মণিপুর হিংসায় উদ্বিগ্ন রাষ্ট্রসঙ্ঘে মানবাধিকার কমিশনের প্রধান ভলকার তুর্ক

গত ২১ দিন ধরে হিংসাদীর্ন উত্তর পূর্বের রাজ্য মণিপুর(Manipur)। রাজ্যে শান্তি ফেরাতে বিভিন্ন এলাকার গোষ্ঠীগুলির সঙ্গে শান্তি বৈঠক করেছেন সেনাকর্তারা। একই চেষ্টায় রাজ্য সরকার। এখানে পরিস্থিতির মাঝেই এবার মণিপুরের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন রাষ্ট্রসঙ্ঘের(United Nation) মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক। রাজ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য যত দ্রুত সম্ভব উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া এবং তদন্ত কমিটি গঠনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারকে।

গত বুধবার জেনেভায় সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে রাষ্ট্রসঙ্ঘের মানবাধিকার কমিশনের প্রধান ভলকার তুর্ক জানান, “যখন বিভিন্ন গোষ্ঠী সম্প্রদায়ের মধ্যে ঘৃণা ও বিভাজন উস্কে দেয়। তখনই এই ধরনের ফলাফল আমরা দেখতে পাই।” পাশাপাশি তিনি বলেন, “মণিপুর ও উত্তর-পূর্ব ভারতের সাম্প্রতিক এই হিংসা ওই অঞ্চলের একাধিক জাতির মধ্যে চলতে থাকা সংঘাতকে ব্যাপকভাবে বাড়িয়ে তুলেছে। আমি সকল আধিকারিকদের কাছে অনুরোধ জানাবো, আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের বাধ্যবাধকতার সাথে সামঞ্জস্য রেখে সহিংসতার মূল কারণগুলি তদন্ত ও সমাধানের মাধ্যমে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হোক।”

এদিকে মনিপুরের হিংসা পরিস্থিতির মাঝেই বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ঘোষণা করেন, কয়েকদিনের মধ্যেই অশান্ত রাজ্যে পা রাখবেন তিনি। মণিপুরের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে তিনদিন সেখানে থাকবেন। রাজ্যবাসীর সঙ্গে কথা বলে শান্তি ফেরানোর চেষ্টা করবেন বলেই জানিয়েছেন শাহ (Amit Shah)। বৃহস্পতিবার গুয়াহাটিতে একটি অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “আদালতের একটি রায় ঘিরে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে মণিপুর। দুইপক্ষের কাছেই আমার আবেদন, শান্তি বজায় রেখে বিচারব্যবস্থার প্রতি আস্থা রাখুন। আমি নিজে কয়েকদিনের মধ্যেই মণিপুরে যাব। তিনদিনের এই সফরে সকলের সঙ্গে কথা বলে শান্তি ফেরানোর চেষ্টা করব।”

প্রসঙ্গত, গত ৩ মে থেকেই মণিপুরে সংখ্যাগুরু মেতেই জনজাতির সঙ্গে রক্তাক্ত সংঘাত চলছে কুকি-ঝোমি ও অন্য আদিবাসীদের। এখনও পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ৭১ জন। আহত হয়েছেন ৩০০ জনের বেশি। ১, ৭০০ বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। পোড়ানো হয়েছে ২০০টি যানবাহন। নতুন করে হিংসার জেরে প্রাণ হারিয়েছেন একজন। হামলার মুখে পড়েছে মন্ত্রীর বাসভবনও।

Previous articleবৃত্তির আবেদন জানানোর পদ্ধতিতে সমস্যা! বড় পদক্ষেপ রাজ্যের
Next articleঅ্যাম্বুল্যান্সের দৌ.রাত্ম্য কমাতে কড়া পদক্ষেপ স্বাস্থ্য কমিশনের