসম পুলিশ (Assam Police) ও গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজের (Guahati Medical College) ফরেন্সিক বিষেশজ্ঞদের দল। আরও জানা গিয়েছে, দেহটি মঙ্গলবার সারারাত মর্গে রাখা হয়। ময়নাতদন্তের জন্য দেহ কলকাতায় নিয়ে আসা হবে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।

গতবছর ১৪ অক্টোবর, হস্টেলের ঘর থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ফাইজান আহমেদের দেহ উদ্ধার হয়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে চরম চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। তবে ফাইজানের মৃত্যু ঘিরে রহস্য দানা বাঁধে। পরিবারের তরফে ছেলেকে খুনের অভিযোগ তুলে মামলা দায়ের করা হয় কলকাতা হাই কোর্টে। খড়্গপুর আইআইটি কর্তৃপক্ষের গাফিলতি নিয়ে প্রশ্নও তোলে পরিবার। যদিও আইআইটি কর্তৃপক্ষের দাবি, ফাইজান আত্মহত্যা করেছিল। জেলা পুলিশের রিপোর্ট এবং মেদিনীপুর মেডিক্যালের ময়নাতদন্তের রিপোর্টও সেই বিষয়টিই স্পষ্ট করে। তবে পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে বিষয়টি আত্মহত্যা না খুন, তা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেয় আদালত।

হাই কোর্টের নির্দেশ পেয়েই অজয় গুপ্তর নেতৃত্বে একটি বিশেষজ্ঞ দল গঠন করে তদন্ত শুরুর নির্দেশ দেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। এরপরই হাই কোর্ট বিশেষজ্ঞ কমিটির এই রিপোর্টকে আলাদা গুরুত্ব দিয়ে বিচার করে। পরে হাইকোর্ট ফাইজানের দেহ দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেয়।

 

 

Previous articleরূপান্ত.রকামীদের লড়াইয়ে পাশে থাকতেই সিভিল সার্ভিসে যোগ দিতে চান উচ্চমাধ্যমিকে সপ্তম ‘শরণ্যা’
Next articleউচ্চমাধ্যমিকে হুগলির জয়জয়কার, প্রথম দশে জেলার ১৮ পড়ুয়া!