গেরুয়া কো.পে ‘সারে জাঁহা সে আচ্ছা’ গানের গীতিকার! সিলেবাস থেকে অধ্যায় বাদ দেওয়ার প্রস্তাব

যদিও আরএসএসের ছাত্র সংগঠন এবিভিপি এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে। আর তারপরই শুরু হয়েছে জোর বিতর্ক।

বিজেপির (BJP) বিরুদ্ধে নিজেদের কলঙ্কিত ইতিহাস মুছে ফেলার অভিযোগ। মুঘল যুগের ইতিহাস (Mughal History), গান্ধী হত্যা থেকে শুরু করে ডঃ বি আর আম্বেদকরের অবদান কিংবা আরএসএসের (RSS) নিষিদ্ধ হওয়া সবকিছুতেই লাগাম টানার চেষ্টায় গেরুয়া শিবির। আর সেই পথে হেঁটেই এবার পাঠক্রম থেকে বাদ যেতে চলেছে ‘সারে জাঁহা সে আচ্ছা’ (Saare Jahan Se Achha) গানের গীতিকার পাকিস্তানের ‘জাতীয় কবি’ মহম্মদ ইকবালকে (Muhammad Iqbal) নিয়ে লেখা একটি অধ্যায়ও। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের (Delhi University) অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল (Academic Council) শুক্রবারই এই সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব পাস করেছে। জানা গিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের চূড়ান্ত সম্মতি পেলেই তা পাঠ্যক্রম থেকে বাদ দেওয়া হবে। যদিও আরএসএসের ছাত্র সংগঠন এবিভিপি (ABVP) এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে। আর তারপরই শুরু হয়েছে জোর বিতর্ক।

সম্প্রতি এনসিইআরটি’র সিলেবাসে (NCERT) ইতিহাসের বাছাই করা অংশ বাদ দেওয়া নিয়ে বিতর্ক চরমে পৌঁছয়। যার বিরোধিতায় সরব হয় বিরোধীরা। তাদের অভিযোগ, বিজেপি নিজেদের কলঙ্কিত ইতিহাস মুছে ফেলতে চাইছে। স্রেফ ‘প্রতিহিংসার মানসিকতা’ থেকেই সিলেবাসে বাদ দেওয়া হচ্ছে গান্ধী হত্যা থেকে শুরু করে আম্বেদকরের অবদানের কথাও। আর এমন পরিস্থিতিতে এবার সামনে এল ‘সারে জাঁহা সে আচ্ছা’র গীতিকারের অধ্যায় বাদ দেওয়ার প্রস্তাবের বিষয়টি।

উল্লেখ্য, ১৮৭৭ সালে অবিভক্ত ভারতের শিয়ালকোটে জন্মগ্রহণ করেন মহম্মদ ইকবাল। তাঁর লেখা ‘সারে জাঁহা সে আচ্ছা’ গানটি লেখার পাশাপাশি পাকিস্তানের ‘আইডিয়া’ও ছিল তাঁরই মস্তিষ্কপ্রসূত। তাঁকে নিয়েই একটি অধ্যায় রয়েছে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা বিভাগের স্নাতক কোর্সের ষষ্ঠ সেমিস্টারে। আর এবার ‘আধুনিক ভারতীয় রাজনৈতিক চিন্তাভাবনা’ নামের সেই অধ্যায় থেকে ইকবালকে সরিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। আর সেবিষয়ে চূড়ান্ত সিলমোহর পেলেই পাঠ্যক্রম থেকে বাদ যেতে পারে মহম্মদ ইকবালের অধ্যায়।

 

 

Previous articleপুলিশি হেন.স্থার শি.কার টলি অভিনেতা মৈনাক! কী ঘটল বিমানবন্দরে
Next articleসাইকেল চুরি করতে গিয়ে গণপি.টুনিতে মৃ.ত্যু !