বৃত্তির আবেদন জানানোর পদ্ধতিতে সমস্যা! বড় পদক্ষেপ রাজ্যের

শিক্ষাশ্রী প্রকল্পের আওতায় চলতি আর্থিক বছরের প্রি ও পোস্ট ম্যাট্রিক বৃত্তি পাবে ১৬ স্কুল। আর যেসব স্কুলের শিক্ষকরা এই প্রক্রিয়ার আবেদনপত্র তৈরি করার দায়িত্বে রয়েছেন তাদের বাধ্যতামূলকভাবে এই শিবিরে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

রাজ্যে তফসিলি জাতি ও পিছিয়ে পড়া শ্রেণীর পড়ুয়াদের বৃত্তির আবেদন জানানোর পদ্ধতিতে খামতি দূর করতে বড় সিদ্ধান্ত রাজ্যের (West Bengal Govt)। জানা গিয়েছে, গরমের ছুটির পর কেন্দ্রীয়ভাবে অনলাইন প্রশিক্ষণ শিবির (Online Training Camp) খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শিক্ষাশ্রী প্রকল্পের আওতায় চলতি আর্থিক বছরের প্রি ও পোস্ট ম্যাট্রিক বৃত্তি (Pre and Post Matric Scholarship) পাবে ১৬ স্কুল। আর যেসব স্কুলের শিক্ষকরা এই প্রক্রিয়ার আবেদনপত্র তৈরি করার দায়িত্বে রয়েছেন তাদের বাধ্যতামূলকভাবে এই শিবিরে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি যোগ্য পড়ুয়ারা যাতে বৃত্তির সুবিধা থেকে কোনওভাবেই বঞ্চিত না হয় সেদিকে নজর রাখতে ইতিমধ্যে স্কুলগুলির সঙ্গে জেলাশাসকদের যোগাযোগ করে দ্রুত কাজ শেশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

অনগ্রসর শ্রেণী কল্যাণ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্য সরকারের শিক্ষাশ্রী প্রকল্পের মাধ্যমে গত আর্থিক বছর সাড়ে ৯ লক্ষ পড়ুয়াকে বৃত্তি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি একই সময় প্রি-ম্যাট্রিক অর্থাৎ দশম শ্রেণী বা তার থেকে নীচের ক্লাসে পড়েন এমন তফসিলি জাতি ও অন্যান্য পিছিয়ে পড়া শ্রেণীর পড়ুয়াদের জন্য কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা পেতে সমস্যা হচ্ছে। দেখা গিয়েছে, যারা আবেদন করেছেন তাদের একটা অংশ আধার কার্ড ও জাতিগত শংসাপত্র আবেদনের সঙ্গে জমা দেয়নি। আবার অনেকে আধার কার্ডের নম্বরও ভুল লিখেছে বলে জানা যাচ্ছে এবং অনেকেই পারিবারিক আয়ের সার্টিফিকেট দেয়নি। অন্যদিকে, অনেকে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর দিয়েছে কিন্তু তার সঙ্গে আধার কার্ড সংযোগ করা নেই। এর ফলে গত বছর থেকেই তারা বৃত্তি পাচ্ছে না।

তবে তদন্তে উঠে এসেছে, এই আবেদনগুলি স্কুল থেকে অনলাইনে নির্দিষ্ট পোর্টালে করতে হয়। আর সেজন্য প্রতিটি স্কুলেই এজন্য একজন নোডাল শিক্ষক থাকেন। অনলাইনে আবেদন করার সময় তথ্য পেশ করার ক্ষেত্রে কিছু ত্রুটি হচ্ছে। আধার কার্ডের ভুল নম্বর দেওয়ার এটাই কারণ বলে মনে করছে রাজ্য অনগ্রসর কল্যাণ দফতর। ফলে পড়ুয়ারা স্কলারশিপ বা বৃত্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। ইতিমধ্যেই রাজ্যের অন্যাগ্রসর কল্যান সচিব সঞ্জয় বনশাল জেলাশাসকদের চিঠি দিয়ে ৩০ মে’র মধ্যে পড়ুয়াদের আধার কার্ড, শংসাপত্র, পারিবারিক আয়ের সার্টিফিকেট ও ব্যাঙ্ক সংক্রান্ত ত্রুটি দুর নতুন করে পেশ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

 

 

 

Previous articleটাকা নয়ছয়ের অভিযোগ!৮ ডিএ আন্দোলনকারীকে আগাম জামিন দিল ডিভিশন বেঞ্চ
Next articleমণিপুর হিংসায় উদ্বিগ্ন রাষ্ট্রসঙ্ঘে মানবাধিকার কমিশনের প্রধান ভলকার তুর্ক